রূপ পরিবর্তন করে মাঙ্কি পক্স দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা এবিষয়ে কী বলছেন জানুন
মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছে হু অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সারা বিশ্বে ক্রমেই মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ানক হয়ে উঠছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে মিউটেশনের মাধ্যমে মাঙ্কি পক্স কি তার রূপ পরিবর্তন করে আগের থেকে বেশি সংক্রামক হয়ে উঠেছে?
মাঙ্কি পক্সের নয়া রূপ আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে, এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত জেনে নেওয়া যাক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে এখনও গবেষণার প্রয়োজন। তারপরেই বিস্তারিতভাবে মাঙ্কি পক্সের মিউটেশন নিয়ে কিছু বলা যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, "মাঙ্কি পক্সের এখনও পর্যন্ত দুটি ভেরিয়েন্ট দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এক কঙ্গো বেসিন ও দ্বিতীয়টি হচ্ছে ওয়েস্ট আফ্রিকান ক্লেড। হুয়ের তরফে মাঙ্কি পক্সের এই দুটি ভেরিয়েন্টকে ক্লেড ১ ও ক্লেড ২ বলে অবিহিত করেছে। আবার ক্লেড ২-এর ক্ষেত্রে দুটো উপপ্রজাতি বা সাব ভেরিয়েন্ট দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেগুলোকে আইআইএ ও আইআইবি। সারা বিশ্বে মূলত এই দুটো উপপ্রজাতির প্রাদুর্ভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।" গত বুধবার হুয়ের তরফে আরও জনানো হয়েছে, এই দুটি সাব ভেরিয়েন্ট নিয়ে আরও বেশি তদন্তের প্রয়োজন।
এব্যাপারে বিশদে গবেষণা করে হু জানিয়েছে, আগের আইআইবি সাব ভেরিয়েন্টের থেকে এখনের আইআইবি সাব ভেরিয়েন্ট মাঙ্কি পক্সের জিনোমের বেশ কিছু পার্থক্য দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তবে এই জেনেটিক পরিবর্তনের তাৎপর্য সেভাবে জানতে পারা যায়নি। সংক্রমণ ও রোগীর ওপর এই পরিবর্তন কী প্রভাব ফেলছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আরও বেশি গবেষণার প্রয়োজন বলে হুয়ের তরফে জানানো হয়েছে।
- Related topics -
- স্বাস্থ্য
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- মাঙ্কিপক্স
- মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ