মমতা ব্যানার্জী

ডুরান্ড কাপের উদ্বোধন হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে, সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন রাষ্ট্রপতি

ডুরান্ড কাপের উদ্বোধন হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে, সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন রাষ্ট্রপতি
Key Highlights

সরকারী ভাবে ঢাকে কাঠি পড়ে গেল ডুরান্ড কাপের। এটি ডুরান্ডের ১৩১তম সংস্করণ হতে চলেছে। এশিয়ার প্রাচীনতম এবং বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীনতম টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপ।

সারা দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। স্বীধনতার অমৃত মহোৎসবকে মাথায় রেখে এ বারের ডুরান্ড কাপ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এত দিন পর্যন্ত ডুরান্ড কাপ আয়োজন করত যে কোনও একটি শহর।

সিমলাতে প্রথম শুরু হয় ডুরান্ড কাপ ১৮৯৮ সালে। তার পর থেকে এই প্রতিযোগীতা হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্যই আয়োজন করার সুযোগ পেয়েছে। সিমলা থেকে ডুরান্ড কাপ নিয়ে আসা হয় দিল্লিতে, মাঝে মনোহর পারিকর ডিফেন্স মিনিস্টার থাকার সময়ে ডুরান্ড কাপ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গোয়ায় কিন্তু সেখানে আবহাওয়া এবং অন্যান্য কারণে প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি ডুরান্ড কাপ।

ঐতিহ্যশালী এই প্রতিযোগীতাকে পুরনো ছন্দে নিয়ে আসতে ডুরান্ড করে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। ভারতীয় ফুটবল মক্কায় আসার সঙ্গেই পুরনো গড়িমা ফিরে পায় ডুরান্ড কাপ। ডুরান্ড কাপ এই বছর আয়োজিত হতে চলেছে তিনটি রাজ্যের মোট চারটি স্টেডিয়ামে। কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে হবে ডুরান্ডের উদ্বোধনী এবং ফাইনাল ম্যাচ। এ ছাড়া কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গণেও খেলা দিয়েছে আর্মি। গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম এবং ইম্ফলে কুমান লাম্পাক মেন স্টেডিয়ামে হবে খেলা।

এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। অপর দিকে, টুর্নামেন্টের শেষ দিন অর্থাৎ ফাইনালে কলকাতায় উপস্থিত থাকতে পারেন দেশের নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু। তাঁর উপস্থিত থাকার বিষয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চয়তা না পাওয়া গেলেও তাঁর থাকার বিষয়ে আয়োজক কমিটি আশাবাদী।

ডুরান্ড কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ১৬ অগস্ট যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে খেলবে মহমেডান স্পোর্টিং এবং এফসি গোয়া। মহমেডানই প্রথম সিভিলাইন ক্লাব যারা ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২৮ অগস্ট আয়োজিত হবে ডার্বি। প্রথমে বড় ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা থাকায় মরসুমের প্রথম ডার্বি দেখতে কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের। বিনিয়োগকারী সমস্যা মিটিয়ে ইস্টবেঙ্গলে জোর কদমে চলছে দল গঠন প্রক্রিয়া। তাই ঐতিহ্যশালী ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান দ্বৈরথে নামার আগে লাল-হলুদের তরফ থেকে আর্মির কাছে অনুরোধ করা হয় তাঁদের দল গুছিয়ে তোলার কিছুটা সময় দিতে।