লাইফস্টাইল

Meditative Asanas| পুজোর আগেই চাই মেদহীন শরীর! নিয়মিত করুন এই কয়েকটি যোগাসন! ওজন কমবে তরতরিয়ে!

Meditative Asanas| পুজোর আগেই চাই মেদহীন শরীর! নিয়মিত করুন এই কয়েকটি যোগাসন! ওজন কমবে তরতরিয়ে!
Key Highlights

বিশেষ কয়েকটি যোগাসন নিয়মিত অভ্যাস করলেই ওজন কমবে দ্রুত। শরীর সুস্থতার সঙ্গে ভালো থাকবে মানসিক স্বাস্থ্যও। ফলে দেখে নিন কোন কোন যোগাসন করলে পুজোর আগেই পাবেন ছিমছিমে শরীর।

দরজায় কড়া নাড়ছে পুজো। আর কয়েকটা দিন বাদেই বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবে মাততে চলেছে গোটা রাজ্য। মাস তিনেক আগের থেকেই পুজোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে সকলে। বরাবরের মতো দুর্গাপুজোর মাসখানেক আগের থেকেই শুরু হয়েছে কেনাকাটা, রূপ চর্চার পর্বের সঙ্গে শরীরের মেদ ঝরানোর আপ্রাণ চেষ্টা। অনেকেই বিশাল অংকের টাকা দিয়ে ভর্তি হন জিমে (GYM)। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই ব্যস্ত দিনের মধ্যে থেকে সময় বের করে জিমে যাওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনার বড় বন্ধু হতে পারে যোগাসন (Yogasana)।

অনেকেরই ধারণা, যোগাসন কেবল শরীর সুস্থ্য এবং নমনীয় করার জন্যই কার্যকর। তবে নিয়মিত বিশেষ কিছু যোগাসন করলে দ্রুত গতিতে কমতে পারে ওজন। যোগাসন স্ট্রেস ও ওজন কমানোতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। যোগব্যায়াম ভঙ্গি, প্রানায়াম এবং ধ্যানের নিয়মিত অনুশীলন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমাতে পারে। পাশাপাশি,যোগব্যায়াম সামগ্রিক শরীরের শক্তি এবং নমনীয়তা উন্নত করতে পারে। বিভিন্ন যোগাসন শরীরের পেশীতে প্রভাব ফেলে, যার ফলে দ্রুত ক্যালোরি ব্যয় হয়। যদিও ওজন কমাতে, শরীরের মেদ ঝড়াতে হলে দৈনন্দিন যোগাভ্যাস করতে হবে। দেখে নিন পুজোর আগে মেদহীন শরীরের যুম্ন কী কী যোগাসন করবেন।

১. সূর্য নমস্কার । Surya Namaskar :

এই যোগ ব্যায়াম বহু ভঙ্গির মিলিত রুপ। সূর্য নমস্কার কার্ডিওভাসকুলার কার্যকলাপ বাড়াতে সাহায্য করার পাশাপাশি একাধিক পেশী গোষ্ঠীকে জড়িত করে।  যার ফলে সামগ্রিক শরীরের ক্যালোরি ক্ষয় হয়। সূর্য নমস্কারের ধারাবাহিক অনুশীলন মেটাবলিজম (Metabolism) বৃদ্ধি করে। ফলে এই যোগাসন ওজন কমানোর জন্য চমৎকার কাজ করে।

যোগাসন করে শরীর-মন সুস্থ্য রাখুন, আরও পড়ুন : ২১ টি সেরা যোগাসন এবং তাদের উপকারিতা সঙ্গে ছবি ও ভিডিও 

২. বীরভদ্রাসন । Virabhadrasana :

বীরভদ্রাসন বা ওয়ারিয়র পোজ (Warrior Pose) এই ভঙ্গিটি ভারসাম্য এবং স্থিতিশীলতা উন্নত করার সাথে সাথে পা, পেট এবং শরীরে উপরের অংশে মেদ ঝরিয়ে তা শক্তিশালী করে তোলে। এই আসনটি অভ্যাস করলে মেরুদণ্ডের হাড়ের জোড় নমনীয় ও মজবুত হয়, মেরুদণ্ডের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। পাঁজরের হাড়ের অসমতা দূর হয় এবং ছাতি সুগঠিত হয়। এই ব্যায়ামের ফলে পায়ের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পায়ের গঠন সুন্দর হয়। তলপেট, কোমর ও নিতম্বে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে না যার ফলে দেহ সুঠাম হয়ে ওঠে। দ্রুত ওজন হ্রাস করে ছিমছাম শরীর পেতে হলে এই যোগাসন খুবই কাজে আসতে পারে।

৩. নভাসন । Navasana :

নভাসন বা বোট পোজ (Boat Pose) যোগাসন পেটের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। এই যোগাসনের নিয়মিত অভ্যাস কেবল পেটের মেদ ঝরাতেই নয়, থাই, পায়ের মেদ হ্রাস করে তা শক্তিশালী করে তোলে। মূলত শরীরের নিম্নাংশের মেদ রোধ করে তা শক্তিশালী করে এই যোগাসন।

৪. ফালাকাসন । Phalakasana:

প্ল্যাঙ্ক পোজ (Plank Pose) হল একটি পূর্ণ-শরীরের ব্যায়াম। এই যোগাসন শরীরের একাধিক পেশীকে প্রভাবিত করে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের মেদ রোধ করে এই যোগাসন। ওজন হ্রাস করতে এবং শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে ফালাকাসন অত্যন্ত কার্যকরী এক যোগাসন। যেসব যোগাসন ওজন কমাতে সাহায্য করে তার মধ্যে এই ভঙ্গি সবথেকে বেশি কার্যকর বলে মনে করেন অনেকে।

৫. সেতুবন্ধ আসন । Setu Bandhasana :

সেতুবন্ধ আসন, ব্রিজ পোজ (Bridge Pose) নামেও পরিচিত। যদি আসনটি পিঠের পেশী মজবুত করে, তাৎক্ষণিকভাবে ক্লান্তি দূর করে, বুক, ঘাড় এবং মেরুদণ্ড প্রসারিত করে। এটি থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে, যা বিপাক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেতুবন্ধ আসন শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, এটি হরমোনের ভারসাম্যকে উন্নীত করে  ফলে দ্রুত ওজন হ্রাস পায়।

৬. অর্ধমৎস্যেন্দ্রাসন । Ardha Matsyendrasana :

অর্ধমৎস্যেন্দ্রাসনের নিয়মিত অভ্যাসের ফলে মেরুদণ্ড যৌবনোচিত নমনীয় ও সরল হয়, পিঠের ও মেরুদণ্ডের দু’পাশের পেশী ও স্নায়ুকেন্দ্রগুলো সতেজ ও সক্রিয় থাকে। এই যোগাসন হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। এই যোগাসন কম বেশি শরীরের সব পেশীকেই প্রভাবিত করে। এছাড়াও অর্ধমৎস্যেন্দ্রাসন আসনটি অজীর্ণ, কোষ্ঠবদ্ধতা, প্লীহা ও যকৃতের রোগ দূর করতে সাহায্য করে।

যোগাসন করে শরীর-মন সুস্থ্য রাখুন, আরও পড়ুন : উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী যোগব্যায়াম

পুজোর আগেই মেদহীন শরীর পেতে হলে উপরোক্ত যোগাসনগুলি করতে হবে রোজই। সঙ্গে সম্ভব হলে ডায়েটও রাখুন হালকা। বেশি তেল, চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।