রাজ্য

Mango Sell | চাহিদার থেকে ফলন বেশি! হিমসাগর - চন্দনখোসা খাচ্ছে গরু! মাথায় হাত আম চাষীদের!

Mango Sell | চাহিদার থেকে ফলন বেশি! হিমসাগর - চন্দনখোসা খাচ্ছে গরু! মাথায় হাত আম চাষীদের!
Key Highlights

গত বছরের থেকে দ্বিগুণ বেশি ফলন হয়েছে আমের। বাজারে নিয়ে গিয়েও বিক্রি হচ্ছেনা হিমসাগর, গোলাপখাস।

গরমকাল আসতেই প্রায় সকলেই অপেক্ষায় থাকেন কবে বাজারে আম আসবে। বহু বছরই আবহাওয়ার জন্য সেরকম ভাবে আমের ফলন বেশি হয়না। যার ফলে দামও হয় আকাশ ছোঁয়া। তবে এবার প্রতিকূল আবহাওয়া সত্বেও চলতি বছর ব্যাপক আমের ফলন। যার ফলে বাজারে গিয়ে ঠিক দামে বিক্রিও করতে পারছেন না কৃষকরা।

চলতি বছর হঠাৎ করেই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ও বৃষ্টিপাত সেভাবে না হওয়ায় পরিমাপে বাড়েনি আম। তবে ফলন গত বারের থেকে দ্বিগুণ। কৃষকদের দাবি, চাহিদার থেকে এবার বেশি জোগান হয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে বহু ভালো ভালো আম। রীতিমত আম যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য সেগুলো খাচ্ছে গরু। এই কারণেই জেলায় আম সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি করে তারা।

আমের ফলন বেশি হওয়ায় এবছর চন্দনখোসার মত দামি আম ১৭ টাকা দিয়ে কিনছেন আড়তদাররা। অন্যদিকে, চম্পা ১০ টাকা, সারেঙ্গা ১০ টাকা, গোলাপখাস ১৭ টাকা, রানি ১৫ টাকা হয়েছে এই বছর। গত বছর চন্দনখোসার পাইকারি দাম ছিল ৩০ টাকা, রানির ২৫ টাকা, সারেঙ্গার ৩২ টাকা, হিমসাগরের ৩৫ টাকা, গোলাপখাসের ২৫ টাকা দাম ছিল।

আম চাষীরা জানান, অন্যান্য বছরের মতো এবছরেও বিহার (Bihar), ঝাড়খণ্ড (Jharkhand), উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh), অসম (Assam) ও গুয়াহাটিতে (Guwahati) আম রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু তা সত্বেও এখনও প্রচুর আমের জোগান রয়েছে। যার জন্য আম পরে থেকে নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবহণ খরচ বেড়েছে। যার ফলে বাইরে থেকে আসা পাইকাররা খুব বেশি আম নিচ্ছেন না। বাজারে আম নিয়ে গেলেও ফিরে আসতে হচ্ছে চাষীদের।কৃষকরা দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এই বছর আম টিকিয়ে রাখতে জল স্প্রে থেকে ভিটামিন ও কীটনাশক দিতে হয়েছে গাছে। যার জন্য খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। কিন্তু এবার এক লাখ টাকার আমও বিক্রি হবে কিনা সন্দেহ।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা উদ্যান পালন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. প্রভাস চন্দ্র মন্ডল বলেন, প্রতি বছর আম চাষীদের সংখ্যা বাড়ছে, ফলে ফলনও বেশি হয়েছে। যার জন্যই চাষীরা দাম পাচ্ছেন না।

জেলায় বাইশ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আমবাগান রয়েছে। আমবাগান তৈরিতে মানুষের উৎসাহ প্রতি বছর বাড়ছে। এবার আমের ফলন বেশি হওয়ায় সঠিক দাম পাচ্ছেন না চাষীরা।

ড. প্রভাস চন্দ্র মন্ডল, জেলা উদ্যান পালন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর

এই বছর আমের বেশি ফলন দেখেই আশার আলো দেখেছিলেন আম চাষীরা। ভেবেছিলেন বাজারে চাহিদা মেটানোর মত পর্যাপ্ত ফলন হয়েছে, সঙ্গে ঠিক দামও পাবেন তারা। কিন্তু এখন সেই আশার আলোতে ছেয়ে গিয়েছে অন্ধকার। চাহিদার থেকে ফলন বেশি হওয়ায় পরে পরে নষ্ট হচ্ছে আম।