আইনজীবী হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর জীবনী, Biography of Huseyn Shaheed Suhrawardy in Bengali

Saturday, July 9 2022, 8:05 am
highlightKey Highlights

হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী একজন পূর্ব পাকিস্তানি বাঙালি রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ছিলেন। তিনি যুক্তফ্রন্ট গঠনের মূলনেতাদের মধ্যেও অন্যতম। হোসেন গণতান্ত্রিক রীতি এবং জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তাই তিনি সুধী সমাজ কর্তৃক ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত হন।


জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন, Birth and early life 

হোসেন ৮ সেপ্টেম্বর, ১৮৯২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। তিনি ছিলেন সুখ্যাত বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দির কনিষ্ঠ সন্তান। জাহিদ সোহরাওয়ার্দি কলকাতা হাইকোর্টের একজন খ্যাতনামা বিচারক ছিলেন।

মা আখতার বানু নামকরা উর্দু সাহিত্যিক খুজাস্তা ছিলেন, এবং স্যার হাসান সোহরাওয়ার্দী ছিলেন তাঁর মাতুল। তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গ তৎকালীন ভারতবর্ষের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের প্রথা অনুসরণে উর্দু ভাষার ব্যবহার করতেন। কিন্তু সোহরাওয়ার্দি নিজের উদ্যোগে বাংলা ভাষা শিখেছিলেন এবং প্রতিনিয়ত বাংলা চর্চা করেতেন। 

Trending Updates

শিক্ষাজীবন, Education 

হোসেন কলকাতার আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করেন, এরপর যোগ দেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। সেখানে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনা করেন এবং স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

পরবর্তী সময়ে তিনি তাঁর মায়ের অনুরোধে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা এবং সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন। এরপরে ১৯১৩ সালে হোসেন যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেন। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক অর্জন করেন।

এছাড়াও তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে ‘ব্যাচেলর অব সিভিল ল’ (বি. সি. এল.) ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯১৮ সালে গ্রে’স ইন থেকে বার এট ল ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ১৯২১ সালে কলকাতায় ফিরে আসেন এবং আইন পেশায় নিয়োজিত হন। 

রাজনৈতিক কার্যকলাপ, Political activities 

১৯২৪-১৯৪৭:

          রাজনৈতিক জীবনের প্রথমদিকে হোসেন যোগ দিয়েছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টিতে, যা তখন মূলত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের অন্তর্গত ছিল। ১৯২৩ সালের বেঙ্গল প্যাক্ট স্বাক্ষরে তাঁর যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। এর কিছুদিন পরে ১৯২৪ সালে হোসেন সোহরাওয়ার্দি কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন। মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাস। তবে ১৯২৭ সালে সোহরাওয়ার্দী পদত্যাগ করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯২৮ সালে সর্বভারতীয় খিলাফত সম্মেলন এবং সর্বভারতীয় মুসলিম সম্মেলনের অনুষ্ঠানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

Read also :

মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর ব্যাপক রাজনৈতিক প্রভাব ছিল, তবুও ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত তিনি মুসলিম লীগের সাথে জড়িত হননি। হোসেন ১৯৩৬ সালের শুরুর দিকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টি নামক একটি দল গঠন করেন। সেই সালের শেষের দিকে এই দল বাংলার প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাথে একত্র হয়। সেই সুবাদে তিনি বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল মুসলিম লীগ অর্থাৎ বিপিএমএল-এর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৪৩ সালের শেষ দিক পর্যন্ত এই পদে নিজের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই সালে শ্যমা-হকের মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের পরে নবগঠিত খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রীসভায় হোসেন একজন প্রভাবশালী সদস্যপদে কর্মরত ছিলেন। খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রীসভায় শ্রমমন্ত্রী, পৌর সরবরাহ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি ।

১৯৪৬ সালের নির্বাচনে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের বিপুল বিজয়ে তিনি এবং আবুল হাশিম মূল কৃতিত্বের অধিকারী ছিলেন। সেই বছরেই অর্থাৎ ১৯৪৬ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তান আন্দোলনে তিনি ব্যাপক সমর্থন ও সহযোগিতা করেন। জিন্নাহ ১৯৪৬ সালের আগস্ট ১৬ তারিখে স্বাধীন ভারতবর্ষের ব্যাপারে কেবিনেট মিশন প্ল্যানের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ডাক দিয়েছিলেন ।

সোহ্‌রাওয়ার্দীর প্ররোচনায় বাংলায় এই দিনটি সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষিত হয়। পাকিস্তানকে মুসলমানদের জন্য আলাদা বাসভূমি করার দাবিতে সেই দিন মুসলমান সম্প্রদায় বিক্ষোভ করলে কলকাতায় ব্যাপকভাবে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে দাঙ্গা বেঁধে যায়। এইদিন পূর্ব বাংলার নোয়াখালীতে বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ চলেছিল। এই পরিস্থিতিতে সোহ্‌রাওয়ার্দী তাঁর নীরব ভূমিকার কারণে হিন্দুদের নিকট ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। তাঁর উদ্যোগে ১৯৪৬ সালে দিল্লী সম্মেলনে উপস্থিত মুসলিম লীগের আইনপ্রণেতাদের সম্মুখে লাহোর প্রস্তাবের এক বিতর্কিত সংশোধনী পেশ করা হয়েছিল। এই সংশোধনীটিতে অখণ্ড স্বাধীন বাংলার প্রস্তাবনা নিযে বলা হয়েছিল; কিন্তু কলকাতায় হিন্দু মুসলমান দাঙ্গার সময়ে তাঁর বিতর্কিত ভূমিকার প্রভাবে হিন্দুদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কম হয়ে যায়, যার ফলে শরৎচন্দ্র বসু ছাড়া কংগ্রেসে দলের আর কোনও নেতা তাঁর অখণ্ড বাংলার ধারণার সঙ্গে একমত হন নি।

১৯৪৭ সালে হোসেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন । তবে পদত্যাগের পর তিনি পাকিস্তান না গিয়ে কলকাতাতেই থেকে যান। এসময় কলকাতার মুসলমান এবং হিন্দুদের মধ্যে পুনরায় বিরোধের সম্ভাবনা দেখে তিনি মহাত্মা গান্ধীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। মহাত্মা গান্ধীও সোহ্‌রাওয়ার্দীর হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা প্রশমনের ডাকে সাড়া দেন । তবে সোহ্‌রাওয়ার্দী ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সাথে সাথেই পাকিস্তান যাননি, কিন্তু ১৯৪৯ সালে তৎকালীন ভারত সরকার তাঁর উপর ক্রমবর্ধমান করের বোঝা চাপানো শুরু করে, ফলে তিনি পাকিস্তানে চলে যেতে বাধ্য হন।

● ১৯৪৭-১৯৬২:

১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের পরে মুসলিম লীগের রক্ষণশীল নেতাগণ খাজা নাজিমুদ্দিনের নেতৃত্ব পেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেন। খাজা নাজিমুদ্দিন পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হবার পর বেশ কিছুবার সোহরাওয়ার্দীকে “ভারতীয় এজেন্ট” এবং “পাকিস্তানের শত্রু” হিসেবে অভিহিত করেন। এসব কারণে সোহরাওয়ার্দীকে পাকিস্তানের আইনসভার সদস্য পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তাঁর অনুসারীদের অনেকে ১৯৪৮ সালের শুরুর দিকে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগ এবং ১৯৪৯ সালের জুনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনে জড়িত ছিল। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়।

Read also :

পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এই সংগঠনটির নাম রাখা হয়েছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ, যার সভাপতি হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ১৯৫৩ সালে তিনি এ.কে ফজলুল হক এবং মাওলানা ভাসানীর সাথে একত্র হন, তিনজন মিলে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে পরাভূত করার লক্ষ্যে আওয়ামী মুসলিম লীগের উদ্যোগে এক যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন। আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল ও পাকিস্তান খেলাফত পার্টির সঙ্গে মিলিত হয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে।

উক্ত যুক্তফ্রন্টের নেতা ছিলেন - মওলানা ভাসানী, এ.কে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। যুক্তফ্রন্ট ২১ দফার এক নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছিল, যার প্রধান দাবি ছিল- লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ববঙ্গকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করা, ২১শে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ও সরকারি ছুটি ঘোষণা করা, ভাষা শহীদদের স্মৃতি রক্ষার স্বার্থে শহীদ মিনার নির্মাণ করা ইত্যাদি। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মওলানা ভাসানী, আবুল কাশেম ফজলুল হক ও সোহ্‌রাওয়ার্দী দ্বারা গঠিত যুক্তফ্রন্ট অভূতপূর্ব জয়লাভ করেছিল ।

ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ সম্পূর্ণভাবে পরাভূত হয়। ১৯৫৫ সালে ধর্ম-নিরপেক্ষতামূলক চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সংগঠনটির শীর্ষক থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এরপর তৎকালীন মোহাম্মদ আলী বগুড়ার মন্ত্রিসভায় সোহরাওয়ার্দি আইনমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৫৪ সাল হতে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত এই পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান আইনসভায় বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৫৭ সালে যোগ দেন লণ্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ প্রধানমন্ত্রীদের সম্মেলনে
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৫৭ সালে যোগ দেন লণ্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ প্রধানমন্ত্রীদের সম্মেলনে

১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণয়নে হোসেনর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন। ১৯৫৬ সালে চৌধুরী মোহাম্মদ আলির পদত্যাগ করার পর তিনি প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। কিন্তু তাঁর পদক্ষেপ ব্যাপক রাজনৈতিক বিরোধিতার জন্ম দেয়।  পাকিস্তান নিরাপত্তা আইন রাষ্ট্রবিরোধী কাজের অপরাধ দেখিয়ে ১৯৬২ সালের ৩০ জানুয়ারি হোসেনকে গ্রেফতার করে এবং করাচির সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়। ১৯৬২ সালে ১৯ আগস্ট তিনি মুক্তি পান। 

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং আবুল হাশেমের নেতৃত্বে “পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ” প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং আবুল হাশেমের নেতৃত্বে “পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ” প্রতিষ্ঠিত হয়।

শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর বৈবাহিক জীবন, Married life

১৯২০ সালে হোসেন সোহরাওয়ার্দি বেগম নেয়াজ ফাতেমাকে বিয়ে করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আবদুর রহিমের কন্যা ছিলেন বেগম নেয়াজ ফাতেমা । কিন্তু ১৯২২ সালে তাঁর মৃত্যু হয় । এরপর হোসেন দ্বিতীয় বিবাহ করেন। পোলিশ বংশোদ্ভূত এক রাশিয়ান অভিনেত্রী বেগম বীরা সোহরাওয়ার্দী ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ।

Read also :

মৃত্যু, Death

স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে ১৯৬৩ সালে হোসেন দেশের বাইরে গিয়েছিলেন এবং লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থানকালে ১৯৬৩ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁর জীবানবসান ঘটে। তিন নেতার মাজারে কসোহ্‌রাওয়ার্দীকে সমাধিস্থ করা হয় ।

উপসংহার, Conclusion 

পাকিস্তানে গণতন্ত্রের অগ্র-পুরুষ হিসাবে পরিচিত ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তিনি ছিলেন সাংবিধানিক শাসনে দৃঢ়বিশ্বাসী। দেশ বিভাগের পর তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক সাধারণ জাতীয়তা গড়ে তোলার লক্ষ্যে যৌথ নির্বাচনের পক্ষে মত দেন। তিনি সমতার নীতি গঠনের একান্ত সমর্থক ছিলেন।

প্রশ্নোত্তর - Frequently Asked Questions

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কে?

হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী একজন পূর্ব পাকিস্তানি বাঙালি রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ছিলেন।

হোসেন কবে জন্মগ্রহণ করেন ?

১৮৯২ সালে।

হোসেন কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?

পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে।

হোসেনের কবে মৃত্যু হয়?

১৯৬৩ সালে।

হোসেনকে কোথায় কবরস্থ করা হয়?

তিন নেতার মাজার।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File