দেশ

নোট বাতিল প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করলো কেন্দ্রকে, 'হাত গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না'

নোট বাতিল প্রসঙ্গে  সুপ্রিম কোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করলো কেন্দ্রকে, 'হাত গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না'
Key Highlights

নোট বাতিল প্রসঙ্গে মোদী সরকার তীব্র ভর্ৎসনার সম্মুখীন হল সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে।

নোট বাতিল প্রসঙ্গে যে মামলা করা হয়েছিল তারই শুনানিতে শীর্ষ আদালত কড়া বার্তা দিয়েছে। সেই সঙ্গে আরবিআইয়ের কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জরুরি বৈঠকে কী কী আলোচনা হয়েছিল।

মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই নোট বাতিলের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার পুরনো নোট বাতিল ঘোষণা করা হয়। রাতারাতি বদলে যায় পুরো পরিস্থিতি। গোটা দেশের মানুষ চরম হয়রানি শিকার হয়েছিলেন। দিনের পর দিন এটিএমের লাইনে ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে তাদের। তাই নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের অসংখ্য গরিব মানুষকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা।

মোদী সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই আদালতে মামলা করা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই বিচারপতি আবদুল নজির, বিচারপতি বি-আর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি বি রামাসুব্রহ্মনিয়ম এবং বিচারপতি বিভি নাগারাথনা কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। আরবিআইয়ের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তা শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন এটা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ছিল। কালো টাকা দেশ থেকে দূর করতেই মোদী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আরবিআইয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে এটা একটা অর্থনৈতিক নীতি ছিল।

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে দেশের আর্থিকনীিততে হস্তক্ষেপ করতে চায় না সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু যে পদ্ধতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে হস্তক্ষেপ করতেই পারে। দুটি জিনিসের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে বলে জানান বিচারপতিরা। ৫ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে সরকারের আর্থিক নীতি নিয়ে কোনও কথা সুপ্রিম কোর্ট বলতে চায় না নোট বাতিলব অবশ্যই একটা অর্থনীতিক নীতির সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু যেভাবে সেটি কার্যকর করা হয়েছে তানিয়ে কথা বলতে পারে শীর্ষ আদালত।

শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণের পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আইনজীবী জানান রাতারাতি এই সিদ্ধান্ত ঘোষাণা করা হলেও সাধারণ মানুষকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। এদিন মামলা কারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন পি চিদাম্বরম। তিনি আদালতে জানান সরকার একক ভাবে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিেয়ছে। সংসদে এই নিয়ে কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি। সব দলের সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল মোদী সরকারের এমনই জানিয়েছেন তিনি।