Pre Workout Snacks | খালি পেটে শরীরচর্চা করলে উল্টে হবে বিপদ! জানুন শরীরচর্চার আগে ও পরে কী খাবার খাওয়া উচিত? খাওয়ার কতক্ষণ পরেই বা করবেন ব্যায়াম?
অনেকেই খালি পেটে শরীরচর্চা শুরু করে দেন। এই অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়। খালি পেটে শরীরচর্চা করলে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। আবার বেশি ভারী খাবার খেয়ে নিলেও অস্বস্তিবোধ হবে।
শরীর সুস্থ্য রাখতে অনেকেই সকাল সকাল জিমে যান অথবা বাড়িতেই শরীর চর্চা করে থাকেন। তবে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে শরীর চর্চা করতে বারণ করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ভরা পেটেও শরীর চর্চা করা যায় না। এক্ষেত্রে গা গুলিয়ে, বমি করে, সারা দিন ধরে শরীর অস্বস্তি হবে। অনেকেই প্রি ওয়ার্কআউট সাপ্লিমেন্ট (Pre workout supplements) পানীয় খেয়ে থাকেন। তবে সেক্ষেত্রেও একই জিনিস দেখা যায়। তাহলে উপায় কী? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু প্রি ওয়ার্কআউট ড্রিংক (pre workout drink) ও খাবার রয়েছে যা খেয়ে শরীর চর্চা করলে গা গোলাবেও না আবার ক্যালোরি পোড়ানো আরও সহজ হবে।
শরীরচর্চা করার আগে কী খাবার খেতে পারেন?
কলা:
কলার মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে, যা প্রয়োজনীয় মিনারেল ও ইলেক্ট্রোলাইট, যা দেহে ছোট ইলেক্ট্রিকাল চার্জ বহন করে। এই চার্জ স্নায়ু কোষগুলিকে নিয়মিতভাবে স্পন্দনের জন্য হার্টে সংকেত পাঠাতে এবং পেশীগুলিকে সংকুচিত করতে ট্রিগার করে, যা আরও শক্তি প্রয়োগ করতে সাহায্য করে। এছাড়া কলা খেলে শরীরে তাৎক্ষণিক এনার্জি মেলে।
প্রোটিন জাতীয় খাবার :
প্রি ওয়ার্কআউট (pre workout) খাবার হিসেবে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে বলেন প্রশিক্ষকেরা।
ওটমিল :
শরীর চর্চার আগে ওটমিল খেতে পারেন। পুষ্টিগুণে ভরপুর ওটস খেয়ে শরীরচর্চা করলে ওজন কমানো আরও সহজ হবে। এতে জটিল কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা শক্তি নির্গত করতে সাহায্য করে। শরীরচর্চা করার অন্তত একটা ঘণ্টা আগে ওটমিল খান।
ড্রাই ফ্রুট্স :
শরীরচর্চা করার আগে একমুঠো ড্রাই ফ্রুট্স কিন্তু প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দিতে পারে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বীজ, শুকনো ফল শরীরে বিভিন্ন খনিজের ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে। খেতে পারেন আমন্ড। প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ফাইবারে ভরপুর আমন্ড।
গ্রিক ইয়োগার্ট:
প্রি ওয়ার্কআউট সাপ্লিমেন্ট (Pre workout supplements) না খেয়ে প্রি-ওয়ার্ক আউট স্ন্যাকসে হিসেবে গ্রিক ইয়োগার্ট খেতে পারেন। প্রোটিনে ভরপুর এই খাবার খেলে এটি পেশি গঠনে ও পুনরুদ্ধারে বিশেষ সাহায্য করে। এছাড়া এতে প্রোবায়োটিক রয়েছে, যা পাচনতন্ত্র ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে।পেটফাঁপা, গা গুলোনো বা বমি বমি ভাবও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এই খাবার।
পাউরুটি :
প্রি ওয়ার্কআউট (pre workout) স্ন্যাক্স হিসেবে দু’টুকরো পাউরুটিতে পিনাট বাটার মাখিয়েও খেতে পারেন। সঙ্গে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে রাখতে পারেন ডিমও।
স্মুদি:
প্রি ওয়ার্কআউট ড্রিংক (pre workout drink) হিসেবে খেতে পারেন স্মুদি। সবজি, টক দই, ফল, ড্রাই ফ্রুটস ইত্যাদি দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। স্মুদি বানানোর সময় তাজা ফল, সবজি, প্রোটিন পাউডার, টক দই ইত্যাদি ব্যবহার করলে শরীরে এনার্জি পাওয়া যায়। তাছাড়া স্মুদি শরীরকে হাইড্রেট রাখতেও সাহায্য করে।
জিমে যাওয়ার আগে কী কী খেলে চলবে না?
- চিনি যুক্ত কোনও খাবার ভুলেও খেলে চলবে না।
- ভাজাভুজি বা প্রক্রিয়াজাত কোনও খাবারই কিন্তু শরীরচর্চা করার আগে খাওয়া যায় না। এই ধরনের খাবারে কার্বোহাইড্রেট বেশি। যা তৎক্ষণাৎ শরীরে শক্তি জোগাতে পারে। কিন্তু আদতে লাভ কিছু হয় না।
- দুধ কিংবা দুধ দিয়ে তৈরি কোনও জিনিস ভারী শরীরচর্চার আগে না খাওয়াই ভাল।
- শরীর চর্চা করার আগে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি না খাওয়াই ভাল।
খালি পেটে কোনও কাজই হয় না। এমনকি শরীরচর্চাও নয়। যোগব্যায়াম বা শরীরচর্চা করার আগে ভরপেট খাবার খাওয়া যায় না। কিন্তু একদম খালি পেটে শরীরচর্চা করলে, সেটাও খারাপ। তাই শরীরচর্চার আগে হালকা খাবার হলেও খেতে হবেই। তাই হালকা স্ন্যাকসের মজুত রাখুন রান্নাঘরে। শরীরচর্চা শুরু করার অন্তত ৪৫-৬০ মিনিট আগে খাবার খান। আর ভারী খাবার খাওয়ার পর যোগব্যায়াম করবেন না। ভারী খাবার খাওয়ার ২-৩ ঘণ্টা পর শরীরচর্চা করতে পারেন।
- Related topics -
- লাইফস্টাইল
- খাদ্য
- খাদ্যগুণ
- স্বাস্থ্য
- শরীরচর্চা
- বাড়িতে শরীরচর্চা