Best Ayurvedic Medicine for Cough | পুজোয় ঠান্ডা খেয়ে শীতের মুখে সর্দি-কাশিতে নাজেহাল? ঘরোয়া এই টোটকাতেই মিলবে আরাম!
পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায় এসেছে পরিবর্তন। শীতের আগমন হতে চলেছে বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এঅবস্থায় সর্দি-কাশিতে নাজেহাল অনেকেই। তবে এই সমস্যা মিটবে ঘরোয়া টোটকাতে। বাড়িতে বানান কাশির জন্য সেরা আয়ুর্বেদিক ওষুধ।
দুর্গাপুজো কাটতেই বদল এসেছে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায় (Weather of West Bengal)। এখন থেকেই বেশ শীতের আমেজ অনুভব হচ্ছে গোটা বঙ্গ জুড়ে। এই অবস্থায় আবহাওয়ার পরিবর্তন তারওপর পুজোয় রাত জাগা, ঠান্ডা খাওয়া, হয় হুল্লোড়- সব মিলিয়ে বর্তমানে ঘরে ঘরে সর্দি কাশি। আট থেকে আশি বর্তমানে কম বেশি সর্দি-কাশিতে ভুগছেন বঙ্গবাসী। লাগাতার খুসখুসে কাশিতে রীতিমত উড়ছে ঘুমও। এই অবস্থায় নানান কাশির ওষুধ খেয়েও মিলছে না সুরাহা। তবে এই কাশি-সর্দি থেকে চটজলদি মুক্তি দিতে পারে কিছু ঘরোয়া টোটকা।
পুজোর কদিন অনিয়মের ফলে অনেকেই ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভুগছেন। এরপর পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া (Weather of West Bengal) বদল। সব মিলিয়ে এখন অসংখ্য মানুষই সর্দি কাশিতে ভুগছেন। তবে এই শরীর খারাপ নিয়েই করতে হচ্ছে অফিস, কাজকর্ম। তবে এই সমস্যা দূর করতে পারে ঘরোয়া টোটকা। আগে এই টোটকাগুলিই কাশির জন্য সেরা আয়ুর্বেদিক ওষুধ (Best Ayurvedic Medicine for Cough) হিসেবে ব্যবহার করা হতো। দেখে নিন কীভাবে বাড়িতেই বানাবেন কাশির জন্য সেরা আয়ুর্বেদিক ওষুধ (Best Ayurvedic Medicine for Cough)।
মধু-আদা-লেবুর রস :
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে দু’চামচ মধু, আধ চা চামচ লেবুর রস আর সামান্য পরিমাণ আদার রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ অন্তত দুই থেকে তিন বার খেলে শুকনো কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এই মিশ্রনের তিন উপাদান- মধু আদা ও লেবু তিনটিই কাশির ঠিক করার জন্য বেশ কার্যকর। পাশাপাশি এটি শরীর সুস্থ্য রাখে।
মধু ও গরম জল :
এনসিবিআই (NCBI)-তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১ বছরের শিশু বা তার বেশি বয়সীদের জন্য, মধু শুকনো কাশি থেকে মুক্তি দিতে পারে। কেবল শিশুদের ক্ষেত্রেই নয়, বড়োদের ক্ষেত্রেও বেশ কার্যকর মধু। কারণ মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা জ্বালা কমাতে সাহায্য করতে পারে, গলায় প্রলেপ দিতে পারে। ফলে কাশি হলে দিনে কয়েকবার ১ চা চামচ মধু খেতে পারেন। এছাড়াও চা বা গরম জলে মধু মিশিয়েও পান করতে পারেন। এটি কাশি জন্য কারা (Kadha for Cough) হিসেবে বেশ কার্যকর।
আদা টুকরো :
কাশি দূর করতে আদারও জুড়ি মেলা ভার। আদা টুকরো করে কেটে নুন মিশিয়ে কিছুক্ষণ অন্তর খেলে কমতে পারে কাশি। বাজারে শুকনো আদাও কিনতে পাওয়া যায়, কাজের ফাঁকে ফাঁকে মুখে শুকনো আদা রাখলেও উপকার পাওয়া যেতে পারে। আদা টুকরোতে মধু লাগিয়েও মুখে রাখতে পারেন। একটি সমীক্ষা অনুসারে, আদার রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা কাশি কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ ও গোলমরিচ :
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন, একটি যৌগ যা প্রদাহরোধী, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার কারণে এটি শুকনো কাশি-সহ অনেক পরিস্থিতিতে উপকারী। কালো মরিচের সাথে কারকিউমিন রক্ত প্রবাহে ভালভাবে শোষিত হয়। কাশি দূর করার জন্য কমলার রসের মতো পানীয়তে ১ চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। এই পানীয়তে ১/৮ চা চামচ কালো মরিচও মিশিয়ে খেতে পারেন।
তুলসী কাশির সিরাপ :
তুলসী পাতা খুব দ্রুত খুসখুসে কাশি নিরাময় করে। কাশি হলে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন। চায়ের সঙ্গে তুলসী পাতা মিশিয়েও খেতে পারেন। এছাড়াও বানাতে পারেন তুলসী কাশির সিরাপ (Tulsi Cough Syrup)। এই সিরাপ তৈরী করার জন্য প্রথমে কৃষ্ণ তুলসির ২-৩টি পাতা থেকে রস বের করুন। তারপর এতে ২ চা চামচ মধু, ১/৪ চিমটি খাঁটি হলুদ এবং ১/৪ চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো যোগ করুন। এই তুলসী কাশির সিরাপ (Tulsi Cough Syrup) দুই চা চামচ পরিমাণে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেতে পারেন। চিকিৎসকের মত, কাশি জন্য কারা (Kadha for Cough) হিসেবে তুলসীর তৈরী সিরাপ অত্যন্ত কার্যকর। এই আয়ুর্বেদিক কাশির সিরাপটি কাশি এবং সর্দির জন্য একটি ওষুধ। যা বুকের কফ দ্রুত দূর করে দেয়।
খুসখুসে কাশির সমস্যা দূর করতে চাইলে এই সব ঘরোয়া টোটটকার পাশাপাশি দিনে তিন থেকে চার বার নুন জলে দিয়ে গার্গেল করলে ভালো। কারণ এতে ইনফেকশন কমবে পাশাপাশি সর্দি-কাশিও দ্রুত ঠিক হবে। তবে ঘরোয়া টোটকাতে সব সময় যে সর্দি কাশি ঠিক হবে তা কিন্তু নয়। যদি ঘরোয়া টোটকাতে শরীর ঠিক না হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক।