Provident Fund | চার মাস পর পিএফের সুদের হার বৃদ্ধিতে শিলমোহর! পিএফের টাকা তুললে দিতে হবে ট্যাক্স!
![highlight](/img/target.png)
অবশেষে মাস খানেক পর পিএফের সুদের হার বৃদ্ধির সরকারি বিজ্ঞপ্তি। ০০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেল সুদের হার। পিএফের টাকা তুলতে ভিন্ন ক্ষেত্রে দিতে হবে ভিন্ন পরিমাণ ট্যাক্স।
অবশেষে ইপিএফের (EPF) সুদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে পড়লো কেন্দ্রীয় সরকারের শিলমোহর। চার মাস পর এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের (Central Board of Trustees of the Employees Provident Fund Organization) সুপারিশ করা সুদের হারে অনুমোদন দিল কেন্দ্র। সোমবার শ্রমমন্ত্রকের অধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন অর্থাৎ ইপিএফও-র (EPFO) তরফ থেকে জানানো হয়, ইপিএফ গ্রাহকদের সুদ বাড়িয়ে ৮.১৫ শতাংশ করা হয়েছে।২০২২-২৩ অর্থবর্ষ থেকেই এই সুদের হার কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে সুদ বৃদ্ধির হারে মোটেই খুশি নন ইপিএফ গ্রাহকরা।
![চার মাস পর এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের সুপারিশ করা সুদের হারে অনুমোদন দিল কেন্দ্র](https://media.bengalbyte.in/photo/1690281659061-q.webp)
গত ২০২১-২২ আর্থিক বছরের ভিত্তিতে ইপিএফে সুদের হার ছিল ৮.১ শতাংশ। পরবর্তী ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮.১৫ শতাংশ। অর্থাৎ কেবল ০.০৫ শতাংশ সুদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ব্যাপারে চার মাস আগে সুপারিশ করা হয়। গত ২৮ সে মার্চে দিল্লিতে (Delhi) এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টির অ্যাপেক্স কমিটির বৈঠকেই এ ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়। পরে সিবিটির সিদ্ধান্তে অনুমোদনের জন্য এই সুপারিশ পাঠানো হয় অর্থমন্ত্রকের কাছে। কারণ,ইপিএফও পরিষদ যতই ঘোষণা করুক, অর্থমন্ত্রক অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত সুদের টাকা গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। এরপর চার মাস পর সবুজ সংকেত দেওয়া হয় ইপিএফও-র সুদ বৃদ্ধিতে।
![ইপিএফ গ্রাহকদের সুদ বাড়িয়ে ৮.১৫ শতাংশ করা হয়েছে](https://media.bengalbyte.in/photo/1690281676326-w.webp)
উল্লেখ্য, ১৯৭৭-৭৮ সালে ইপিএফও-র সুদের হার ছিল ৮ শতাংশ। এরপর গত বছর মার্চে তা করা হয় ৮.১০ শতাংশ। যা ২০২০-২১ সালের অর্থবর্ষের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। ফলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্র সরকারকে। এরপর অবশেষে চার মাস পর ইপিএফও-র সুদের হার বাড়িয়ে ৮.১৫ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পিএফ হলো চাকুরি খাতে যুক্ত ব্যক্তিদের একটি বড় সঞ্চয়। মূলত অবসরের পরেই এই সঞ্চয়ের অসংখ্য মানুষ। এক্ষেত্রে চাকুরিরত ব্যক্তিদের মূল বেতনের একটি অংশ প্রতি মাসে পিএফ ফান্ডে জমা করা হয় ব্যক্তির কর্মসংস্থার পক্ষ থেকে। এরপর সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে জমা হওয়া অর্থের উপর সুদ দেয়। চলতি অর্থবর্ষ থেকে ৮.১৫ সুদ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে কেবল অবসরের ভরসাই নয়, প্রয়োজনেও বহু কাজে লাগে এই টাকা। ফলে প্রয়োজনে অ্যাকাউন্টধারীরা তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে জমা করা টাকা তুলে থাকেন। তবে অনেকেই জানেন না, পিএফের টাকা তুললে দিতে হয় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্যাক্স (Tax) বা কর। এক নজরে দেখে নিন পিএফের টাকা তোলার কোন ক্ষেত্রে কত ট্যাক্স দিতে হয়।
![ পিএফের টাকা তুললে দিতে হয় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্যাক্স](https://media.bengalbyte.in/photo/1690281699421-r.webp)
৫ বছরের আগে টাকা তুললে । Withdraw Money Before 5 Years :
ইপিএফও - র নিয়মানুযায়ী, অ্যাকাউন্টধারি পিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার ৫ বছরের পর যদি টাকা তোলেন তাহলে তাকে কোনও কর বা ট্যাক্স দিতে হবে না। তবে অ্যাকাউন্টধারি যদি ৫ বছরের মধ্যে টাকা তোলেন সেক্ষেত্রে তাকে ট্যাক্স দিতে হবে। এই ট্যাক্স টিডিএসের (TDS) মত কাটা হয়। যদি পিএফ গ্রাহকের প্যান কার্ড (Pan Card) অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিংকড বা যুক্ত করা থাকে সেক্ষেত্রে ৫ বছরের আগে টাকা তুলে ১০ শতাংশ ট্যাক্স কাটা হয়। যদি গ্রাহকের প্যান কার্ড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিংকড না করা থাকে সেক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ট্যাক্স কাটা হয়।
![৫ বছরের মধ্যে টাকা তুললে সেক্ষেত্রে ট্যাক্স দিতে হবে](https://media.bengalbyte.in/photo/1690281756671-rr.webp)
কোন ক্ষেত্রে ট্যাক্স দিতে হয়না । No Tax is Payable in Any Case :
যদি পিএফ অ্যাকাউন্ট বানানোর ৫ বছরের মধ্যে পিএফ অ্যাকাউন্টধারি অসুস্থতার কারণে চাকরি দেন এবং তার পিএফের টাকা তুলে নেন তাহলে এক্ষেত্রে তাকে কোনো ট্যাক্স দিতে হবে না। এছাড়াও যদি পিএফ অ্যাকাউন্ট বানানোর ৫ বছরের মধ্যে ব্যক্তির কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যায় সেক্ষেত্রেও পিএফের টাকা তোলার সময় তাকে কোনো ট্যাক্স দিতে হবে না।
মূলত পিএফ অ্যাকাউন্টকে অবসর পরবর্তী পরিকল্পনা হিসেবে ধরেই শ্রেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অবসরের পরেই পিএফের টাকা তোলা উচিত।