ফ্যাশন

বসন্তের আগমন! চলে যাচ্ছে সিল্ক-তসরের সময় এখন কেমন শাড়ি পরবেন জেনে নেওয়া যাক

বসন্তের আগমন! চলে যাচ্ছে সিল্ক-তসরের সময় এখন কেমন শাড়ি পরবেন জেনে নেওয়া যাক
Key Highlights

এই বসন্তে শীতের অল্প আমেজ এবং বাড়তে থাকা তাপমাত্রার কথা মাথায় রেখে বাইরে যাওয়ার জন্য আপনি কী শাড়ি পরবেন, তা ঠিক করেছেন কী?

এই আবহাওয়ায় উপযুক্ত এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় শাড়িগুলি সম্পর্কে আগে জেনে রাখা প্রয়োজন

জামদানি শাড়ি

জামদানি নামটি ফার্সি বংশোদ্ভূত এবং এটি মুঘল প্রভাবের ইঙ্গিত দেয়। এই ধরনের শাড়ির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় চাণক্যের অর্থশাস্ত্রে, খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে। আজও কলকাতার শাড়িপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান কাপড় হিসাবে বিবেচিত হয়। এই বসন্তে পরার জন্য বিশেষ উপযুক্ত এটি।

বেগমপুরি শাড়ি

বাংলার এই সুন্দর শাড়িগুলি হাতে বোনা এবং সুতির তৈরি। কলকাতায়ও খুব জনপ্রিয়। বেগমপুরি শাড়ি স্থানীয় ভাবে বোনা হয়। এই শাড়িতে যে তুলো ব্যবহার হয়, তাতে খুব বেশি স্টার্চ লাগে না। বেগমপুরি শাড়ির পাড়ের নকশা সরু এবং রঙিন সুতো দিয়ে হয়। এগুলির ওজন যথেষ্ট হালকা।

মলমল শাড়ি

মলমলের শাড়িগুলি মূলত এই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হলেও বাংলায় এখন অত্যন্ত জনপ্রিয়। কলকাতা শহরের বসন্তে এই শাড়ির উজ্জ্বল রং ভাল রাখবে মনও। এই শাড়িতে ব্যবহৃত কাপড় খুব নরম। নিয়মিত যাঁরা কাজে বেরোন, তাঁদের জন্য আরামদায়ক। বসন্ত বা গ্রীষ্মকালের জন্য এই শাড়ি আদর্শ। মলমল শাড়ির আর একটি বৈশিষ্ট্য হল, এটি ধোয়ার পর আরও নরম হয়ে যায়।

খেশ শাড়ি

বীরভূমের তাঁতিরা বিশেষ ভাবে তৈরি করেন এই খেশের শাড়ি। নতুন সুতো আর পাতলা কাপড়ের টুকরো দিয়ে এই শাড়ি বোনা হয়। এই শাড়ির জমি হয় নরম। আর মূলত উজ্জ্বল বিভিন্ন রঙেই বোনা হয়। সব মিলে শীত শেষের কলকাতায় এই শাড়ি বেশ মানানসই।