রাজ্য

Lakshmir Bhandar | এপ্রিল থেকেই লক্ষ্মী ভান্ডারে মিলবে বেশি টাকা! এই রাজ্য প্রকল্পের জন্য আবেদন করা আছে তো? রইলো লক্ষ্মী ভান্ডারে আবেদনের পদ্ধতি!

Lakshmir Bhandar | এপ্রিল থেকেই লক্ষ্মী ভান্ডারে মিলবে বেশি টাকা! এই রাজ্য প্রকল্পের জন্য আবেদন করা আছে তো? রইলো লক্ষ্মী ভান্ডারে আবেদনের পদ্ধতি!
Key Highlights

সম্প্রতি লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ শ্রেণির মহিলারা ৫০০ টাকার বদলে প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি এবং উপজাতির মহিলাদের ভাতার অঙ্কও বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। ১০০০ টাকার পরিবর্তে এবার মাসিক ১২০০ টাকা করে পাবেন।

পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিক প্রকল্প চালু হয়েছে রাজ্যে। যার দ্বারা আম জনতা বেশ উপকৃত হচ্ছেন। এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে লক্ষ্মী ভান্ডার (Laxmi Bhandar)। বিশেষত মহিলাদের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তৈরী করা হয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প। এর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি  মহিলা উপকৃত হন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই প্রকল্পের টাকা বাড়ানো হয়েছে। যা রাজ্যের মহিলারা পাবেন আগামী এপ্রিল মাস থেকেই। যদি আপনি লক্ষ্মী ভান্ডার (Laxmi Bhandar) প্রকল্পের আওতায় আবেদন না করে থাকেন তাহলে জেনে নিন তা কী করে করবেন-

 সম্প্রতি পেশ হওয়া রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের টাকা বাড়ানো হয়েছে। ২০২৪-২৫ বর্ষের বাজেট পেশ করার সময়ই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। এতদিন অবধি এই প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পেতেন। তবে এবারের বাজেটে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই টাকা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে এপ্রিল মাস থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এই টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। ভাতা বৃদ্ধির ফলে এবার সাধারণ শ্রেণির মহিলারা ৫০০ টাকার বদলে প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন। একইরকমভাবে তপশিলি জাতি এবং উপজাতির মহিলাদের ভাতার অঙ্কও বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। ১০০০ টাকার পরিবর্তে এবার মাসিক ১২০০ টাকা করে পাবেন তাঁরা।

কারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন?

 লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প যে সময়ে চালু হয় সেই সময় বয়সের বাধ্যবাধকতা ছিল পঁচিশ থেকে ষাট বছর। মমতা জানিয়ে দিয়েছেন এবার থেকে, ষাট বছর পার করার পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রাপকরা বার্ধক্য ভাতার আওতায় চলে আসবেন। ফলে তাঁরা ২০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। পাশাপাশি পরিবারে যতজন মহিলাই থাকুন না কেন তাঁরা যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়ার সমস্ত শর্ত পূরণ করেন সেক্ষেত্রে প্রত্যেকেই সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন।

লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেশির ভাগ প্রকল্পেই অনলাইন এবং অফলাইন দুই রকম ভাবেই আবেদন করা যায়। অর্থাৎ সশরীরে গিয়েও এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যায় এবং অনলাইনে লক্ষ্মীর ভান্ডার পোর্টাল (lakshmir bhandar portal) এর মাধ্যমেও আবেদন করা যায়।

অফলাইন পদ্ধতি :

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন সময়ে নানা জায়গায় আয়োজন করা হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবিরের। কেউ যদি অফলাইনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে চান, তা হলে তাঁকে দুয়ারে সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যাম্পে যেতে হবে যেতে হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যাম্পেন থেকে আবেদনকারীকে একটি অ্যাকটিভ ইউনিক নম্বর লক্ষ্মী ভান্ডারের ফর্ম (laxmi bhandar form) ফর্ম দেওয়া হবে। এ বার সেই ইউনিক ফর্মটি ফিল আপ করে উল্লিখিত নথি সমেত আবেদনপত্রে কপি সেই ক্যাম্পেই জমা করতে হবে।

অনলাইন পদ্ধতি :

 অনলাইনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে এক্ষেত্রে অবশ্যই ইন্টারনেট পরিষেবা থাকা প্রয়োজন। এর জন্য প্রথমে গুগল ক্রমে (Google Chrome) লক্ষ্মীর ভাণ্ডার লিখলেই সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার পোর্টাল (lakshmir bhandar portal) বা ওয়েবসাইটিটি চলে আসবে।  তা সত্ত্বেও কেউ যদি সরাসরি ওয়েবসাইটেই ঢুকতে চান, তা হলে এই https://wb.gov.in/ লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন। এ ছাড়া কেউ আবার সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফরম্যাটে ফর্মটি ডাউনলোড করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ডাউনলোড করার জন্য  https://drive.google.com/file/d/1e_5Bn9elgSg79nUk_RelQgRR8RQG8DSn/view  লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন। এই  ফর্মটির একটি প্রিন্ট আউট বের করে সঠিক তথ্য দিয়ে তা পূরণ করতে হবে। যেখানে ছবি লাগানোর জন্য বক্স চিহ্নিত করা আছে, সেখানে আবেদনকারীর ছবি লাগাতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় নথি সমেত আবেদনের পত্রটি জমা করতে হবে স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস কিংবা ওয়ার্ডে।

লক্ষ্মী ভান্ডারের আবেদন করার জন্য কী কী নথি দিতে হবে?

লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য লক্ষ্মী ভান্ডারের ফর্ম (laxmi bhandar form) এর সঙ্গে আবেদনকারীকে বেশ কিছু নথি জমা দিতে হবে। যেমন-আবেদনকারীর আধার কার্ডের ফোটো কপি লাগবে। আবেদনকারীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা বাঞ্ছনীয়। তাই আবেদনকারীকে সেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ফোটো কপি জমা করতে হবে। আবেদনকারীর আবেদনপত্র যাচাই করে তা নির্বাচিত হলে অনুদানের টাকা মাসে মাসে সরাসরি পৌঁছে যাবে আবেদনকারীর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। তাই নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য জমা করতে হবে আবেদনকারীকে। সেই কারণে ব্যাঙ্কের পাসবুকের প্রথম পাতার ফোটো কপি জমা করলেও হবে। আবেদনকারীর পরিচয়ের প্রমাণ স্বরূপ নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গেই আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর লিখে দেওয়া বাধ্যতামূলক।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের ৩০ জুলাই এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেন। রাজ্যের প্রত্যেকটি পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা সদস্যদের জন্য মাসিক ন্যুন্যতম আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্যই এই প্রকল্প চালু করা। এর আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নাম তোলার জন্য আগে দুয়ারে সরকার কর্মসূর্চির জন্য মহিলাদের অপেক্ষা করতে হতো।  তবে এখন সারা বছরই এই প্রকল্পে নাম তোলা যায়। প্রয়োজনীয় নথি সহ আবেদনপত্র জমা দিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নতুন করে নাম তোলা যায়। এছাড়াও সব থেকে উল্লেখ্য বিষয় হলো এখন   এই প্রকল্পের আওতায় পাওয়া যাবে বেশি টাকা।