দেশ

ISRO Chandrayaan 3 | চাঁদের মাটিতে ভারতের প্রতীক! ধুলোর ঝড় পেরিয়ে যাত্রা শুরু করলো 'প্রজ্ঞান'!

ISRO Chandrayaan 3 | চাঁদের মাটিতে ভারতের প্রতীক! ধুলোর ঝড় পেরিয়ে যাত্রা শুরু করলো 'প্রজ্ঞান'!
Key Highlights

২৩ সে অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করলো ইসরোর চন্দ্রযান-৩। চাঁদে ভোর হতেই 'বিক্রমে'র মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে রোভার 'প্রজ্ঞান'। চাঁদের মাটির উপাদান, আবহাওয়া পরীক্ষা করবে এই অত্যাধুনিক যান।

চাঁদে পৌঁছে ইতিহাস গড়লো ভারত (India)। ২৩ সে অগাস্ট সন্ধ্যে ৬টা ৪ মিনিটের আগেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফ্ট ল্যান্ডিং করলো ইসরোর চন্দ্রযান-৩ (ISRO Chandrayaan 3)। গোটা বিশ্বের কাছে দেশের ক্ষমতা, দক্ষতা, জেদ, ইচ্ছাশক্তির, প্রতিভা প্রমাণ করলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তবে এতো সবে শুরু, আসল চন্দ্রাভিযান শুরু হলো আজ সকাল থেকে।India)। ২৩ সে অগাস্ট সন্ধ্যে ৬টা ৪ মিনিটের আগেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফ্ট ল্যান্ডিং করলো ইসরোর চন্দ্রযান-৩ (ISRO Chandrayaan 3)। গোটা বিশ্বের কাছে দেশের ক্ষমতা, দক্ষতা, জেদ, ইচ্ছাশক্তির, প্রতিভা প্রমাণ করলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তবে এতো সবে শুরু, আসল চন্দ্রাভিযান শুরু হলো আজ সকাল থেকে।

চাঁদে সকাল হতেই খুলে গেল ল্যান্ডার 'বিক্রমে'র (Lander Vikram) দরজা।  ভেতর থেকে  গুটি গুটি পায়ে বেরিয়ে এসেছে বিশাল কর্মযজ্ঞের মূলে থাকা চন্দ্রযানের রোভার 'প্রজ্ঞান' (Rover Pragyan)। এই প্রজ্ঞানই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ঘুরে সব পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে। এর জন্যই এতো আয়োজন। ইসরো আজ সকালে অর্থাৎ ২৪ সে অগাস্ট সকালে জানায়, অবতরণের কিছুক্ষণ পর থেকেই চাঁদের মাটিতে বিক্রমের চাকা গড়ানো শুরু করে। ওই অংশে সদ্য ভোরের আলো ফুটতেই বিক্রমের ঢালু প্যাড বেয়ে বেড়ে আসে রোভারটি।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Indian Space Research Organization) সূত্রে খবর, আগামী ১৪ দিন এই প্রজ্ঞান চাঁদে ঘুরে ঘুরে যথাসম্ভব তথ্য সংগ্রহ করে ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাঠাবে। বিশেষ প্রযুক্তির এই রোভারের গতিবেগ খুবই সামান্য, প্রতি সেকেন্ডে মাত্র ১ সেন্টিমিটার। সৌরশক্তি চালিত এই রোভারের চাকার সংখ্যা ছয়। বিজ্ঞানের দুনিয়ায় এই ছ’চাকার যন্ত্রের সাহায্যেই ছক্কা হাঁকাতে চায় ইসরো।এই অত্যাধুনিক মহাকাশযানে রয়েছে একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি। এই সকল যন্ত্রপাতি দিয়ে রোভার পরীক্ষা করে দেখবে চাঁদের মাটিতে কোন ধরনের খনিজ বস্তু আছে, ওই অঞ্চলের আবহাওয়া কেমন ইত্যাদি।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে যে জায়গায় সূর্যের আলো পড়ে না, সেখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২০০ ডিগ্রি নীচে। এই অংশে বরফের আকারে জল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর গোলার্ধের মাটি ও পাথর পৃথিবীতে এনে গবেষণা করেছে তিনটি দেশ। কিন্তু দক্ষিণ গোলার্ধ অনেকটাই অচেনা। সেই নিয়েই এবার পরীক্ষা করবে ভারত।

উল্লেখ্য, চাঁদের বুকে ঘুরে পরীক্ষা করার সময় চাঁদের মাটিতে ভারতের প্রতীক এবং ইসরোর লোগোর ছাপ ফেলবে রোভার প্রজ্ঞান। চন্দ্রযান ৩-এর এই ছয় চাকা বিশিষ্ট রোভার প্রজ্ঞানের চাকার মধ্যে খদিত রয়েছে ইসরোর লোগো এবং ভারতের অশোক স্তম্ভ। ফলে যতবার চাঁদের মাটিতে চাকা গড়াচ্ছে, ততবার অশোক স্তম্ভের চিহ্ন রয়ে যাবে সেখানে। কেবল অশোক স্তম্ভই নয়, চাঁদের মাটিতে ভারতের জাতীয় পতাকা পুঁতে দিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। তার সঙ্গেই রয়েছে সেই পতাকা।

প্রসঙ্গত, বিক্রমের ল্যান্ডিংয়ের পর প্রজ্ঞানের বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া খুব বেশি সহজ ছিলোনা। কারণ ল্যান্ডিংয়ের পরই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ধুলোর ঝড়ের মুখোমুখি পড়ে চন্দ্রযান-৩। ধুলোর ঝড় না কমা পর্যন্ত কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ফলে ল্যান্ডার বিক্রমের পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে আসতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে রোভার প্রজ্ঞানের। তবে এখন বাধা বিপত্তি পেরিয়ে চাঁদের 'কুমেরু'র পরীক্ষা যাত্রা শুরু করেছে রোভার প্রজ্ঞান।