কোলকাতা

Howrah Bridge traffic: আদিবাসী আন্দোলনে বাতিল ট্রেন, স্তব্ধ হাওড়া ব্রিজ

Howrah Bridge traffic: আদিবাসী আন্দোলনে বাতিল ট্রেন, স্তব্ধ হাওড়া ব্রিজ
Key Highlights

হঠাৎ আদিবাসী মিছিল, বন্ধ হাওড়া ব্রিজ, যানজটে নাভিশ্বাস মধ্য কলকাতার। কিন্তু কেন এই মিছিল?

সকাল সাড়ে সাতটা থেকে ১১ টা, সাধারণত এই সময়টা 'অফিস টাইম' হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। আজ শুক্রবার, ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে আটটা, অফিসমুখী জনতা হাওড়া স্টেশন থেকে বের হয়ে হাওড়া ব্রিজের মুখে পৌঁছেই আটকে গেল, কারণ হাওড়া ব্রিজ স্তব্ধ। ব্রিজ জুড়ে হলুদ সবুজ পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে সার সার আদিবাসী মানুষ। একটি গাড়িরও নড়াচড়ার উপায় নেই। তাঁদেরই মিছিলে সাত সকালে ব্যস্ত অফিস টাইমে থমকে যায় কলকাতায় আসার মূল প্রবেশ দ্বার হাওড়া ব্রিজ। তার পর একে একে এমজি রোড, উত্তর কলকাতামুখী সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, ধর্মতলা চত্বর-সহ প্রায় কলকাতার মধ্য পুরোটাই ট্রাফিক জ্যামের সম্মুখীন হয়।

এখন প্রশ্নটা হল - এটা কাদের বা কিসের মিছিল? কী বা তাঁদের দাবি? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন মনে উঁকি দিচ্ছিল সকলের। পাশাপাশি এই গরমের মধ্যে কলকাতা শহরে একটি ব্যস্ততম দিনের ব্যস্ত সময়ে নিত্য পথ যাত্রীরা খুব বিরক্তও বোধ করছিলেন। পরে জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের আদিবাসী সংগঠন "ভারত জাকাত মাঝি পরগণা মহল"-এর নেতৃত্বে এই আদিবাসীরা পথে নেমেছেন তাঁদের ধর্মীয় উপাসনার অধিকার চেয়ে। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে তাঁদের দেবতা মারানবুড়ুর উপাসনা স্থল। সেখানে ওই ধর্মীয় স্থলটি ধ্বংস করে নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদেই শুক্রবার সকালে ডেপুটেশন জমা দিতে তাঁরা প্রথমে এসে হাজির হন হাওড়া স্টেশনে। সেখান থেকে রানি রাসমনি রোডে মিছিল করে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেওয়াই ছিল তাঁদের লক্ষ্য।

সূত্রের খবর, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের উপরে আদিবাসীদের দেবতা মারানবুড়ুর উপাসনা স্থলে টুরগা পাম্প স্টোরেজ প্রজেক্ট নামে একটি নির্মাণ হচ্ছে। সেই নির্মাণের জেরেই নষ্ট হচ্ছে আদিবাসীদের ধর্মীয় স্থান। স্থানীয় স্তরে সেই নির্মাণের বিরোধিতা করে কোনও লাভ না হওয়ায় শেষে শহরে এসে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।