'বিজ্ঞানের বিস্ময়" - আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর জীবনী | Biography of physicist Jagadish Chandra Basu in bengali

Monday, May 23 2022, 8:19 am
highlightKey Highlights

আচার্য স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ছিলেন ভারতবর্ষের বিশিষ্ট খ্যাতনামা বাঙালি বিজ্ঞানী সেই সময়ের ভারতবর্ষের বিজ্ঞানীদের মধ্যে তার স্থান ও সম্মান ছিল সবার উপরে। তার বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের জন্য তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ নাইট উপাধি লাভ করেন তিনিই প্রথম তারের মাধ্যমে বেতার তরঙ্গ স্থানান্তরের উপর সফল গবেষণা করেন।


ভূমিকা  | Introduction to Jagadish Chandra Basu

ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতের জ্ঞানবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যে নবজাগরণ ঘটেছিল সেই মহালগ্নে বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র আবির্ভাব। প্রাচীনকালে ভারতে দর্শন বিজ্ঞান  সাক্ষী হয়েছিল  প্রভূত উন্নতির। কিন্তু পরবর্তীকালে অধঃপতিত জাতির দর্শন ও বিজ্ঞানের মধ্যে এসেছিল এক অবাঞ্ছিত বিচ্ছেদ আর সেই অবরুদ্ধ দ্বার উন্মুক্ত করার জন্য আবির্ভূত হয়েছিলেন বিজ্ঞানের বরপুত্র আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু । তাঁর বিজ্ঞান সাধনার মাধ্যমেই প্রাচ্যের দর্শন  ও পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানের নতুন সেতুবন্ধন হয়েছিল।  

আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু

জন্ম ও বাল্যজীবন | Birth & Childhood of Jagadish Chandra Basu

৩০ শে নভেম্বর ১৮৫৮ সালে ঢাকার রাড়িখাল গ্রামে বিজ্ঞান -সরস্বতীর বরপুত্র জগদীশচন্দ্রের জন্ম । পিতা ভগবানচন্দ্র বসু ফরিদপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। পিতার স্বদেশানুরাগ ও স্বদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ এবং মায়ের দেওয়া রামায়ণ- মহাভারতের জ্ঞান জগদীশচন্দ্রের জীবনে সফলতার প্রথম ধাপ। শৈশবে গ্রামের পাঠশালায় অধ্যয়নকালে সাধারণ মানুষের শিশুসন্তানদের ধ্যান ধারণা ও জ্ঞান অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি তাঁর জীবনপাত্র পূর্ণ করেছিলেন। শৈশবে সংগৃহীত শিল্পী কারিগরদের কর্মকুশলতা তাঁর জীবনে স্বার্থকতার আরেকটি সিঁড়ি।

উচ্চশিক্ষা | Higher studies of Acharya Jagadish Chandra Basu

ফরিদপুরের বাংলা স্কুলের শিক্ষালাভের পর জগদীশচন্দ্র ভর্তি হলেন কলকাতার হেয়ার স্কুলে এবং তারপর সেন্ট জেভিয়ার্স  স্কুল সেখানে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এই কলেজে ইউজিন ল্যাফন্ট নামে জনৈক খ্যাতনামা খ্রিষ্টান যাজক প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ওপর জগদীশচন্দ্র বসুর  আগ্রহ বাড়াতে উল্লেখযোগ্য   ভূমিকা পালন করেন। এরপর তিনি আইসিএস পরীক্ষায় বসার জন্য ইংল্যান্ডে যেতে চাইলেও  বাবা  ভগবান চন্দ্র রাজি হননি কারণ  তাঁর মনের ইচ্ছে ছিল যে তাঁর  পুত্র একজন বিদ্বান হোন। পরবর্তীকালে জগদীশচন্দ্র উচ্চশিক্ষার জন্য বিলাত যাত্রা করেন। লন্ডনে প্রাণিবিদ্যা এবং উদ্ভিদবিদ্যার পাঠ গ্রহণ করেও অসুস্থতার জন্য কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এ উদ্ভিদবিদ্যায় ট্রাইপস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তারপর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় বিএসসি উপাধি গ্রহণ করে দেশে ফিরে আসেন।

বেতার বিজ্ঞানের জনক জগদীশ চন্দ্র বসু 
বেতার বিজ্ঞানের জনক জগদীশ চন্দ্র বসু 

পরবর্তী সময়ে জগদীশচন্দ্র  অধ্যাপনাকে গ্রহণ করেছিলেন জীবনের ব্রত রূপে; কিন্তু অন্তরে ছিল যে অনুসন্ধানের আকুল আগ্রহ তা তাঁকে বিশ্রাম নিতে দেয়নি। 

অধ্যাপনা | Teaching by Acharya Jagadish Chandra Basu

১৮৮৫ সালে জগদীশ চন্দ্র ভারতে প্রত্যাবর্তন করেন ও  সেই সময়কার   ভারতের গভর্নর-জেনারেল জর্জ রবিনসন, প্রথম মার্কুইস অব রিপনের অনুরোধে স্যার অ্যালফ্রেড ক্রফট জগদীশ চন্দ্র  বসুকে প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ   করেন। কলেজের অধ্যক্ষ চার্লস হেনরি টনি প্রেসিডেন্সি কলেজে বসুর নিয়োগের  বিপক্ষে । গবেষণার জন্য তাঁকে  কোন রকম সুযোগ -সুবিধা তদুপরি তিনি ইউরোপীয় অধ্যাপকদের অর্ধেক বেতনেরও কম অর্থ লাভ করতেন। এদিকে ব্যয়বাহুল্যের জন্য পিতা নিদারুণ অর্থসংকটে নিপতিত ঋণগ্রস্ত অন্যদিকে প্রেসিডেন্সি কলেজে তাঁর ছিল স্বল্প বেতন।প্রেসিডেন্সি কলেজে শ্বেতাঙ্গ ও ভারতীয় অধ্যাপকদের বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে তিনি তিন বছর কাল কোনো বেতন গ্রহণ করেননি ।তখন তাঁর প্রবল অর্থসংকট কিন্তু এ হেন  দৈন্যের মধ্যে ও  কিছুতেই তিনি ভেঙে পড়েননি।অবশেষে তাঁর আত্মসম্ভ্রমের ই জয় হল। কর্তৃপক্ষ শ্বেতাঙ্গ ও ভারতীয় অধ্যাপকদের সমহারে বেতন দেওয়ার যৌক্তিকতা স্বীকার করে জগদীশ চন্দ্র বসুকে তাঁর  তিন বছরের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে বাধ্য হলেন ।সেই অর্থে জগদীশচন্দ্র পিতাকে ঋণমুক্ত করেছিলেন ।

বিবাহ | Married life of Acharya Jagadish Chandra Basu

Abala Bose
Abala Bose

১৮৮৭ সালে জগদীশচন্দ্র বসুর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় অবলার সাথে যিনি ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের বিখ্যাত সংস্কারক দুর্গা মোহন দাসের কন্যা। ১৮৮২ সালে বঙ্গ সরকারের বৃত্তি নিয়ে অবলা মাদ্রাজে রওনা হন উচ্চশিক্ষার   উদ্দেশ্যে। সেখানে চিকিৎসাবিজ্ঞান অধ্যয়ন শুরু করলেও অসুস্থতার কারণে তাকে ফিরে আসতে বাধ্য হতে হয়। তাদের বিয়ের সময় জগদীশচন্দ্র বসুকে আর্থিক অনটনের এর মধ্যে কাটাতে হচ্ছিল। পরবর্তীকালে সৌভাগ্যক্রমে   অবলা ও জগদীশ বহু কষ্টে এ মহাসংকট কাটিয়ে  ঋণ পরিশোধ করতে সমর্থ হন।

পদার্থবিদ্যার আবিষ্কার | Discovery of physics

বিজ্ঞান নিকেতনের নানান গোপন রহস্য তাকে কোথাও থামতে দেয়নি। পরাধীন দেশের বৈজ্ঞানিক হওয়ার অভিশাপে তাঁকে বিজ্ঞান সাধনায় সহস্র দুঃখ অপমানের বোঝা মাথায় নিয়ে অগ্রসর হতে হয়েছিল ।অবশেষে অক্লান্ত গবেষণায় তাঁর  হাতেই ঘটল বিজ্ঞানের নবনব রহস্যের দ্বারোদঘাটন ;নবনব তথ্যের আবিষ্করণ। বিদ্যুৎ তরঙ্গ বিষয় তাঁর আবিষ্কার তৎকালীন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের বিস্মিত করেছিল।প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনার প্রথম ১৮ মাসে জগদীশচন্দ্র বসু যে সকল গবেষণার কাজ সম্পাদিত  করেছিলেন তা লন্ডনের রয়েল সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত হয়। এই গবেষণা পত্রগুলোর সূত্র ধরেই  লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ভূষিত করেছিল 'ডিএস-সি' উপাধিতে। তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্রের সাহায্যে বিনা তারে বার্তা প্রেরণের সম্ভাব্যতা স্বীকৃত হয়েছিল।

The arc-lamp 
The arc-lamp 

ব্রিটিশ সরকার ও তাঁকে বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য ইংল্যান্ডে পাঠিয়েছিলেন। তারপর ইউরোপের নানা দেশ থেকে তাঁর কাছে আসতে লাগল তাঁর গবেষণা বিষয়ে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য বহু অনুরোধ। পাশ্চাত্য জাতিরা সেদিন সসম্ভ্রমে স্বীকার করে নিল সেই ভারতীয় বৈজ্ঞানিকের মৌলিক আবিষ্কারের কথা; তিনি আর কেউ নন - আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু। বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারকের সম্মান প্রকৃতপক্ষে জগদীশচন্দ্রের প্রাপ্য কিন্তু মার্কনি জগদীশ চন্দ্রকে অস্বীকার করে স্বয়ং লাভ করলেন সেই দুর্লভ মর্যাদা জগদীশচন্দ্র অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে  লিপিবদ্ধ করেছিলেন - " যাহারা আমার বিরুদ্ধ পক্ষে ছিলেন, তাহাদেরই একজন আমার আবিষ্কার পরে নিজের বলিয়া প্রকাশ করেন"। জগদীশচন্দ্রের বিজ্ঞান সরস্বতীসাধনা এইভাবে ব্যথার সাধনা -দুঃখের সাধনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ।

উদ্ভিদবিদ্যার আবিষ্কার | Discovery of Botany

মানুষের বিশ্বাসঘাতকতায় বিরক্ত হয়ে জগদীশচন্দ্র পদার্থবিদদের গবেষণা ত্যাগ করে ফিরে এলেন উদ্ভিদবিদ্যার শ্যামল প্রশান্তির মধ্যে । জড় ও চেতনের সাড়া বিষয়ে তাঁর গবেষণা লাভ করল বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের স্বীকৃতি। তিনি উদ্ভিদের প্রাণস্পন্দনের  অস্তিত্ব প্রমাণ করলেন আমাদের চিরপরিচিত লজ্জাবতী লতার সাহায্যে। সর্বত্রই যে  জড় ও চেতনের প্রাণের নির্বাধ প্রকাশ- ভারতের বৈদিক ঋষিদের এই এই দার্শনিক উপলব্ধি জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান সাধনায় প্রমাণিত হয়েছিল।

বোটানিক্যাল গার্ডেন
বোটানিক্যাল গার্ডেন

সাহিত্য চর্চা | Acharya Jagadish Chandra Bose's literary practice

জগদীশচন্দ্র বসু একাধারে বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক ও সাহিত্যিক ও বটে। তাঁর রচিত 'অব্যক্ত' গ্রন্থে আছে তার অমলিন স্বদেশপ্রেম, গভীর দর্শন চিন্তা ও আন্তরিক সাহিত্য প্রীতির সুস্পষ্ট পরিচয়। হতমান ভারতবর্ষের সন্তান হিসেবে তিনি যে পরাধীনতার গ্লানি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছিলেন এবং তাঁর বিজ্ঞান সাধনার পথে সেই পরাধীনতাকে যে প্রবল বাধা সৃষ্টি করেছিল তা তিনি অশ্রুসিক্ত ভাষায় অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভবে বর্ণনা করে গিয়েছিলেন।

বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা | Establishment of Acharya Jagadish Chandra Bose's Science Temple

বসু বিজ্ঞান মন্দির
বসু বিজ্ঞান মন্দির

অধ্যাপনা বৃত্তি থেকে অবসর গ্রহণ করবার পর পরাধীন ভারতের বিজ্ঞানের গবেষণার দৈন্য দূর করবার উদ্দেশ্যে তিনি  ১৯১৭ সালের ৩০শে নভেম্বর স্থাপন করেছিলেন "বসু বিজ্ঞান মন্দির'। তাঁর জীবনের উপার্জিত সমস্ত অর্থই এই গবেষণা মন্দিরের নির্মাণ ও উপকরণাদি ক্রয়ে ব্যয়িত হয়েছিল। অবশেষে বিজ্ঞানের কক্ষ কক্ষান্তরে বিচরণ করে তাঁর রহস্যপুরীর দুয়ার  একে একে উন্মুক্ত উন্মুক্ত করে ভারতের বিপুল সম্ভাবনায় বিজ্ঞান সাধনায় দ্বারোদঘাটন করে  ১৯৩৭ সালের  ২৩শে নভেম্বর ভারতমাতার সুসন্তান এই বিশ্ব বিশ্রুত বিজ্ঞান -বীর পরলোক গমন করেন। কিন্তু ভারতের বিজ্ঞান লক্ষ্মীর পদতলে  উৎসর্গীকৃত   প্রাণ এই মহামনীষী তাঁর উত্তর-সাধকের জন্য বিজ্ঞান সাধনার যে একটি অনুকূল পরিবেশ রচনা করে গিয়েছেন তা ব্যর্থ হয়নি ;তা ব্যর্থ হবার নয়। তাঁর বিজ্ঞানসাধনার পৃষ্ঠতলে বাংলার যেসব তরুণ বিজ্ঞানী ভিড় করেছিলেন তাঁদের মধ্যে সত্যেন্দ্রনাথ বসু 'জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ ,মেঘনাথ সাহা অন্যতম।

খ্যাতি | Reputation of Acharya Jagadish Chandra Bose

বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে  বাঙালিরাও যে সমদক্ষতা প্রমাণ রাখে , তারা ও যে   নিউটন-আইনস্টাইনের চেয়ে কোনো অংশে কম নন জগদীশচন্দ্র বসু তা প্রমাণিত করেছিলেন। তিনি যে গ্যালিলিও-নিউটনের সমকক্ষ বিজ্ঞানী তা স্বীকৃত করেছিল লন্ডনের ডেইলি এক্সপ্রেস পত্রিকা, ১৯২৭ সালে। আর এই মহান বিজ্ঞানীর সম্বন্ধে  বিভিন্ন মহান ব্যক্তির মতামত

জগদীশচন্দ্র যেসব অমূল্য তথ্য পৃথিবীকে উপহার দিয়েছেন তার যে কোনটির জন্য বিজয়স্তম্ভ স্থাপন করা উচিত।

Albert Einstein, Theoretical physicist
Rabindranath Tagore and Albert Einstein
Rabindranath Tagore and Albert Einstein

ভারতের কোনও বৃদ্ধ ঋষির তরুণ মূর্তি তুমি হে আর্য আচার্য জগদীশ।

Rabindranath Tagore, Poet

উপসংহার | Conclusion of Acharya Jagadish Chandra Bose

বিজ্ঞান সরস্বতীর বরপুত্র জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন পরাধীন ভারতে এক শ্রেষ্ঠ কৃতি সন্তান। পরাধীনতার দুঃসহ জ্বালা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করে  দেশমাতৃকার শিরে মহিমার মুকুট পরাবার জন্য তিনি আজীবন যে বিজ্ঞান সাধনা করে গেছেন তা মানব জাতি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তাঁর বিজ্ঞান সাধনা ছিল দুঃখের  সাধনা। দারিদ্র্য  তাঁর পথ রোধ করতে পারেনি ;পরাধীনতা  পারেনি তাঁর মনোবলকে বিধ্বস্ত করতে। তাই স্বাধীন ভারতের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের দায়িত্ব  এই মহান বিজ্ঞান সাধকের সাধনাকে স্বার্থক রূপদান করবার। তিনি বিজ্ঞানের যে অদম্য তপস্যা করেছিলেন তা নবপ্রজন্ম বিজ্ঞান ব্রতীদের কাছে হয়ে উঠুক মহান আদর্শ স্বরূপ। জগদীশচন্দ্রের সেই দুঃখের সাধনা জাতির সকল স্বপ্নের মধ্যে  লাভ করুক চরম সফলতা।

প্রশ্নোত্তর - Frequently Asked Questions

জগদীশচন্দ্র বসু কে ছিলেন ?

জগদীশচন্দ্র বসু একজন বাঙালি পদার্থবিদ, জীববিজ্ঞানী এবং কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা ছিলেন।

জগদীশচন্দ্র বসুকে রেডিও বিজ্ঞানের জনক হিসেবে কে অভিহিত করেছিলেন ?

ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স জগদীশচন্দ্র বসুকে রেডিও বিজ্ঞানের একজন জনক হিসেবে অভিহিত করে।

জগদীশচন্দ্র বসু কোথায় কবে জন্মগ্রহণ করেন ?

জগদীশ চন্দ্র বসু ১৮৫৮ সালের ৩০শে নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি (বর্তমান বাংলাদেশ) অঞ্চলের মুন্সিগঞ্জ জন্মগ্রহণ করেন।

জগদীশচন্দ্র বসুর পিতা কে ছিলেন ?

জগদীশচন্দ্র বসুর পিতা ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বী ভগবান চন্দ্র বসু ,ফরিদপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট।

কলকাতার কোন স্কুল ও কলেজে জগদীশচন্দ্র বসু অধ্যয়ন করতেন ?

জগদীশ কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে পড়াশোনা করে ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।

বাংলা ভাষায় লেখা জগদীশচন্দ্র বসুর গ্রন্থের নাম কী ?

"অব্যক্ত "

জগদীশ চন্দ্র বসুর মৃত্যু কবে হয়?

১৯৩৭ সালের ২৩শে নভেম্বর ভারতের ঝাড়খন্ডের গিরিডিতে এই বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানীর জীবনাবসান ঘটে।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File