SSC 2016 Panel Cancel | 'সোমেই প্রকাশ হবে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা'- আশ্বাস শিক্ষামন্ত্র্রীর! জানালো ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল

এক ধাক্কায় চাকরি গেলো প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর! হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যের জেলায় জেলায় DI অফিসের সামনে বিক্ষোভে নামেন চাকরিহারারা। কসবায় শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার থেকে অনশন শুরু করেন চাকরিহারারা। এবার শুক্রবার SSC ভবন অভিযান কর্মসূচি রয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হলো চাকরিহারা শিক্ষকদের! 'সোমেই প্রকাশ হবে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা' আশ্বাস শিক্ষামন্ত্র্রীর! জানালো ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
১১ই এপ্রিল, দুপুর ৪.০৫: বৈঠক শেষে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এসএসসি কতৃপক্ষ যোগ্য অযোগ্যদের তালিকা তৈরির জন্যে রাজি হয়েছে। আগামী রবিবারের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। সোমবার, ২১ এপ্রিল তা প্রকাশ করা হতে পারে।

১১ই এপ্রিল, দুপুর ৪.০৫: শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হলো চাকরিহারা শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীদের। বিকাশ ভবন থেকে বেরিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাবেন তারা।

১১ই এপ্রিল, দুপুর ৪.০৫ : চাকরিহারাদের ১২ জনকেই বৈঠকে থাকার অনুমতি।
১১ই এপ্রিল, দুপুর ৩.১৫ : বিকাশ ভবনে ঢুকতে চেয়েছিলেন চাকরিহারা ১২ জন প্রতিনিধি। ছ’তলায় হবে বৈঠক। তবে এতজনকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আট জন প্রাথমিক ভাবে ভিতরে প্রবেশ করেছেন। তবে তাঁদের দাবি, সকলকে অনুমতি দেওয়া না হলে দাবি-দাওয়া জানানো সম্ভব নয়, বৈঠক শুরু হওয়া সম্ভব নয়।

১১ই এপ্রিল, দুপুর ২.৪৫ : বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর জন্য রওনা দিলেন চাকরিহারাদের প্রতিনিধি দলের। বিকাশ ভবনে উপস্থিত রয়েছেন SSC চেয়ারম্যানও।
১১ই এপ্রিল, দুপুর ২.১৫ : বিকাশ ভবনে পৌঁছলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই। বৈঠকে থাকতে পারেন SSC চেয়ারম্যান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি-সহ অন্যান্যরা।
১১ই এপ্রিল, দুপুর ২.০৮ :OMR শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবি চাকরিহারা শিক্ষকদের।
১১ই এপ্রিল, দুপুর ১.৪০: চাকরিহারাদের মিছিলে অবরুদ্ধ সল্টলেকের উইপ্রো মোড়।
১১ই এপ্রিল, বেলা ১২.৩৪: শুরু হলো চাকরিহারাদের SSC ভবন অভিযান। মিছিলকারীদের পরনে ‘আমরা যোগ্য’ টি-শার্ট। মিছিল থেকে উঠল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। মিছিলকারীদের একটাই দাবি, চাকরি ফেরৎ চাই।
১১ই এপ্রিল, বেলা ১২.০২: কসবা কাণ্ডের তদন্তে ‘লাথি মারা’ SI রিটন দাস। ক্ষুব্ধ চাকরিহারারা।
১১ই এপ্রিল, ১০.৪০: চাকরিহারাদের ‘গান্ধীগিরি’। কসবায় লাঠিচার্জের পালটা পুলিশকে গোলাপ ফুল বিলি চাকরিহারাদের। তবে গোলাপ নিতে অস্বীকার করেন পুলিশরা।
১১ই এপ্রিল, সকাল ১০.৩০: প্ররোচনায় পা দেবেন না। এসএসসি ভবনের সামনে প্রচার চাকরিহারাদের।
শুক্রবার SSC ভবন অভিযান কর্মসূচি রয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের। এদিনই দুপুরে বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকও রয়েছে তাদের।

১০ই এপ্রিল, দুপুর ৩.৪০: সুপ্রিম রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে চাকরিহারাদের পরবর্তী কর্মসূচি দিল্লিতে। ১৬ এপ্রিল যন্তর-মন্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচি। ইতিমধ্য়েই পুলিশের অনুমতি মিলেছে বলে খবর।
১০ এপ্রিল, দুপুর ৩.৩৩ : ডোরিনা ক্রসিংয়ে উপস্থিত হলেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে ধর্মতলা চত্বর। আরজি কর আন্দোলনকারীরাও এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।
১০ এপ্রিল, দুপুর ১.৪৩ : শুরু হলো চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের মিছিল শুরু হলো। শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত চাকরিহারা শিক্ষকদের মিছিল হবে। কালো ব্যাজ পরে মিছিলে হাঁটছেন শিক্ষাকর্মীরাও।

১০ এপ্রিল, বেলা ১২.১৩ : চাকরিহারা শিক্ষকদের অবস্থানস্থলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং রুদ্রনীল ঘোষ।
১০ এপ্রিল, বেলা ১১.২৪ : SSC দফতরের সামনে অনশন শুরু করলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে এই অনশন শুরুর কথা জানানো হয়েছে। প্রথমে অনশনে বসেছেন পঙ্কজ রায় নামে এক চাকরিহারা শিক্ষক।

৯ই এপ্রিল, রাত ৯.৪৫টা: রাত বাড়ার সাথে সাথে জমায়েত শুরু হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরের সামনে। ১৬৩ ধারার নোটিস ঝোলানো হয়েছে আচার্য সদনের বাইরে। কয়েকজন চাকরিহারা শিক্ষক উপস্থিত হয়েছেন সেখানে। রাতেই সেখানে পৌঁছলেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
৯ই এপ্রিল, বিকেল ৫.৫০: রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ চাকরিহারা শিক্ষকদের। অবরুদ্ধ গড়িয়াহাট। “আগে সুপ্রিম কোর্ট পেটে লাথি মেরেছিল, আজ পুলিশ”, মন্তব্য চাকরিহারাদের।
৯ই এপ্রিল, বিকেল ৪.০১: লাঠিচার্জ নিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বললেন, “পুলিশের উপর প্রথম চড়াও হয়েছে ওরা। ৬ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। আমাদের কাছে সেইসব ভিডিওর ফুটেজ রয়েছে।” এদিকে এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বললেন, “ মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও ডিআই অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? কটা দিন আন্দোলন স্থগিত করা যেত না?”
৯ই এপ্রিল, দুপুর ৩.০২: জেলায় জেলায় পুলিশের হাতে আক্রান্ত চাকরিহারা শিক্ষকরা। চার পুলিশ কর্মীও জখম, দাবি লালবাজারের।

৯ই এপ্রিল, দুপুর ১.৫৬: চাকরিহারাদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ জানিয়ে বিকাশভবনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । জানালেন, চিঠি দিতে ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করবেন না তিনি। সেখানে দাঁড়িয়েই মমতাকে লেখা চিঠি ছিড়ে ফেলেন তিনি। অন্যদিকে, লালবাজারের সামনে বিক্ষোভে বিজেপি বিধায়করা। শংকর ঘোষকে চ্যাংদোলা করে তুলল পুলিশ।
৯ই এপ্রিল, দুপুর ১.৩২: কোচবিহারেও ডিআই অফিসের সামনে দফায় দফায় উত্তেজনা।
৯ই এপ্রিল, দুপুর ১.২৫: বাঁকুড়ায় গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চাকরিহারা শিক্ষিকার। শর্মিষ্ঠা দুয়ারী নামে ওই শিক্ষিকা পাত্রহাটি হাই স্কুলে কর্মরত ছিলেন।
৯ই এপ্রিল, দুপুর ১.০৩: কসবায় চাকরিহারাদের রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার পুলিশের।

৯ই এপ্রিল, দুপুর ১২.২০: মালদহে চাকরিহারাদের ডিআই অফিস ঘেরাও ঘিরে ধুন্ধুমার। বাধা দিতেই পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি। চরম উত্তেজনা।
৯ই এপ্রিল, দুুপুর ১২.০৮: অশান্তির আশঙ্কায় পুলিশে ছয়লাপ কসবা ডিআই অফিস। গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে তালা ভাঙার চেষ্টা চাকরিহারাদের। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় তুমুল হাতাহাতি। তালা ভেঙেই ডিআই অফিসে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এরপর পালটা লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।
৯ই এপ্রিল, দুপুর ১২.০৬: তমলুকেও ডিআই অফিসে তালা ঝোলালেন চাকরিহারারা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, 'আমরা ভলান্টিয়ারিলি কাজ করব না।'
৯ই এপ্রিল, দুপুর ১২.০৫: কলকাতার রাস্তায় মিছিলে চাকরিহারারা। তিনদফা দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক বিক্ষোভকারীদের।

৯ই এপ্রিল, বেলা ১১.৫০: বর্ধমানে বিক্ষোভে চাকরিহারারা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ পুলিশের।
৯ই এপ্রিল,সকাল ১০.৩০: বালুরঘাটের এসএসসি প্রতীকী মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে মিছিল বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীরা।
৯ই এপ্রিল, সকাল ১০.০০: চাকরি বাতিলের প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকেই জেলায় জেলায় ডিআই অফিস ঘেরাও চাকরিহারাদের। মেদিনীপুরে ডিআই অফিসারকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। প্রবল উত্তেজনা অফিস চত্বরে।
এক ধাক্কায় চাকরি গেলো প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর! হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যের জেলায় জেলায় বিক্ষোভে নেমেছেন চাকরিহারারা। জেলায় জেলায় চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। কোথাও ডিআই অফিসে বিক্ষোভ, কোথাও ডিআই-কে ঢুকতে বাধা, কোথাও কমিশনের শবদেহ ঘাড়ে করে নিয়ে প্রতীকী বিক্ষোভ, কোথাও আবার কোলের সন্তানকে নিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ।

৭ই এপ্রিল, বেলা ১২.২৩: মুখ্যমন্ত্রী মমতা আরও বলেন, “আমি জেনেশুনে কাউকে শাস্তি দিইনি। কারও চাকরি খাইনি। আমি বলেছিলাম, বদলা নয়। বদল চাই। কেন মামলা করলেন? ভুল হতে পারে। ভুল সংশোধনের জন্য সময় দিন। ভুল করা অধিকার।যোগ্যদের চাকরি কাড়তে দেব না, এটা আমার চ্যালেঞ্জ। শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত চলছে।”
৭ই এপ্রিল,বেলা ১২.১৭: মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সংকটের মধ্যে এসে দাঁড় করিয়েছেন। আপনাদের শোকে আমরা পাথর হয়ে গিয়েছি। একথা বলার জন্য আমাকে জেলে ভরাও হতে পারে। এখনও সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য ও অযোগ্য বলতে পারেনি। আসুন আমরা বঞ্চিত ও যোগ্য দু’ভাগে ভাগ করি।”
৭ই এপ্রিল, বেলা ১২.১৪: মুখ্যমন্ত্রীর সামনে চাকরিহারাদের হয়ে বার্তা, বক্তব্য রাখলেন কয়েক শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সকলেরই বক্তব্য, চাকরি গেলে সংসার কীভাবে চলবে?
৭ই এপ্রিল, বেলা ১১.২০: নেতাজি ইন্ডোরে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অত্র আগে পাস নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়। গার্ডরেল ভাঙার চেষ্টা করা হয় বলে খবর।
৭ই এপ্রিল, ৯.৪৪: যাঁদের পাস আছে তাঁদের অন্য পথে ঢোকানো হচ্ছে নেতাজি ইন্ডোরে এবং যাঁদের পাস নেই তাঁদের বিক্ষোভ না দেখিয়ে অপেক্ষা করার বার্তা পুলিশের। ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।
৭ই এপ্রিল, সকাল ৮.৫০: OMR শিট হাতে শহিদ মিনার থেকে নেতাজি ইন্ডোরের দিকে রওনা চাকরিহারারা। নেতাজি ইন্ডোরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরিহারাদের একাংশ। বাড়ানো হল নেতাজি ইন্ডোরের নিরাপত্তা।
এক ধাক্কায় চাকরি গেলো প্রায় ২৬ হাজার জনের! হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের রায়ের পর রাজ্যজুড়ে হাহাকার চাকরিহারাদের। তাঁদের বিকল্প দিশা দেখাতে ৭এপ্রিল, সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সমাবেশে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

৩রা এপ্রিল : শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা!
প্রায় ২৬ হাজারের চাকরি বাতিলেরই পরই বিশেষ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে তলব করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী সহ শিক্ষাদফতরের বিশেষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই নবান্নে পৌঁছে গিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষা আধিকারিকদের একাংশ বলছেন, সুপ্রিম কোর্ট চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছে, তা বাংলার ইতিহাসে এই প্রথম।
৩রা এপ্রিল : কান্নায় ভেঙে পড়লেন চাকরিজীবীরা!
ধর্মতলায় বসে থাকা চাকরিহারাদের বক্তব্য, ‘কিছু বলার নেই। তবে এই দায় সরকারকে নিতে হবে।’ সুপ্রিম কোর্টে প্যানেল বাতিলের রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ২০১৬ এর চাকরিজীবীরা।
৩রা এপ্রিল : 'ব্যাপক দুর্নীতি'! বক্তব্য প্রধান বিচারপতির!
নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির। তিনি আরও বলেন, যারা দোষী হিসাবে চিহ্নিত, তাঁদের কোনও ছাড় নেই।
৩রা এপ্রিল : ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি বহাল রইল!
বীরভূমের নলহাটির সোমা দাস। ২০১৯ সাল থেকে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে পথে নেমে ছিলেন। ক্যান্সার আক্রান্ত তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর চাকরি বহাল রেখেছিল। সেই নির্দেশেই সায় সুপ্রিম কোর্টেরও।
৩রা এপ্রিল : সিবিআই তদন্ত চলবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের!
২০১৬ সালের প্যানেলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের রায় দিলো সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানায়, যারা দোষী নন, তারা নতুন করে আবেদন করতে পারবেন। সিবিআই তদন্ত চলবে। সরকারি চাকরির অন্য বিভাগে থাকা ব্যক্তিরা তিন মাসের মধ্যে স্থানান্তরের আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ সরকারের অন্য দপ্তরে কর্মরত বেশ কিছু কর্মী এসএসসি চাকরির আবেদন করেছিলেন। তাদের অনেকের নামও উঠেছে তালিকায়। তাঁদেরও চাকরি যাবে। তাঁরা সেক্ষেত্রে নিজেদের পুরোনো দপ্তরে ফেরার সুযোগ পাবেন। আবেদন করতে পারবেন তার জন্য।
৩রা এপ্রিল : বাতিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি!
২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিলের পক্ষেই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। বহাল থাকল হাইকোর্টের নির্দেশ। এর ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হলো। যাদের চাকরি বাতিল করা হলো, তাদের বেতন ফেরত দিতে হবে বলে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির।
এক ধাক্কায় চাকরি গেলো প্রায় ২৬ হাজার জনের! হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে বাতিল হলো ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল। গত বছরের এপ্রিলে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম,দশম, একাদশ, দ্বাদশের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, চাকরিহারাদের একাংশ। এর পর আজ সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের রায়কেই মান্যতা দিলো। চাকরি হারালেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন।
- Related topics -
- এক নজরে
- আজকের খবর
- রাজ্য
- পশ্চিমবঙ্গ
- দেশ
- ভারত
- এসএসসি
- চাকরি দুর্নীতি
- সুপ্রিম কোর্ট
- শীর্ষ আদালত
- কলকাতা হাইকোর্ট
- হাইকোর্ট