উৎসব ২০২৪

Vijaya Dashami | বিজয়া দশমীতে উমা ফিরবেন কৈলাশে, কেন দেবীপক্ষের দশম দিনটিকে দশমী বা বিজয়া দশমী কেন বলা হয় জানেন?

Vijaya Dashami | বিজয়া দশমীতে উমা ফিরবেন কৈলাশে, কেন দেবীপক্ষের দশম দিনটিকে দশমী বা বিজয়া দশমী কেন বলা হয় জানেন?
Key Highlights

২০২৪ এর দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2024) তিথি ক্ষয়ের কারণে চার দিনের বদলে পুজো কমে এসেছে তিন দিনে। বিজয়া দশমীও তাই রবিবারের বদলে পড়েছে শনিবার। এদিনই পিতৃগৃহ ছেড়ে উমা এবার ফিরে যাবেন কৈলাশে তাঁর স্বামী মহাদেবের কাছে। তবে চোখের জলে নয়, বাঙালি সবসময়ই 'মেয়ে'কে বিদায় জানিয়েছে সিঁদুর খেলে, মিষ্টিমুখ করে, হাসিমুখে। কিন্তু দুর্গাপুজোর এই শেষ দিনটি অর্থাৎ দেবীপক্ষের দশম দিনটিকে দশমী বা বিজয়া দশমী কেন বলা হয়ে থাকে জানেন?

এবার বিজয়া দশমী পড়েছে শনিবারে। ২০২৪ এর দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2024) তিথি ক্ষয়ের কারণে চার দিনের বদলে পুজো কমে এসেছে তিন দিনে। বিজয়া দশমীও তাই রবিবারের বদলে পড়েছে শনিবার। এদিনই পিতৃগৃহ ছেড়ে উমা এবার ফিরে যাবেন কৈলাশে তাঁর স্বামী মহাদেবের কাছে। তবে চোখের জলে নয়, বাঙালি সবসময়ই 'মেয়ে'কে বিদায় জানিয়েছে সিঁদুর খেলে, মিষ্টিমুখ করে, হাসিমুখে। কিন্তু দুর্গাপুজোর এই শেষ দিনটি অর্থাৎ দেবীপক্ষের দশম দিনটিকে দশমী বা বিজয়া দশমী কেন বলা হয়ে থাকে জানেন?


 দেবীপক্ষের দশম দিনটিকে দশমী বা বিজয়া দশমী কেন বলা হয়?
পুরাকালে মহিষাসুর নামে এক ভয়ংকর অসুর ব্রহ্মার বর পেয়ে প্রবল ক্ষমতাশালী হয়ে যান। তিনি নিজের ক্ষমতাবলে স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল দখল করে নেন। দেবতারা ঠিক করেন যে মহিষাসুরকে বধ করতে হলে কোনও নারীর সাহায্য নিতে হবে। তখন সব দেবতার মিলিত শক্তি থেকে আবির্ভূতা হন দেবী দুর্গা। পুরাণে মহিষাসুর বধের কাহিনী অনুসারে টানা নয় দিন ও নয় রাত্রি যুদ্ধের পর শুক্লা দশমীতে মহিষাসুরকে বধ করেন মা দুর্গা । এই বিজয় লাভকেই বিজয়া দশমী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।


অন্যদিকে, রামায়ণের কাহিনী অনুযায়ী, ত্রেতা যুগে লংকার রাজা দশানন রাবণ শ্রীরামচন্দ্রের পত্নী সীতা দেবীকে অপহরণ করেছিলেন। অকাল বোধন করে দেবী দুর্গার আশীর্বাদ নিয়ে রাম স্ত্রীকে উদ্ধার করতে লংকা অভিযান করেন। শুক্লা দশমীতেই তিনি রাবণকে বধ করেন। রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রামের এই জয়লাভকে চিহ্নিত করা হয় বিজয়া দশমী নামে। আবার মহাভারতের কাহিনি বলে, বার বছর বনবাস ও এক বছর অজ্ঞাতবাসের পর পঞ্চ পাণ্ডব আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমীতে তিথিতেই একটি শমীগাছের কোটরে থাকা তাঁদের লুকনো অস্ত্র পুনরুদ্ধার করেন এবং নিজেদের পরিচয় ঘোষণা করেন। 


কেবল হিন্দু ধর্ম নয়, বৌদ্ধ ধর্মেও বিজয়া দশমীর উল্লেখ রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী, বিজয়া দশমীর (Vijaya Dashami) আসল নাম অশোক বিজয়া দশমী। কলিঙ্গ যুদ্ধে জয়ের পর ১০ দিন ধরে মৌর্য সম্রাট অশোক বিজয় উত্‍সব পালন করেছিলেন, সেটিই অশোক বিজয়া দশমী। সেখান থেকেই বিজয়া দশমী নামটি এসেছে। আর শুক্লা দশমীতেই তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাই বৌদ্ধদের কাছেও এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। আবার অনেকের মতে দেবীকে মৃন্ময়ী প্রতিমা থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এদিন। সেই কারণে এটি বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। 


প্রসঙ্গত, সাধারণত বিজয়া দশমীকে (Vijaya Dashami) শুভ তিথি রূপে গণ্য করা হয়। সর্বভারতীয় স্তরে এই তিথিতে নতুন সম্পত্তি কেনা, কন্যার পিতৃগৃহ পরিত্যাগ করে স্বামীগৃহে যাওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। এর জন্য বিজয়া দশমীতে নির্দিষ্ট শুভ লগ্নেরও প্রয়োজন হয় না। বিজয়া দশমী জুড়ে বিরাজ করে অবুজ মুহূর্ত, যার অর্থ সমগ্র দিনটিই শুভ।যদিও এবার শনিবার পড়ে যাওয়ায় এই অবুজ মুহূর্ত থাকছে না।