হোয়াইট হাউসের মতে, এটা মস্কোর কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়, এর সঙ্গে যুদ্ধের তীব্রতা কমার বিন্দুমাত্র কোনও সম্পর্ক নেই।
সম্প্রতি মস্কো, কিভ ও চেরনিহিভে সেনা তৎপরতা কমানোর কথা ঘোষণা করেছে। ফলে অনেকেরই ধারণা সামান্য হলেও হয়তো আশার আলো দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অন্যদিকে রাশিয়ার এই ঘোষণাকে ‘বোকা বানানোর বন্দোবস্ত’ বলে দাবি করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের মতে, এটা মস্কোর কৌশলগত বদল মাত্র। এর সঙ্গে যুদ্ধের তীব্রতা কমার বিন্দুমাত্র কোনও সম্পর্ক নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতে, এমন গালভরা কথা বলে দুনিয়ার নজর ঘোরাতে চান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এটা আসলে রাশিয়ার যুদ্ধ পরিকল্পনায় কৌশলগত পরিবর্তন। এর সঙ্গে সেনা প্রত্যাহারের কোনও সম্পর্কই নেই। এ বার মস্কোর নিশানায় আসতে চলেছে ইউক্রেনের বাকি অংশ। পাশাপাশি কিভেও হামলার তীব্রতা কমার কোনও আশা নেই।
বেলারুশের শান্তি আলোচনা থেকে ইস্তানবুল— আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা ইউক্রেনের আলোচনার অভিমুখের একটা স্পষ্ট বদল টের পাচ্ছেন। NATO-র মুখাপেক্ষী হওয়ার বদলে ইস্তানবুলে বহুদেশীয় নজরদার সমিতি তৈরির ব্যাপারে জোর দিচ্ছেন জেলেনস্কির দেশের প্রতিনিধিরা। অর্থাৎ আমেরিকা ও পশ্চিমী দেশগুলি যে প্রকৃত অর্থে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ময়দানে নামবে না, সে ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত হয়েছে কিভ। তারই ফলশ্রুতিতে কি ক্রমশ নরম অবস্থানের পথে জেলেনস্কি? আর তা আঁচ করতে পেরেই কি এমন প্রতিক্রিয়া ওয়াশিংটনের? ইত্যাদি অনেক প্রশ্ন উঠছে।
- Related topics -
- আন্তর্জাতিক
- রাশিয়া
- ইউক্রেন
- আমেরিকা
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র