IAS vs IPS: কর্নাটকে আমলা-আইপিএসে 'ঝগড়া', সামাল দিল খোদ কর্নাটক সরকার!
"গোপন" ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হল দুই উচ্চপদস্থ মহিলা আধিকারিক IAS ও IPS-এর 'চুলোচুলি'!
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই উচ্চপদস্থ মহিলা আধিকারিক, আইপিএস অফিসার ডি রূপা, বর্তমানে কর্ণাটক রাজ্য হস্তশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং আইএএস অফিসার রোহিণী সিন্ধুরি একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়িতে নেমেছিলেন। কোনো উপায় না পেয়ে তাঁদের বচসা থামাতে অবশেষে ময়দানে নামতে হল স্বয়ং কর্নাটক সরকারকে।
আইএএস অফিসার রোহিণীর বিরুদ্ধে রূপার অভিযোগ যে রোহিণী নাকি নিজের একটি ছবি কয়েকজন পুরুষ আইএএস অফিসারকে পাঠিয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই এই বচসার সূত্রপাত। আইপিএস রুপার মতে, আইএএস রোহিণীর এই ছবি অনেকের সঙ্গে শেয়ার করা নিয়ম বহির্ভূত ও একটি অপরাধ।
এই ছবিগুলি হয়তো খুবই সাধারণ। কিন্তু যদি কোনও মহিলা আমলা পুরুষ IAS অফিসারদের মধ্যে জনে জনে এই ছবি শেয়ার করেন, তবে অর্থটা কী দাঁড়ায়? এটা কোনও ব্যক্তিগত বিষয় নয়। তবে এভাবে ছবি শেয়ার করা সার্ভিস রুল ভাঙার সামিল। স্যাঁলো বা ঘুমানোর সময়কার ছবি দেখলে হয়তো সাধারণ বলে মনে হবে। কিন্তু যে ভঙ্গিমার ছবিগুলি শেয়ার করা হয়েছে, তা অন্য কথা বলছে।
এটি মোটেও ভালোভাবে গ্রহণ করেনি আইএএস রোহিণী। তাঁর প্রতি রূপার ‘ব্যক্তিগত ঘৃণা’র কারণেই মিথ্যা অভিযোগগুলি আনা হয়েছে বলে দাবি রোহিণীর। রূপার অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন এবং তাঁর বদনাম করার জন্য এই ছবিগুলি ব্যবহার করা হয়েছে। আইপিএস রূপার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও তিনি হুমকি দিয়েছেন।
রূপা সবসময় সংবাদমাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন এবং ওঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। এই মুহূর্তে আমার মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চলছে। ওঁদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। আমি ইতিমধ্যে ডিজির সঙ্গে কথা বলেছি এবং মুখ্যমন্ত্রীও এই বিষয়ে ভাবছেন। সব কিছুর একটা সীমা আছে। ওঁদের আগেও সতর্ক করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় এই পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্রর। উচ্চপদস্থ এই দুই মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আরাগা।
- Related topics -
- দেশ
- আইপিএস অফিসার
- আইএসএফ
- কর্ণাটক