S-400 Missile | ভারতের ১৫টি শহরে পাকিস্তানের হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে 'সুদর্শন চক্র' এস-৪০০! জানুন এই মিসাইলের বিশেষত্ব!

Thursday, May 8 2025, 1:44 pm
highlightKey Highlights

বুধবার ভোররাতে ভারতের ১৫টি শহরে হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই চেষ্টাকে ব্যর্থ করেছে ভারত। ভারতীয় বায়ু সেনা তাদের এস-৪০০ মিসাইল (s 400 missile)​ পাকিস্তানের সেই আক্রমণ প্রতিহত করেছে। ভারতীয় বাহিনী শুধু প্রতিরোধই করেছে তা নয়, বরং পাক 'এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম'ও ধ্বংস করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু জানেন এই এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম (s 400 missile system​) এর বিশেষত্ব কী?


পহেলগাঁও হামলারজবাব দিতে পাকিস্তান ও POKতে 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযান চালায় ভারতের বায়ুসেনা। এর পাল্টা আঘাতে বুধবার ভোররাতে ভারতের ১৫টি শহরে হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই চেষ্টাকে ব্যর্থ করেছে ভারত। সেনা সূত্রে খবর, ভারতীয় বায়ু সেনা তাদের এস-৪০০ মিসাইল (s 400 missile)​ পাকিস্তানের সেই আক্রমণ প্রতিহত করেছে। ভারতীয় বাহিনী শুধু প্রতিরোধই করেছে তা নয়, বরং পাক 'এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম'ও ধ্বংস করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু জানেন এই এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম (s 400 missile system​) এর বিশেষত্ব কী?

সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের অন্তিপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কপুরতলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, ভাতিন্দা, চণ্ডীগড়, নাল, পালোধি, উত্তরলাই এবং ভুজে ড্রোন এবং মিসাইল হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু 'সুদর্শন চক্র' (sudarshan chakra​) নামে পরিচিত এস-৪০০ (s 400 missile​)এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করে পাকিস্তানের আক্রমণ নিষ্ক্রিয় করেছে ভারতের সেনা।

Trending Updates

এই প্রতিরোধ অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে রুশ 'এস-৪০০'। এই মিসাইল দুনিয়ার আধুনিকতম 'ভূমি থেকে আকাশ' ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম) বলে গণ্য করা হয়। রাশিয়ার তৈরি অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম বিশ্বের সবচেয়ে উন্নতমানের, যা ৬০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু খুঁজে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পরিসরে হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম। এই মিসাইলগুলি (india missile​) ৬০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করেতে সক্ষম এবং ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পরিসরে সরাসরি হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম। জানা গিয়েছে, ভারত এখন পর্যন্ত দু'টি এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন করেছে। তার মধ্যে একটি জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাব রক্ষার জন্য পাঠানকোটে এবং অন্যটি রাজস্থান এবং গুজরাটের অঞ্চলগুলিকে রক্ষার জন্য।

'সুদর্শন চক্র' এস-৪০০ এর বিশেষত্ব । Specialty of 'Sudarshan Chakra' S-400 :

  • মাটি থেকেই আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এটি।
  • আকাশে বিভিন্ন ধরণের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এস-৪০০ এর।
  • এস-৪০০ এ দু'টি ব়্যাডার সিস্টেম রয়েছে। যা আকাশে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এবং একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে।
  • ধ্বংস করতে পারে স্টেলথ ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি ড্রোনকে।
  • যে কোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সিস্টেমটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া যায়। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে এস-৪০০ ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যায়।
  • লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার জন্য এতে একটি জ্যামার-রোধী প্যানোরামিক ব়্যাডার সিস্টেম রয়েছে।
  • বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র সহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ৪টি ব্যারেল বা স্টেশন রয়েছে এটিতে।

২০১৮ সালের অক্টোবরে পাঁচটি এস- ৪০০ (s 400 missile​) এর জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। এর পর রাশিয়া থেকে তিনটি এস-৪০০ ভারতে আসে। জানা গিয়েছে, বাকি দু'টি এস-৪০০ ২০২৬ সালের মধ্যেই চলে আসবে ভারতের হাতে। বলা বাহুল্য, ভারত ও রাশিয়ার পাশাপাশি, চীন, তুরস্ক এবং বেলারুশও এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File