Tax Evasion: চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে সংসদে সুর চড়ালেন অর্থমন্ত্রী
কর ফাঁকি থেকে বিদেশে অর্থ পাচার! ভারতে স্মার্টফোন দুনিয়ার Oppo, Vivo, Xiaomi-এই তিন চিনা কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র। ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর।
Oppo, Vivo, Xiaomi হল দেশের জনপ্রিয় স্মার্টফোন। এই তিন চিনা কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় অর্থ দপ্তর। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এ বিস্ময়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। অর্থমন্ত্রী (Finance Minister) জানিয়েছেন এই তিনটি চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সরকার।
রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ (DRI) মোবাইল কোম্পানি Oppo -কে মোট ৪৩৮৯ কোটি টাকা আমদানি শুল্কের জন্য একটি নোটিশ জারি করেছে। শুল্ক কমানোর জন্য কিছু একাধিক জিনিস ডিক্লারেশন থেকে বাদ দিয়েছে বলে অভিযোগ। অর্থমন্ত্রী মতানুযায়ী, আমরা মনে করি প্রায় ₹2,981 কোটি শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন,স্বেচ্ছায় ৪৫০ কোটি টাকা জমা করতে এসেছিল চিনা সংস্থাটি। যা আমাদের৪৩৮৯ কোটির চাহিদার বিপরীতে।
আরও পড়ুন: Earth's rotation: বেড়ে গিয়েছে পৃথিবীর গতি! ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ঘূর্ণন সম্পন্ন করছে! কিন্তু কেন?
শুধু Oppo নোই, Vivo ও Xiaomi -র বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন Xiaomi ভারিতে ফোন অ্যাসেম্বল করে।
তিনটি শো-কজ নোটিশ জারি করা হয়েছে এবং সেখানে আনুমানিক শুল্ক দায় প্রায় ₹৬৫৩ কোটি। তিনটি শো-কজ নোটিশের পরে তারা মাত্র ₹৪৬ লাখ জমা করেছে। এছাড়াও Vivo-র অধীনে প্রতিষ্ঠিত 18টি কোম্পানির দিকে নজর রাখছে ED। তারা স্বেচ্ছায় 62 কোটি টাকা জমা হিসাবে পাঠিয়েছে। তবে ভারতের বাইরে মূল সংস্থাটির মোট 1.25 লক্ষ কোটি টাকার বিক্রি করেছে।
সংসদে অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, Vivo -র বিরুদ্ধে ₹২,২১৭ কোটির শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ উঠলেও স্বেচ্ছায় মাত্র ₹60 কোটি টাকা চলা দিয়েছে চিনা কোম্পানিটি। "₹১.২৫ লাখ কোটির 18টি কোম্পানির মাধ্যমে ট্রান্সফার করেছে Vivo। মনে করা হচ্ছে Vivo India ভারত থেকে ₹০.৬২ লাখ কোটি টাকা ভারত থেকে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে,” জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED), আয়কর বিভাগ এবং রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (DRI) সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে ভারতে এই কোম্পানিগুলিকে চিনে মূল কোম্পানিগুলির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে নথিবদ্ধ করা হয়েছিল। তবে চিন থেকে ‘নির্দেশ’ দেওয়া হচ্ছিল এই কোম্পানিগুলিকে। একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে এই কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক এই বছরের শুরুতে চীনা সংযোগের অভিযোগে ৭০০ টিরও বেশি মামলা নথিভুক্ত করেছে।
- Related topics -
- দেশ
- অর্থনৈতিক
- মোবাইল ফোন
- ভিভো
- আয়কর আইন