প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আত্মহত্যা, অস্ট্রেলিয়ায় ঘোষণা করা হয় জাতীয় বিপর্যয়
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আত্মহত্যার হিড়িক পড়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটির বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের মধ্যে বেড়েছে আত্মহত্যার হার।
গত আট মাস ধরে কয়েকশ লোকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ সরকারি একটি তদন্ত সংস্থা। রাজকীয় কমিশনের নেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে দেখা গেছে, অত্যাধিক জটিল প্রশাসনিক পদ্ধতির কারণে অস্ট্রেলিয়ার চাকরিজীবী নারী ও পুরুষরা কার্যত সংগ্রাম করছেন এবং চাকরি থেকে অব্যাহতির পর নানামুখী সহায়তা-সমর্থনের অভাবে জীবনযাপন করছেন।
এদিকে এই রিপোর্ট প্রকাশের পরপরই ক্ষমা চেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। একইসঙ্গে রিপোর্টে উল্লেখ করা সুপারিশগুলোর বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
অস্ট্রেলিয়ার সৈন্যরা কুইন্সল্যান্ডে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে
অস্ট্রেলিয়ার ভেটেরান্স বিষয়ক মন্ত্রী ম্যাট কিয়োগ বলেছেন, ‘এটি খুবই বিপর্যয়কর যে গত ২০ বছরে আফগানিস্তান ও ইরাকে যুদ্ধের সময় অস্ট্রেলিয়া যত সেনা হারিয়েছে, তার চেয়ে বেশি সাবেক ও বর্তমান সেনা আমরা হারিয়েছি আত্মহত্যার কারণে।’অস্ট্রেলিয়ার ভেটেরান্স বিষয়ক মন্ত্রী ম্যাট কিয়োগ বলেছেন, ‘এটি খুবই বিপর্যয়কর যে গত ২০ বছরে আফগানিস্তান ও ইরাকে যুদ্ধের সময় অস্ট্রেলিয়া যত সেনা হারিয়েছে, তার চেয়ে বেশি সাবেক ও বর্তমান সেনা আমরা হারিয়েছি আত্মহত্যার কারণে।’অস্ট্রেলিয়ার এক সাবেক সৈনিক রয়্যাল কমিশনের শুনানিতে বলেন, আফগানিস্তান থেকে ফিরে আসার পরে তিনি যা দেখেছিলেন তা সামলাতে না পেরে তার জীবন কীভাবে বিষিয়ে উঠেছিল।
বিবিসি বলছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আত্মহত্যার হার নিয়ে দ্য রয়্যাল কমিশন ইন ডিফেন্স অ্যান্ড ভেটেরান সুইসাইড’র অন্তর্বর্তী রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। সদ্য প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে, কমিশনাররা প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে ‘সাংস্কৃতিক সমস্যা’ এবং আত্মহত্যার উচ্চ হার মোকাবিলায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
- Related topics -
- আন্তর্জাতিক
- প্রতিরক্ষা
- প্রতিরক্ষা বাহিনী
- অস্ট্রেলিয়া
- আত্মহত্যা