স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী রচনা ~ Swami Vivekananda Biography Rachana in Bengali with PDF Download

Swami Vivekananda Paragraph in Bengali, বিবেকানন্দের আবির্ভাব বাঙালি জীবনে এনেছিল এক নতুন অনুপ্রেরণা। সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী হয়েও তিনি শুধু নিজের জন্য মোক্ষ লাভের সাধনা করেননি , মানবজাতির সেবাই ছিল তাঁর আদর্শ।সন্ন্যাসী হয়েও তিনি বলেছিলেন , "জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর"। তাঁর ধর্মসাধনার মূল কথা ছিল, মানবমুক্তির সাধনা। স্বদেশবাসীকে তিনি গভীর মমতাভরে ভালোবেসেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের সংক্ষিপ্ত জীবনী পিডিএফ
দেশবাসী যখন দারিদ্র্যপীড়িত, পরাধীনতার অন্ধকারে দিশাহারা ,শিক্ষিত শ্রেণী পরানুকরণে মত্ত, ব্যক্তিত্ব দাসসুলভ দুর্বলতায় অপসৃত, ধর্ম কুসংস্কার ও অস্পৃশ্যতার রাহুগ্রাসে নিষ্পিষ্ট ঠিক সেই সময় বিবেকানন্দ ভারতবর্ষকে পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছিলেন মানবধর্মের বাণী দিয়ে। মূর্খ, দরিদ্র, অজ্ঞ, মুচি ,মেথর সবাইকে তিনি একই রক্তের বন্ধনে বাঁধতে চেয়েছিলেন। তাঁর আদর্শ ও অমৃত স্বরূপ বাণী,জাতির নিস্তরঙ্গ জীবনে এনেছিল দুর্বার যৌবন -তরঙ্গ যা জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল নবজীবনের অগ্নিমন্ত্রে।
জন্ম ও বংশ পরিচয় | স্বামী বিবেকানন্দের ছেলেবেলা
১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই জানুয়ারি উত্তর কলকাতার সিমলাপাড়ার বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন নবজাগৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষ ও ভারত পথিক স্বামী বিবেকানন্দ ।পিতা বিশ্বনাথ দত্ত ছিলেন হাইকোর্টের লব্ধপ্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত অ্যাটর্নি। মাতা ভুবনেশ্বরী দেবী ছিলেন ধর্মপ্রাণা মহিলা। 'বীরেশ্বর ' ছিল বিবেকানন্দের মাতৃদত্ত নাম, ডাকনাম ছিল 'বিলে'।

শৈশব ও শিক্ষাজীবন
শৈশবে বীরেশ্বর ছিলেন দুরন্ত এবং সাহসী। সব বিষয়েই ছিল তাঁর জানার অদম্য কৌতূহল এবং একাগ্রতা।তাছাড়া তাঁর সবকিছুই যাচাই করে নেওয়ার এক আশ্চর্য মানসিকতা ছিল । তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী এবং প্রখর বুদ্ধির অধিকারী । ছোটবেলা থেকেই মাঝে মাঝে ধ্যানস্থ হয়ে পড়তেন তিনি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত উত্তর কলকাতার মেট্রোপলিটন স্কুলে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন যেখানে তিনি নরেন্দ্রনাথ নামেই পরিচিতি লাভ করেছিলেন।
১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর পরিবার কিছুদিনের জন্য রায়পুরে চলে আসেন। তার আগে অবধি তিনি এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে দত্ত পরিবার আবার কলকাতায় ফিরে আসেন। নরেন্দ্রনাথ প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন এবং প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর জেনারেল অ্যাসেম্বলি কলেজ বর্তমানে যা স্কটিশচার্চ কলেজ হিসেবে খ্যাত , সেখানে দর্শনশাস্ত্র নিয়ে পড়ার সময় তিনি পাশ্চাত্য দর্শন ও যুক্তিবিদ্যা এবং ইউরোপীয় ইতিহাস নিয়ে ও অধ্যয়ন করেছিলেন।
১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দে চারুকলা পরীক্ষায় নরেন্দ্রনাথ সফলভাবে উত্তীর্ণ হন। ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতক ডিগ্রি প্রাপ্ত করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর বই পড়ার এক অদম্য নেশা ছিল ; দর্শন, ধর্ম, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, শিল্পকলা ও সাহিত্য বিষয়ে বই পড়তে তাঁর খুব ভালো লাগত।এ ছাড়াও তিনি বেদ, উপনিষদ্, ভগবদগীতা, রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ প্রভৃতি হিন্দুধর্ম সম্বন্ধীয় রচনা পঠন পাঠনে তাঁর আগ্রহ বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছিল। মধুর কণ্ঠের অধিকারী নরেন্দ্রনাথের সঙ্গীত, খেলাধুলো ,বক্তৃতায় ছিল সুগভীর আগ্রহ। শরীরচর্চার প্রতিও তাঁর অনুশীলন নিষ্ঠা শিক্ষণীয় । তিনি হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম ও নিয়েছিলেন কিছুদিন।

ঈশ্বর জিজ্ঞাসা ও শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্য লাভ
ছাত্রাবস্থায় নরেন্দ্রনাথ দর্শনশাস্ত্রে প্রগাঢ় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন যার ফলে তিনি প্রথমে সংশয়বাদী হয়েছে উঠেছিলেন । ঈশ্বর জ্ঞানের জন্য তিনি ব্রাহ্মসমাজে যাতায়াত শুরু করেছিলেন কিন্তু তাঁর ঈশ্বর জিজ্ঞাসার কোনো সদুত্তর তিনি তখনও পর্যন্ত পাননি। এ রকম মানসিক অবস্থায় তিনি লাভ করলেন "যত মত তত পথে" এর প্রবক্তা শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের সান্নিধ্য লাভ।
প্রতিবেশী সুরেন্দ্রনাথ মিত্রের বাড়ি ধর্মমূলক গান গাইবার জন্য ডাক পড়েছিল নরেন্দ্রনাথের আর সেখানেই হয়েছিল তাঁর রামকৃষ্ণ দেবের সাথে প্রথম সাক্ষাত্। প্রথম দর্শনেই অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন নরেন্দ্রনাথ। ঠাকুরের কাছ থেকে দক্ষিণেশ্বরে আসার আমন্ত্রণ পেলেন নরেন্দ্রনাথ এবং সেই আকর্ষণ ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠল । সেই সময় পিতার আকস্মিক মৃত্যু ও চরম অর্থসংকট নরেন্দ্রনাথের পরিবারে চরম বিপর্যয় হেনেছিল।
রামকৃষ্ণ দেবের সান্নিধ্যে এসে তাঁর সমস্ত সংশয় দূরীভূত হয়েছিল। এক দিন শুভ লগ্নে তিনি শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে সন্ন্যাস ব্রতের দীক্ষা নিলেন। নরেন্দ্রনাথের সন্ন্যাসজীবনের নাম হল 'স্বামী বিবেকানন্দ'। শ্রী রামকৃষ্ণের মহাপ্রয়াণের পর স্বামীজি পরিব্রাজক হয়ে সমগ্র ভারতে ঘুরতে লাগলেন। জাতি -ধর্ম -নির্বিশেষে সকলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে তিনি ভারতের প্রকৃত রূপের সন্ধান পেলেন। ভারতের অগণিত মানুষের সীমাহীন দারিদ্র্য তাঁর মনকে ব্যথিত করল।
ভারত পর্যটনে বিবেকানন্দ

ভারত পথিক বিবেকানন্দ ভারত পর্যটনে বেরিয়ে পরিক্রমা করলেন হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা। মিশলেন হিন্দু, মুসলমান, চন্ডাল, দরিদ্র, অজ্ঞ, সাধারণ মানুষের সঙ্গে।অনুভব করলেন নির্যাতিত মানুষের হৃদয়ের যন্ত্রণা ব্যথিত হলেন শত শত যুগের সামাজিক ও ধর্মীয় অত্যাচারে বিনষ্ট-মনুষ্যত্ব ভারতীয়দের জন্য। তাঁর অগ্নিগর্ভ বাণীতে স্পন্দিত হলো আ -কুমারিকা হিমাচল। জেগে উঠল শক্তি মগ্ন ভারত। ভবিষ্যৎ ভারতের স্বপ্নদ্রষ্টা ,অনাগত দিনের পথপ্রদর্শক, ভারত পথিক বিবেকানন্দ শোনালেন নবজীবনের জাগরণ মন্ত্র।
শিক্ষক বিশ্বধর্মসভায় বিবেকানন্দ | স্বামী বিবেকানন্দের মানবতাবাদ
১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দ ছিল ইতিহাসের এক স্মরণীয় দিন। আমেরিকার শিকাগো শহরে বিশ্ব মহাধর্ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার সংবাদ পেলেন স্বামী বিবেকানন্দ। কিন্তু সেখানে তিনি ছিলেন অনাহূত; তা সত্ত্বেও কিছু ভক্তের অনুরোধে তিনি আমেরিকার পথে পাড়ি দিলেন বেদান্ত ধর্মপ্রচারের মহৎ উদ্দেশ্য কে সঙ্গে নিয়ে।গৈরিক শিরভূষণ,গৈরিক পরিধান ও সন্ন্যাসীর বেশে বিবেকানন্দ এসে পৌঁছালেন শিকাগো শহরে।

কিন্তু প্রবেশের ছাড়পত্র তাঁর ছিল না কিন্তু শেষ পর্যন্ত মহৎ হৃদয় আমেরিকাবাসীর সহায়তায় তিনি কিছু সময়ের জন্য বক্তৃতা দেওয়ার অনুমতি নিয়ে ধর্মসভায় প্রবেশ করলেন।মঞ্চে উঠে শ্রোতাবর্গকে আত্মীয়তার উষ্ণ আবেগে সম্বোধন করলেন,"আমেরিকাবাসী ভাই ও বোনেরা"। মুহূর্তে উচ্ছ্বসিত করতালির ধ্বনিতে অভিনন্দিত হলেন প্রাচ্যের এই বীর সন্ন্যাসী।তিনি উদাত্ত কণ্ঠে শোনালেন ,কোনো মানুষেরই ধর্ম পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই।

আধ্যাত্মিকতা, পবিত্রতা -কোনো ধর্মসম্প্রদায়ের একচেটিয়া নয়। তিনি বললেন সামঞ্জস্য ও শান্তির কথা, প্রশংসা- মুখর শ্রোতামণ্ডলীরা হলেন অভিভূত।এরপর স্বামীজি আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের নানা স্থানে বেদান্ত দর্শন ব্যাখ্যা করে বেড়াতে লাগলেন। অনেকেই তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মার্গারেট নোবেল; ভারতের মাটিতে এসে যিনি হয়েছিলেন,'ভগিনী নিবেদিতা '। ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দে স্বামী বিবেকানন্দ স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন ।
সংগঠক বিবেকানন্দ | স্বামী বিবেকানন্দ ও যুব সমাজ রচনা
স্বদেশে ফিরেও বিবেকানন্দ ক্লান্তিহীন কর্মী। বিবিধ সাংগঠনিক কাজে তিনি ডুবে গেলেন। পরমুখাপেক্ষী, পরাণুকরণ-প্রিয় ভীরু ভারতবাসীকে নবজীবনের আদর্শে অনুপ্রাণিত ও আত্মশক্তিতে বলীয়ান করার ব্রত নিয়ে গড়ে তুললেন এক দল আদর্শ সন্ন্যাসী। তাঁরা স্বামীজির বাণী বিগ্রহ হয়ে ছড়িয়ে পড়লেন দিকে দিকে।
১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠা করলেন মানবসেবার অন্যতম প্রতিষ্ঠান, 'রামকৃষ্ণ মিশন'। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে উঠল তাঁর পরিকল্পিত ব্রহ্মচর্যাশ্রম। ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে বিবেকানন্দ তাঁর নিরলস পরিশ্রমে গঙ্গার পশ্চিম তীরে প্রতিষ্ঠিত করলেন নবযুগের অন্যতম পুণ্য পীঠস্থান 'বেলুড় মঠ'।
১৯০০ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসে বিশ্বেধর্ম সম্মেলনে যোগদান করার জন্য তাঁর কাছে আমন্ত্রণ আসায় তিনি পাড়ি দিলেন ইউরোপের পথে।বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করলেন তাঁর বৈপ্লবিক চিন্তা ভাবনায়।হিন্দুধর্মের অন্তর্নিহিত সত্য বাণী প্রচারের কাজে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি স্বদেশে ফিরলেন তবে অত্যধিক পরিশ্রমের ফলে তাঁর স্বাস্থ্য ভঙ্গুর হয়ে উঠেছিল।
মহাপ্রয়াণ
১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা জুলাই এই মহা তাপস হলেন সমাধিমগ্ন ।সেই সমাধি আর ভাঙল না। মাত্র ঊনচল্লিশ বছর বয়সেই এই মহাজীবনের ঘটল মহাপ্রয়াণ।
সাহিত্যকীর্তি
শুধু কর্মের জগতেই নয় সাহিত্য সাধনার পুষ্টিবিধানের ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন নতুন যুগের বাণীবাহক। তাঁর, 'পরিব্রাজক', 'ভাববার কথা', 'প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য' , 'বর্তমান ভারত' এর মতো বিভিন্ন প্রবন্ধ আর অজস্র চিঠিপত্রে তাঁর সেই অমোঘ বাণী মুদ্রিত হয়ে আছে। তিনি অনায়াস স্বাচ্ছন্দে বেশির ভাগই চলিত বাংলা গদ্য লিখতেন। তাঁর গদ্য ভাষা থেকে যেন আগুনের স্ফুলিঙ্গের বিচ্ছুরণ হতো। প্রকাশভঙ্গী ,সাবলীলতা ও বক্তব্যের বলিষ্ঠতায় তাঁর প্রতিটি গদ্য রচনা স্বাতন্ত্র্যে চিহ্নিত ।তাঁর বহু রচনা ইংরেজি ভাষায় রচিত ।
স্বামী বিবেকানন্দ হিন্দু ধর্ম
বৈদান্তিক সন্ন্যাসী হয়েও স্বামীজি সংসার পলাতক ছিলেন না। 'যত্র জীব,তত্র শিব'- এই মহাবাণী দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি সারাজীবন স্বদেশের ও স্বদেশীয় দুর্গত মানুষের কল্যাণ ভাবনাতেই ব্যয় করেছেন। তিনি ছিলেন আধুনিক ভারতের ভাগীরথ ;ছিলেন নবযুগের চালক। তমসাচ্ছন্ন আদর্শভ্রষ্ট জাতিকে অভিশাপমুক্ত করতেই তাঁর পুণ্য আবির্ভাব।

তিনি ধর্মান্ধ জাতিকে দৃপ্তকণ্ঠে বলেছিলেন ,দরিদ্র নিপীড়িত আর্ত মানুষের সেবাই হলো ঈশ্বর সাধনা; অসহায় মানুষই আমাদের প্রকৃত ঈশ্বর। এক বলিষ্ঠ ভারত গঠনই ছিল তাঁর স্বপ্ন ,তাঁর ব্রত।প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ না দিলেও তাঁর প্রেরণায় সেদিন হাজার হাজার ভারতীয় যুবক যে দেশপ্রেমের দীক্ষা নিয়েছিলেন পরবর্তীকালে দেশ জননীর মুক্তির জন্য তারা যে আত্মত্যাগের ব্রত গ্রহণ করেছিলেন, তার পিছনে স্বামীজির প্রেরণা কাজ করেছিল ।
শ্রী অরবিন্দ ,নেতাজি সুভাষ প্রমুখ কালজয়ী প্রবুদ্ধ মহাপুরুষ স্বামীজির মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন -এ কথা ঐতিহাসিক সত্য। যথার্থই, স্বামীজি ছিলেন ভারত আত্মার জ্যোতির্ময় বিগ্রহ; ছিলেন নবযুগের প্রাণপুরুষ ।তাঁর জীবনবেদ আজও আমাদের প্রেরণার উৎস।
সম্ভাব্য প্রশ্নাবলি ( Frequently Asked Questions )
প্রশ্নোত্তর - Frequently Asked Questions
স্বামী বিবেকানন্দ কত সালে ,কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই জানুয়ারি উত্তর কলকাতার সিমলাপাড়ার বিখ্যাত দত্ত পরিবারে নরেন্দ্রনাথ ওরফে স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ।
স্বামী বিবেকানন্দের পিতা ও মাতার নাম কী ছিল ?
পিতার নাম বিশ্বনাথ দত্ত এবং মাতা ছিলেন ভুবনেশ্বরী দেবী
নরেন্দ্রনাথ ছোটবেলায় কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন?
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত উত্তর কলকাতার মেট্রোপলিটন স্কুলে নরেন্দ্রনাথ ভর্তি হয়েছিলেন ।
স্বামী বিবেকানন্দ কোন কলেজে দর্শনশাস্ত্র নিয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন ?
জেনারেল অ্যাসেম্বলি কলেজ বর্তমানে যা স্কটিশচার্চ কলেজ নামে খ্যাত ,সেখানে দর্শনশাস্ত্র নিয়ে স্বামীজি অধ্যয়ন করেছিলেন ।
স্বামীজি কত খ্রিষ্টাব্দে প্যারিস বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে যোগদান করেন ?
১৯০০ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসে বিশ্বেধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ যোগদান করেন।
স্বামী বিবেকানন্দ কার কাছে সন্ন্যাস ব্রতের দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন?
শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে স্বামী বিবেকানন্দ সন্ন্যাস ব্রতের দীক্ষা নিয়েছিলেন।
কত খ্রিষ্টাব্দের স্বামী বিবেকানন্দের মহাপ্রয়াণ ঘটে?
১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা জুলাই
- Related topics -
- জীবনী
- সাহিত্য
- স্বামী বিবেকানন্দ
Contents ( Show )
- জন্ম ও বংশ পরিচয় | স্বামী বিবেকানন্দের ছেলেবেলা
- শৈশব ও শিক্ষাজীবন
- ঈশ্বর জিজ্ঞাসা ও শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্য লাভ
- ভারত পর্যটনে বিবেকানন্দ
- শিক্ষক বিশ্বধর্মসভায় বিবেকানন্দ | স্বামী বিবেকানন্দের মানবতাবাদ
- সংগঠক বিবেকানন্দ | স্বামী বিবেকানন্দ ও যুব সমাজ রচনা
- মহাপ্রয়াণ
- সাহিত্যকীর্তি
- স্বামী বিবেকানন্দ হিন্দু ধর্ম
- সম্ভাব্য প্রশ্নাবলি ( Frequently Asked Questions )
- প্রশ্নোত্তর ( Frequently Asked Questions )
- পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File