স্বাস্থ্য

Yogasana : সঠিক নিয়মে বাড়িতে থেকেই করুন যোগ ব্যায়াম, সুস্থ থাকুন

Yogasana : সঠিক নিয়মে বাড়িতে থেকেই করুন যোগ ব্যায়াম, সুস্থ থাকুন
Key Highlights

যোগব্যায়াম মূলত একটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে একটি আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলা, যা মন এবং শরীরের মধ্যে সামঞ্জস্য আনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

কথাতেই আছে, মানবদেহের মনই হল তার শারীরিক সকল রোগের উৎসস্থল। মন সারা দিন বলেই চলেছে, এটা নিয়ে একটু চিন্তা করতে হবে, ওটা কি ঠিক হল— এর থেকেই মাথায় ভিড় করে নানা ভাবনা। আর সেখান থেকেই জন্ম নেয় মানসিক চাপ এবং সেই সূত্রে দানা বাঁধে নানা রোগ। তবে কর্মব্যস্ত জীবন থেকে মানসিক চাপ, উদ্বেগপ্রবণতা, অবসাদ— সহজে তাড়ানো সম্ভব নয়। এব্যাপারে আপনাকে শারীরিক এবং মানসিক - এই দুয়েরই সাহায্য করতে পারে যোগাসন। তবে যোগাসন শক্ত ভেবেই অনেকে শুরুর আগেই পিছিয়ে যান। কিন্তু সঠিক তত্ত্বাবধানে, নিয়ম মেনে করলে বাড়িতেও শুরু করা যায় সহজ যোগাসন।

যাঁরা একদম প্রথমবার যোগাসন শুরু করার কথা ভাবছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে গোড়ায় কিছু হালকা ব্যায়াম বাছা উচিত। পাকস্থলী ভাল রাখার ব্যায়াম, শিরদাঁড়ার ব্যায়াম, সঙ্গে কিছু হালকা আসন, মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য কয়েকটি প্রাণায়াম এবং অতি অবশ্যই ধ্যান— শুরুতে নিয়ম করে এগুলি অভ্যাস করা জরুরি।

যাঁরা অফিসে একই চেয়ারে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন, তাঁদের জন্য ‘এগজিকিউটিভ যোগা’ খুব উপকারী। এক টানা কাজের মধ্যে মাত্র কিছুক্ষণ সময় বার করে আনা। চেয়ারে বসে কিছু হালকা আসনই যথেষ্ট। যেমন, ঘাড় আর কাঁধের কিছু ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে কাঁধের ব্যথা বা ঘাড়ের ব্যথা সারিয়ে নেওয়া, কোমরটা একটু হেলিয়ে কোমরের ব্যথা সারানো ইত্যাদি। যাঁদের সেটুকু সময়ও নেই, তাঁরা কিছুক্ষণ প্রাণায়াম করতে পারেন।

যাঁরা সর্দিকাশির সমস্যা পিছু ছাড়তে চায় না, তাঁদের জন্য অনুলোম-বিলোমের মতো প্রাণায়াম ভীষণ কাজের। তাঁরা প্রতি দিন সকালে নিয়ম এই যোগ অভ্যাস করুন। অনুলোম ভিলোম হল যোগব্যায়ামে একটি নির্দিষ্ট ধরনের প্রাণায়াম, বা নিয়ন্ত্রিত শ্বাসপ্রশ্বাস। এর মধ্যে শ্বাস নেওয়ার সময় একটি নাকের ছিদ্র বন্ধ রাখা, তারপর শ্বাস ছাড়ার সময় অন্য নাকের ছিদ্র বন্ধ রাখা জড়িত। এটি বিকল্প নাসারন্ধ্র শ্বাসের একটি রূপ।

ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির নমনীয়তা কম থাকলে যোগাসন তাঁদের কাছে খুব সহজ ব্যাপার হবে না। যাঁরা প্রথম যোগাসন শুরু করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে নমনীয়তা কতখানি, সেটা আগেই দেখে নেওয়া উচিত।

  • যোগাসনের জন্য এমন কোনও শান্ত পরিবেশ বেছে নিন, যেখানে আপনি অনায়াসে মনঃসংযোগ করতে পারবেন।
  • যোগাসনের জন্য আরামদায়ক পোশাক বেছে নিন।
  • যদি আপনি যোগা ম্যাট কেনেন তাহলে অবশ্যই মাথায় রাখবেন সেটা যেন অ্যান্টি-স্কিড হয়। নইলে চোট লাগতে পারে। তবে মনে রাখবেন যোগাসনে ‘যোগা ম্যাট’-এর বিরাট কোনও ভূমিকা নেই। 
  • যোগাসনের পরে অবশ্যই কিছুক্ষণ সময় শবাসনের জন্য বরাদ্দ রাখুন।
  • এক দিন-দু’দিন নয়, যোগাসনের সেরা ফল পেতে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রত্যহ নিয়ম করে অভ্যেস করা উচিত।