WB Finance: রাজ্যের মাথায় নয়া মুকুট, গত চার অর্থবর্ষে রাজ্যের দেনা কমেছে ৩ শতাংশ
বাম আমলের ঋণের বোঝা কমিয়ে ভারতসেরা বাংলা। রাজ্যের দেনা কমেছে ৩ শতাংশ।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রকল্প যেমন - কৃষি, ১০০ দিনের কাজ, কন্যাশ্রী, শিক্ষায় ইতিমধ্যেই বারংবার ভারতসেরার স্বীকৃতি এসেছে এই বাংলায়। এবার রাজ্যের মুকুটে শোভা পেল আরও এক ঝলমলে পালক। আর্থিক ঋণের বোঝা কমানোর ক্ষেত্রে দেশের সেরা রাজ্যের স্বীকৃতি পেল পশ্চিমবঙ্গ।
সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া দেশের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে নয়াদিল্লির ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসি’-র রিপোর্ট। যে রিপোর্টে মুক্তকণ্ঠে বলা হয়েছে, ২০১৫-র এপ্রিল থেকে ২০১৯-র মার্চ- টানা এই চার অর্থবর্ষে ধার কমানোর ক্ষেত্রে গোটা দেশে সেরা পারফরম্যান্স মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের।
সেই রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, পরবর্তীকালে ঋণ বাড়লেও তার পরিমাণ ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের থেকে কম। তবে পুরনো বিপুল দেনার দায় তারপরও এতটাই বেশি যে প্রতি ১০ টাকা আয়ের মধ্যে ২ টাকা চলে যাচ্ছে ধারের সুদ মেটাতে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসি’, সংক্ষেপে এনআইপিএফপি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীনে থাকা স্বশাসিত একটি গবেষণা সংস্থা। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও তহবিলে অর্থ বরাদ্দ, কর কাঠামো, শুল্ক ব্যবস্থার মতো জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা ও সরকারের আর্থিক নীতি নির্ধারণের দিশা দেওয়াই এই সংস্থার কাজ। এহেন সংস্থার বার্ষিক রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ।
গত ১১ বছর আগে, যখন বাংলার মানুষের রায়ে রাজ্য পরিচালনার গুরুভার কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন বাম জমানার বিপুল দেনার উত্তরাধিকারও চেপেছিল তৃণমূল সরকারের ঘাড়ে। ‘ঘাটতিশূন্য বাজেট’-এর মায়াকাজলে সেই দায় তখনই ২ লক্ষ কোটি টাকার কাছে। সুদ-সহ সেই বিপুল ঋণ শোধ ও একইসঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়নের অতি দুরূহ কাজ মমতাকে চালাতে হয়েছে গত ১১ বছর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের ১৮টি রাজ্যের চলতি বছরের বাজেট পর্যালোচনা করে ‘NIPFP’ বলেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষ থেকে চার অর্থবর্ষে দেশের যে পাঁচটি রাজ্য জিডিপি-র তুলনায় ঋণ কমিয়েছে, তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সফলতম। পাঞ্জাবের জিডিপি-র তুলনায় ঋণের পরিমাণ যেখানে বেড়েছে ১৫ শতাংশ, সেখানে ৩৩.৮৭ শতাংশ থেকে কমে বাংলার ঋণের ভার নেমে এসেছে ৩০.৮৮ শতাংশে। সাফল্যের ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে, স্ট্যাম্প ডিউটি থেকে কর আদায় ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনলাইন পদ্ধতি চালু করাই এর কারণ।
- Related topics -
- অর্থনীতি
- মমতা ব্যানার্জী
- মুখ্যমন্ত্রী
- রাজ্য