অগ্নিকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবনী, Biography of Indian revolutionary nationalist Pritilata Waddedar in Bangla
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ছিলেন একজন ভারতীয় বিপ্লবী জাতীয়তাবাদী। লিঙ্গ বৈষম্যহীন সমাজ এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনহীন মাতৃভূমি ছিল তাঁর স্বপ্ন। জাতির স্বাধীনতার জন্য প্রীতিলতার সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ বাংলার পরবর্তী আন্দোলনের ক্ষেত্রে একটি মহান অনুপ্রেরণার উৎস ছিল।
জন্ম ও পরিবার, Birth and early life
ভারতের প্রথম শহীদ নারী বিপ্লবী ছিলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। তিনি ১৯১১ সালের ৫ই মে চট্টগ্রামের (বর্তমানে বাংলাদেশে) পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামের এক মধ্যবিত্ত বৈদ্যব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
'ওয়াদ্দেদার' ছিল পরিবারের একজন পূর্বপুরুষ প্রদত্ত একটি উপাধি, তবে তাদের মূল উপাধি ছিল দাশগুপ্ত। প্রীতিলতার বাবা জগবন্ধু ওয়াদ্দেদার ছিলেন চট্টগ্রাম পৌরসভার একজন কেরানি এবং মা প্রতিভাময়ী দেবী ছিলেন একজন গৃহিণী। তাদের ছয় সন্তান ছিল – মধুসূদন, প্রীতিলতা, কনকলতা, শান্তিলতা, আশালতা এবং সন্তোষ। প্রীতিলতার ডাকনাম ছিল রানী।
শিক্ষা লাভ, Education
অগ্নিকন্যা প্রীতিলতার প্রাথমিক ছাত্রজীবন কাটে ঢাকায় এবং পরবর্তী সময়ে তিনি কলকাতায় শিক্ষা সম্পন্ন করেন । পিতা জগবন্ধু তাদের সন্তানদের জন্য সর্বোত্তম শিক্ষা লাভের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি প্রীতিলতাকে চট্টগ্রামের ডাঃ খাস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি করান।
প্রীতিলতা ছিলেন মেধাবী ছাত্রী। স্কুলজীবনে তাঁর প্রিয় শিক্ষিকা ঊষা দি রানি লক্ষ্মীবাইয়ের গল্পগুলির মাধ্যমে ছাত্রদের মধ্যে জাতীয়তাবাদকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছিলেন । প্রীতিলতা ১৯২৮ সাল অবধি ড. খাস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ে পড়াশুনা করেন এবং ১৯২৯ সালে ঢাকার ইডেন কলেজে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন :
ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায়, তিনি ঢাকা বোর্ড থেকে ওই বছরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ইডেন কলেজের ছাত্রী থাকাকালীন তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতেন। তিনি লীলা নাগের নেতৃত্বে সংগঠিত দল 'শ্রী সংঘে' যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য প্রীতিলতা কলকাতায় যান এবং সেখানকার বেথুন কলেজে ভর্তি হন।
দুই বছর পর, তিনি কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতক হন। তবে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকার কারণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর ডিগ্রি আটকে রেখে দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ২০১২ সালে, তাঁকে মরণোত্তর মেধার শংসাপত্র প্রদান করা হয়।
স্কুলশিক্ষিকা হিসেবে কর্মজীবন, Career as a school teacher
কলকাতায় শিক্ষা শেষ করে প্রীতিলতা চট্টগ্রামে ফিরে আসেন। পিতা চাকরিহারা হয়ে পড়ায় সংসারে টানাপোড়ন দেখা দেয়। তখন চট্টগ্রাম বসবাসকারী এক বিশিষ্ট দানশীল ব্যক্তি অপর্ণাচরণ দে নন্দনকাননে প্রতিষ্ঠিত নন্দনকানন উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় নামে একটি স্থানীয় ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে প্রীতিলতাকে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তিনি সেই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত হন ।
সূর্য সেনের বিপ্লবী দলে যোগদান , Participation in Surjyo Sen's revolutionary team
বীরকন্যা প্রীতিলতার এক নিকট-আত্মীয় পূর্ণেন্দু দস্তিদার ছিলেন বিপ্লবী দলের কর্মী। ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত কিছু গোপন বই তিনি বোন প্রীতিলতার কাছে রেখে দেন। সেইসময় তিনি মাত্র দশম শ্রেনীর ছাত্রী ছিলেন । তিনি লুকিয়ে লুকিয়ে বইগুলি পড়তেন। “দেশের কথা”, “বাঘা যতীন”, “ক্ষুদিরাম”, “কানাইলাল”; বাজেয়াপ্ত করা এই সমস্ত গ্রন্থ প্রীতিলতাকে বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত করেছিল ।
প্রীতিলতা তাঁর দাদা পূর্ণেন্দু দস্তিদারের কাছে বিপ্লবী সংগঠনগুলিতে যোগদান করার নিবিড় ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু তখনও পর্যন্ত বিপ্লবী সংগঠনে কোনো মহিলা যোগদান করেনি। কিন্তু প্রীতিলতা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদানের অটল সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৩ জুন ১৯৩২ সালে, প্রীতিলতা তাদের ধলঘাট ক্যাম্পে সুর্য সেন এবং নির্মল সেনের সাথে দেখা করেন। কিন্তু সমসাময়িক একজন বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী মহিলাদের তাদের দলে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি করেছিলেন ।
আরও পড়ুন :
যাইহোক, শেষ পর্যন্ত প্রীতিলতাকে দলে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কারণ বিপ্লবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে অস্ত্র পরিবহনকারী মহিলারা পুরুষদের মতো এতটা সন্দেহভাজন হবে না।
বিপ্লবী অনুপ্রেরণা, Revolutionary inspiration
সূর্য সেন এবং তাঁর বিপ্লবী দল চট্টগ্রামের মহাপরিদর্শক ক্রেগকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই কাজের জন্য বিল্পবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাস এবং কালীপদ চক্রবর্তীকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৩০ সালে ২ ডিসেম্বর আক্রমণের তারিখ ঠিক করা হয়। কিন্তু তারা ভুল করে ক্রেগের পরিবর্তে চাঁদপুরের এসপি এবং তারিণী মুখার্জিকে হত্যা করে।
রামকৃষ্ণ বিশ্বাস এবং কালীপদ চক্রবর্তীকে সেই রাতেই গ্রেফতার করা হয়। বিচারের পর রামকৃষ্ণ বিশ্বাসকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার এবং চক্রবর্তীকে সেলুলার জেলে নির্বাসনের নির্দেশ দেওয়া হয়। ফাঁসির রায় ঘোষণা হওয়ার আগে পর্যন্ত কলকাতার আলিপুর জেলে রাখা হয়েছিল ধৃত বিপ্লবীদের।
সেসময় চট্টগ্রাম থেকে কলকাতার আলিপুর জেলে যাতায়াতের জন্য পরিবার ও বন্ধুদের প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব ছিল। প্রীতিলতা কলকাতায় থাকায় তাঁকে আলিপুর জেলে গিয়ে রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়, কারণ তখন বিপ্লবী হিসেবে ব্রিটিশদের সন্দেহ মেয়েদের উপর ছিলনা, বিশেষত যুবক বয়সীরা ছিল পুলিশের চোখে সবচেয়ে সন্দেহভাজন। প্রীতিলতা বোন হিসেবে পরিচয় দিয়ে রামকৃষ্ণের বিশ্বাসের সাথে প্রায় ৪০ বারের মত দেখা করেন ।
সূর্য সেনের দলে তৎপরতা , Revolutionary activities of Preetilata
সূর্য সেনের বিপ্লবী দলের সাথে, প্রীতিলতা টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিসে আক্রমণ এবং রিজার্ভ পুলিশ লাইন দখলের মতো অনেক অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। প্রীতিলতা জালালাবাদ যুদ্ধে বিপ্লবীদের বিস্ফোরক সরবরাহের দায়িত্ব নেন। ১৯৩২ সালে, সূর্য সেন পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছিলেন যেখানে একটি সাইনবোর্ড ছিল যাতে লেখা ছিল "কুকুর এবং ভারতীয়দের অনুমতি নেই"।
সূর্য সেন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য একজন মহিলা নেত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। আক্রমণের সাত দিন আগে কল্পনা দত্তকে গ্রেফতার করা হয়। এই কারণে, প্রীতিলতাকে আক্রমণের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল। প্রীতিলতা অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য কোতোয়ালী সমুদ্রতীরে যান এবং সেখানে তাদের আক্রমণের পরিকল্পনা করেন এবং নিজেকে প্রস্তুত করেন।
আরও পড়ুন :
তারা ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখে ক্লাব আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রুপের সদস্যদের পটাসিয়াম সায়ানাইড দেওয়া হয়েছিল এবং ধরা পড়লে তা গিলে ফেলতে বলা হয়েছিল। হামলার দিন, প্রীতিলতা পাঞ্জাবি পুরুষের পোশাক পরে ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। তাঁর সহযোগী কালীশঙ্কর দে, বীরেশ্বর রায়, প্রফুল্ল দাস, শান্তি চক্রবর্তী ধুতি ও শার্ট পরেন। মহেন্দ্র চৌধুরী, সুশীল দে এবং পান্না সেন লুঙ্গি ও শার্ট পরেছিলেন ।
রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে তারা ক্লাবে পৌঁছে আক্রমণ চালায়। তখন ক্লাবের ভেতরে প্রায় ৪০ জন লোক ছিল। আক্রমণের জন্য বিপ্লবীরা নিজেদের তিনটি পৃথক দলে বিভক্ত করেছিল; তারা গুলি শুরু করার আগেই ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ক্লাবে উপস্থিত কয়েকজন পুলিশ অফিসারের হাতে রিভলবার ছিল এবং তারা সাথে সাথে সেখানে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। সেখানে প্রীতিলতাও একটি বুলেটে আহত হন।
পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে, এই হামলায়, সুলিভান নামের একজন মহিলা মারা যান এবং চারজন পুরুষ এবং সাতজন মহিলা আহত হন।
মৃত্যু, Death
পাহাড়তলী ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত প্রীতিলতা ঔপনিবেশিক পুলিশের হাতে আটকা পড়ে যায়। গ্রেফতারি এড়াতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি পটাশিয়াম সায়ানাইড গিলে ফেলেন।
পরদিন অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। মৃতদেহ তল্লাশি করে, পুলিশ কয়েকটি লিফলেট, রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ছবি, গুলি, বাঁশি এবং তাদের আক্রমণের পরিকল্পনার খসড়া পায়। ময়নাতদন্তের সময় দেখা যায় যে বুলেটের আঘাত খুব গুরুতর ছিল না কিন্তু সায়ানাইডের বিষক্রিয়াই তাঁর মৃত্যুর কারণ।
মায়ের কাছে লেখা শেষ চিঠি : The last letter
মৃত্যুবরণের পূর্বে বীরকন্যা প্রীতিলতা মায়ের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখেছিলেন, যা সহ বিপ্লবীদের মাধ্যমে সূর্য্য সেনের কাছে পৌঁছায়। বিপ্লবী সূর্য্য সেন প্রীতিলতার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের কাছে চিঠিখানি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
প্রীতিলতার আত্মহুতির পর তাঁর পরিবারের দুরবস্থা নিয়ে কল্পনা দত্ত লিখেছিলেন, “প্রীতির বাবা শোকে দুঃখে পাগলের মত হয়ে গেলেন, কিন্তু প্রীতির মা গর্ব করে বলতেন, ‘আমার মেয়ে দেশের কাজে প্রাণ দিয়েছে'। তাঁদের দুঃখের পরিসীমা ছিল না, তবু তিনি সে দুঃখকে দুঃখ বলে মনে করেননি। ধাত্রীর কাজ নিয়ে তিনি সংসার চালিয়ে নিয়েছেন, আজো তাঁদের সেভাবে চলছে। প্রীতির বাবা প্রীতির দুঃখ ভুলতে পারেননি। আমাকে দেখলেই তাঁর প্রীতির কথা মনে পড়ে যায়, দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেন”।
প্রীতিলতা স্মরণে, In memory of Preetilata
বাংলাদেশী লেখিকা সেলিনা হোসেন প্রীতিলতাকে প্রতিটি নারীর জন্য আদর্শ বলে নিজের লেখায় উল্লেখ করেছেন। তাঁর স্মরণে বাংলাদেশে 'বীরকন্যা প্রীতিলতা ট্রাস্ট' নামে একটি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবছর বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে এই ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রীতিলতার জন্মদিন পালন করা হয়। তাঁকে "নারীদের জন্য আলোর বাতিঘর" বলে স্মরন করে আসছে এই সংস্থা । চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার মুকুন্দ রাম হাট থেকে শহীদ আবদুস সবুর সড়কের শেষ প্রান্তের নামকরণ করা হয়েছে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সড়ক।
২০১২ সালে ঐতিহাসিক ইউরোপিয়ান ক্লাব সংলগ্ন পাহাড়তলী রেলওয়ে স্কুলের সামনে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের একটি ব্রোঞ্জ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। তাছাড়াও বহু প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে এই বীরকন্যার স্মরণে :
● প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার মহাবিদ্যালয়, নদীয়া জেলার পানিখালির একটি ডিগ্রি কলেজ।
● প্রীতিলতা শহীদ মিনার
● প্রীতিলতা হল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
● প্রীতিলতা হল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
● প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রাথমিক বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম
● প্রীতিলতা ছাত্রীনিবাস, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার কল্যাণী সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একটি বালিকা হোস্টেল।
● খান্তুরা প্রীতিলতা শিক্ষা নিকেতন (ছেলেদের (এইচএস), মেয়েদের (এইচএস) এবং প্রাথমিক বিভাগের তিনটি স্কুল, গোবরডাঙ্গা, পশ্চিমবঙ্গ।
● ভারতে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার হল অফ রেসিডেন্স (গার্লস হোস্টেল),ভারত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, দুর্গাপুর, পশ্চিমবঙ্গ।
উপসংহার, Conclusion
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে কিংবদন্তী বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার আজও জীবিত আছেন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের গভীরে । তিনি বিপ্লবী বাঙালি নারী হিসেবে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। অগ্নিকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সকল নারীদের মনে অনুপ্রেরণা জাগায়। মাত্র ২১ বছর বয়সে প্রীতিলতার স্বাধীনতার জন্য অসীম ত্যাগ,দেশপ্রেম, ও আদর্শ মানুষ আজও স্মরণ করে ।
প্রশ্নোত্তর - Frequently Asked Questions
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কে?
ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী মহিলা শহিদ ।
প্রীতিলতা কেন বিখ্যাত ?
১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পাহাড়তলীর ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার আত্মাহুতি দেন।
প্রীতিলতা কবে জন্মগ্রহণ করেন?
১৯১১ সালের ৫ই মে
প্রীতিলতার মাতা পিতার নাম কি ছিল?
বাবা জগবন্ধু ওয়াদ্দেদার ও মা প্রতিভাময়ী দেবী।
প্রীতিলতা কবে মৃত্যু বরণ করেন?
১৯৩২ সালের ২৪ শে সেপ্টেম্বর।
- Related topics -
- জীবন ও জীবনী
- pritilata waddedar
- revolutionary nationalist