Hanskhali Rape Case: পাঁচ সদস্যের সত্যানুসন্ধান কমিটি গড়লেন নাড্ডা
এটা প্রথমবার নয়, এর আগে বগটুই-কাণ্ডেও একই পদক্ষেপ করেছিলেন জে পি নাড্ডা।
রাজ্যে বগটুইয়ের নিন্দনীয় কাণ্ডের পরে হাঁসখালিতেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাবে বিজেপি। বুধবারই একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক দল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। সেই কমিটিতে যেমন যোগীর রাজ্যের মন্ত্রীর রয়েছেন, তেমনই আছেন উত্তরপ্রদেশের এক সাংসদ। বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিটিতে রয়েছেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক।
বগটুই-কাণ্ডেও পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঘুরে আসে রামপুরহাটের ওই গ্রাম। সে রিপোর্টেও নড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জমা দিয়েছে কমিটি। এ বার একই পথে হাঁসখালিকেও জাতীয় রাজনীতির অঙ্গনে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। নড্ডার তৈরি কমিটিতে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সাংসদ রেখা বর্মা, রাজ্যের মন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য। এ ছাড়াও রাখা হয়েছে তামিলনাড়ুর বিধায়ক তথা মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি শ্রীনিবাসন। রয়েছেন মহারাষ্ট্র বিজেপি-র নেত্রী খুশবু সুন্দর এবং বাংলার বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
আমি মঙ্গলবারই হাঁসখালি ঘুরে এসেছি। দেখেছি, নির্যাতিতার পরিবারের লোকেদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। দিনদুপুরে যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে, এর পরে ওই পরিবারের উপর দিয়ে যা গিয়েছে তা মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ভয়ও পাচ্ছেন। কিছু ক্ষণ আগেই কমিটি গঠন হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধি রয়েছেন। সকলের সঙ্গে কথা বলে আজকের মধ্যেই দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলা হবে।
হাঁসখালি তদন্তের ভার ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইকে তদন্ত ভার দেওয়া সত্বেও কেন বিজেপি রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে? এই জাতীয় অনেক প্রশ্নই উঠছে।
সিবিআই তাদের মতো করে তদন্ত করবে। বিজেপি তদন্তে নাক গলাবে না। কিন্তু রাজ্যের পরিস্থিতি ঠিক কেমন, তা গোটা দেশের জানা উচিত। বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা এসে দেখে গেলে সবাই জানতে পারবেন, বাংলায় কেমন অরাজকতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।