আয়কর রিটার্ন বিধিতে বড়সড় রদবদল। হার্ডকপি জমা দেওয়ার মেয়াদ একধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দিল আয়কর দপ্তর। তবে কি সময়সীমা বাড়ল?
ই-ভ্যারিফিকেশন হল আয়কর রিটার্ন জমা প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপ। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা না করা হয়, তবে সেই রিটার্নকে অবৈধ ধরা হয়। এবার আয়কর জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা কেন্দ্র বাড়াবে কিনা সেদিকে নজর ছিল সকলেরই। এমনও মনে করা হচ্ছিল, অন্যবারের মতো এবারও সরকার শেষ মুহূর্তে হয়তো ওই সময়সীমা বাড়ানো হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র সীমা বাড়ায়নি।
আয়কর রিটার্নের (IT return) ই-ভ্যারিফিকেশন (e-verification) অথবা হার্ডকপি জমা দেওয়ার মেয়াদ একধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দিল আয়কর দপ্তর। এতদিন এই মেয়াদ থাকত ১২০ দিনের। এবার তা কমে হল ৩০ দিন। গতকাল, সোমবার থেকে এই নয়া নিয়ম কার্যকর হয়েছে। গত ২৯ জুলাই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রের তরফে এই সংক্রান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১ শে জুলাই ছিল রিটার্ন দাখিল করার শেষ দিন। ওইদিন পর্যন্ত ৫.৮৩ কোটি টাকার রিটার্ন জমা পড়েছে। কেবল রবিবারই ৭২ লক্ষ টাকারও বেশি অঙ্কের অর্থ জমা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, আয়কর রিটার্নের শেষ দিন পেরিয়ে গেলেও এই অর্থবর্ষের ফাইল রিটার্নের সুযোগ এখনও রয়েছে। তবে এবার রিটার্নের জন্য গুনতে হবে জরিমানা। ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিলে বার্ষিক আয় যদি ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়, তাহলে ১,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। ৫ লক্ষের বেশি আয়ের ক্ষেত্রে আগামী ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রযোজ্য জরিমানার পরিমাণ ৫,০০০ টাকা। আরও দেরি হলে জরিমানার অঙ্ক আরও বাড়বে। আগামী ১ লা জানুয়ারি থেকে ৩১ শে মার্চের মধ্যে রিটার্ন জমা দিলে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে। তবে পুরনো আয়করের নিয়ম অনুযায়ী, ৬০ বছরের নিচে কারও বার্ষিক আয় যদি আড়াই লক্ষ কিংবা তার চেয়ে কম হয়, সেক্ষেত্রে কোনও জরিমানা দিতে হবে না।
- Related topics -
- দেশ
- অর্থনৈতিক
- আয়কর আইন
- লাইফস্টাইল