Poila Baishakh | পয়লা বৈশাখের আগে পরে চার-পাঁচদিনের ছুটিতে ঘুরতে যাবেন? রইলো কাছেপিঠেই সুন্দর প্রাকৃতিক স্থানের খোঁজ!
ইদ-উল-ফিতর দিনটি বৃহস্পতিবার। এর পরের দিন শুক্রবার অফিস থেকে একটা ছুটি নিলেই টানা চারদিন ছুটি। আর এই ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন আশেপাশের কিছু সুন্দর প্রাকৃতিক স্থান থেকে।
সামনেই পয়লা বৈশাখ (poila baisakh)। তার আগে রয়েছে ইদ-উল-ফিতর। ঘটনাচক্রে এই দিনটি বৃহস্পতিবার। এর পরের দিন শুক্রবার অফিস থেকে একটা ছুটি নিলেই টানা চারদিন ছুটি। আর ছুটি মানেই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়া। তবে চারদিনের ছুটিতে খুব বেশি দূরও যাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে কলকাতার কাছাকাছি রয়েছে এমন কিছু জায়গা যেখানে আপনি পয়লা বৈশাখ (poila baisakh) এর ছুটিতে আরামসে ঘুরে আসতে পারবেন।
হেনরি আইল্যান্ড । Henry Island :
এই গরমে শীতলতার ছোঁয়া পেতে ঘুরে আসতে পারেন হেনরি আইল্যান্ড (Henry Island) থেকে। ম্যানগ্রোভ ঘেরা একটি সবুজ দ্বীপ। যার প্রান্ত ছুঁয়েছে বঙ্গোপসাগরে। বকখালিতে যাওয়া অধিকাংশ পর্যটক এই দ্বীপে ঘুরতে যান। সমুদ্রপ্রেমী পর্যটকদের কাছে এই দ্বীপ স্বপ্নজগৎ। বকখালিতে যে আনন্দ পাওয়া যায়না, তা হেনরি আইল্যান্ডে পাওয়া যায়। এই দ্বীপটিতে রয়েছে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল। সি বিচে লাল কাঁকড়ার আনাগোনা। ইতিহাস বলে, এই দ্বীপের সার্ভের দায়িত্ব পড়েছিল স্যার হেনরি সাহেবের উপর। তার পর থেকেই এই দ্বীপের নাম হেনরি আইল্যান্ড।হেনরি আইল্যান্ডে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। মৎস্য দফতরের অধীনে এই দ্বীপে মাছ চাষের জন্য রয়েছে অনেকগুলি ফিশারি। এছাড়াও সেখানে রয়েছে দুটি ট্যুরিস্ট লজ। তবে এই দ্বীপে সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নেই সন্ধ্যার পর দ্বীপে থাকার অনুমতিও। চোরাবালির সতর্কীকরণ রয়েছে।
ডুয়ার্স । Dooars :
এই প্যাচপ্যাচে গরমে শীতল ও পাহাড়ি পরিবেশে যেতে ইচ্ছে করলে ডুয়ার্স (Dooars) সেরা পছন্দ হতে পারে। ডুয়ার্সে খুব বেশিদিন ঘুরতে লাগে না। তাই চারদিনের ট্রিপে আইডিয়াল এই স্থানটি। ডুয়ার্সের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রীতিমতো নজরকাড়া। এখানের দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে রকি আইল্যান্ড, লালিগুরাস ঘোরা ঝালং, চাপরামারি, রাজাভাতখাওয়া, বিন্দু, হাসিমারা, গোঁরবাতান, ঝালং, মূর্তি, সুনতালেখোলা, সামসিং, হনুমান মন্দির, গজলডোবা, বক্সা টাইগার রিসার্ভ, বক্সা ফোর্ট, গরুমারা জাতীয় উদ্যান, চেলসা, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মতো চমৎকার কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
মৌসুনি আইল্যান্ড । Mousuni Island :
সমুদ্রে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে ঘুরে আসতে পারেন নিরিবিলি মৌসুনি আইল্যান্ড (Mousuni Island) থেকে। যারা সমুদ্র ভালবাসেন, তাদের জন্য একটি দারুণ বিকল্প হতে পারে এই আইল্যান্ড। তবে আর পাঁচটা বিচের মতো এই স্থান নয়। এখানে ঘুরতে গেলে থাকতে হবে তাঁবুর ভিতর। অর্থাৎ হোটেলের কোনও নামগন্ধ নেই। ওখানে যারা এই তাঁবু ব্যবস্থা করে দেন, তারাই খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত করেন। কারণ খাবার কেনার দোকানপাটও নেই। সমুদ্রের পারে এমন তাঁবুতে থাকার অভিজ্ঞতা খুব কমই হবে। তাই এটি হাতছাড়া না করাই ভালো।
বাঁকুড়া । Bankura :
রাঢ়বঙ্গের এই স্থানের গরম কলকাতার মতো প্যাচপ্যাচে নয়। অর্থাৎ এখানে গেলে ঘেমেনেয়ে একসা হতে হবে না। বাঁকুড়ার মধ্যে অন্যতম দর্শনীয় স্থান বিষ্ণুপুরের বিভিন্ন স্থাপত্য। রাজা মল্লের বিভিন্ন পুরাকীর্তি যেমন দলমাদল কামান, টেরাকোটার মন্দির যুগের পর যুগ এই অঞ্চলের অন্যতম দর্শনীয় বস্তু। এছাড়াও টেরাকোটার নানা শিল্পকর্ম মনোহর লাগবে।
প্রসঙ্গত, ১১ই এপ্রিল ইদ-উল-ফিতর। যার ফলে অনেক অফিসই ছুটি। এক্ষেত্রে বৃহস্পতি, শুক্র, শনি ও রবিবারের এই ছুটি নিয়ে ঘুরে আসা যায় ভালো ভাবে। এর ওপর যদি সোমবারও ছুটি পাওয়া যায় তাহলে মোট পাঁচদিন ঘোরার জন্য বরাদ্দ রাখুন।
- Related topics -
- অন্যান্য
- ভ্রমণ
- বাঁকুড়া
- পয়লা বৈশাখ