BGBS 2023 | বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ২০২৩-এ প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব পেল রাজ্য! দেখুন সম্মেলনের দুদিন কী কী হলো!
বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার, বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গন ও ধনধান্য অডিটোরিয়ামে দুদিনের জন্য আয়োজিত হয়ে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ২০২৩। সম্মেলনে প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পায় রাজ্য সরকার। এক নজরে দেখুন বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ২০২৩ এ কী কী হলো।
গতকাল, ২১সে নভেম্বর থেকে লক্ষ্মীলাভের আশায় রাজ্যে শুরু হয় বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ২০২৩ (BENGAL GLOBAL BUSINESS SUMMIT 2023)। মঙ্গলবারের পর আজ, ২২সে নভেম্বর বুধবার এই অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন। মঙ্গল ও বুধবার এই দু'দিন বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার (Biswa Bangla Convention Center), বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গন ও ধনধান্য অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ২০২৩। এই দু'দিন রাজ্যে উপস্থিত হন রিলায়েন্স গ্রুপের কর্তা মুকেশ আম্বানি, আদানি গ্রুপের প্রতিনিধি দল-সহ প্রায় ৩৫ জন শিল্পপতি। সম্মেলনের প্রথম দিনেই একাধিক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের বাণিজ্যের জন্য। বিপুল নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন শিল্পপতিরা। এরপর বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ২০২৩ (BENGAL GLOBAL BUSINESS SUMMIT 2023) এ প্রায় ৩.৭৬ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার (Biswa Bangla Convention Center) এ আয়োজিত বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনই বাংলায় বড়সড় বিনিয়োগের ঘোষণা করেন রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ আম্বানী (Mukesh Ambani)। তিনি জানিয়েছেন, আগামী তিন বছরে রাজ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তাঁর সংস্থা। পাশাপাশি একই মঞ্চে রাজ্যের অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর (Brand Ambassador of West Bengal) হিসেবে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly)। বাণিজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয়দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০২৩ এর বাণিজ্য সম্মেলন থেকে মোট ৩৭৬২৮৮ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি এবারের বিজিবিএস -এ ১০৮৮টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। দেখে নিন ২০২৩ বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে কী কী উল্লেখ্য প্রস্তাব পেল রাজ্য এবং কী কী উল্লেখ্য ঘটনা ঘটলো।
পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলি :
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর (Brand Ambassador of West Bengal) হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলির নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথমদিন, মঙ্গলবার বাণিজ্য সম্মেলনে নিজের বক্তৃতার শেষে মুখ্যমন্ত্রী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ডেকে নিয়ে তাঁর নাম রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেন এবং মঞ্চে 'দাদা'র হাতে তুলে দেন চিঠি। নবান্ন সূত্রে খবর, সৌরভকে 'রাজ্যের মুখ' হিসেবে নয়া দায়িত্বের সরকারি ভাবে নিয়োগপত্র দেবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বিশেষ সূত্রের খবর অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সৌরভ এই দায়িত্ব পালনের জন্য রাজ্যের থেকে কোনও অর্থ নেবেন না। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শাসক দল হিসেবে ঘাসফুল শিবির অর্থাৎ তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নিয়োগে উদ্যোগী হন মমতা। এতদিন রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের দায়িত্ব পালন করতেন অভিনেতা শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। তবে এবার এই দায়িত্ব পেয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
আম্বানীর রাজ্যে বিনিয়োগ :
বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথমদিন মঞ্চে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন মুকেশ আম্বানী (Mukesh Ambani)। এরপরেই রাজ্যে একাধিক ক্ষেত্রে বিপুল অর্থের বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেন মুকেশ। তিনি বলেন, আগামী তিন বছরে আরও ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর তরফ থেকে। রিলায়্যান্স কর্ণধার জানিয়েছেন, রাজ্যের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিক্ষেত্রকে ডিজিটালি আরও উন্নত করার জন্য বিনিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি টেলি যোগাযোগে জিয়ো-কে (Jio) আরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর তারা। জৈব শক্তি উৎপাদনে রিলায়্যান্স যে গুরুত্ব আরোপ করেছে, সেই ক্ষেত্রেও বাংলায় বিনিয়োগ করা হবে। উল্লেখ্য, রিলায়্যান্সের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৪৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি টেলি সংযোগে কলকাতা জ়োনে ইতিমধ্যেই ৯৮ শতাংশ ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে গিয়েছে রিলায়্যান্সের জিয়ো। এরপর রাজ্যে আরও বিনিয়োগ করে রাজ্যকে একাধিক ক্ষেত্রে আরও উন্নত করার উজ্জ্বল আশা দেখিয়েছেন মুকেশ আম্বানি।
কালীঘাট মন্দির সংস্কারে আম্বানি :
বাংলায় ঢালাও বিনিয়োগের আশ্বাসের পাশাপাশি কালীঘাট মন্দিরকেও নতুন করে সাজিয়ে তোলার কথা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথমদিন বললেন মুকেশ আম্বানি। মঙ্গলবার বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে রিলায়েন্স কর্ণধার জানান, কালীঘাটের মন্দির সংস্কার করে পুনরায় নতুনের মতো করে সাজিয়ে তুলতে চান তাঁরা। শুধু ভক্তি নয়, কালীঘাট মন্দিরের ঐতিহ্যও কলকাতাবাসী তথা আপামর বাঙালির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দির সংস্কারের প্রোজেক্টের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানালেন মুকেশ। উল্লেখ্য, গত চৈত্র সংক্রান্তিতে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তখনই কমিটির কাছে মন্দির সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্দির কমিটির একাংশ মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, সংস্কারে বিলম্ব হচ্ছে। এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা পুরসভার হাত থেকে মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব নিয়ে রিলায়্যান্স গোষ্ঠীকে সেই দায়িত্ব দেওয়াতে উদ্যোগী হন।
তাজপুর বন্দর :
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথমদিন তাজপুর বন্দর (Tajpur Port) এর জন্য নতুন করে দরপত্র তথা টেন্ডার জমা দেওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই তৈরী হয় প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কৌতূহল। কারণ গত বছর সেপ্টেম্বরে আদানি গোষ্ঠীর এই টেন্ডার পাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। গত বছর রাজ্য সরকারের তরফে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ঘোষণা করেছিলেন, তাজপুর (Tajpur) সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বরাত পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। তাজপুর বন্দর (Tajpur Port) নির্মাণে খরচ হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা। বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেছিলেন ফিরহাদ। সূত্রের খবর, এর মধ্যেই কেন্দ্রের তরফে একটি চিঠি আসে রাজ্যের কাছে। তাতে বলা হয়, বন্দর নির্মাণে ‘বিতর্কিত’ যেন কিছু না করা হয়। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, আদানির সঙ্গে মোদীর সখ্য নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ কম নেই। সম্প্রতি এই নিয়ে সংসদে হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi ) থেকে শুরু করে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। এদিকে আবার মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘ঘুষের’ বিনিময়ে আদানিদের বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তার পর সেই অভিযোগ নিয়ে এথিক্স কমিটি তদন্ত করে এবং মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ পাঠানো হয়েছে লোকসভার স্পিকারের কাছে। ফলে মঙ্গলবার তাজপুর (Tajpur) এ বন্দর তৈরী করতে নতুন করে টেন্ডার দেওয়ার কথা ঘোষণার ঘটনা পরোক্ষে মহুয়াকে মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থন করা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অধিকাংশ।
বঙ্গে অন্যান্য বিনিয়োগ :
বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনে আরও কিছু বিনিয়োগের ঘোষণা করেছেন অন্য শিল্পপতিরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, নারায়ণা গ্রুপের কর্ণধার তথা চিকিৎসক দেবীপ্রসাদ শেট্টি ( Deviprasad Shetty, leader of the Narayana Group)। এই সংস্থার তরফ থেকে আগামী দু’বছরের মধ্যে কলকাতায় একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়া জে কে গ্রুপের কর্তা হর্ষপতি সিঙ্ঘানিয়া (JK Group leader Harsh Pati Singhania) খড়্গপুরের বিদ্যাসাগর শিল্পতালুকে দুগ্ধ শিল্পে বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন। এই প্রকল্পে ২ হাজার মানুষ কাজ পাবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি বাংলায় আরও বিনিয়োগের কথা বলেছেন উইপ্রো কর্তা রিশাদ প্রেমজি-ও (Wipro CEO Rishad Premji)। উইপ্রো কর্তা জানান রাজারহাটের জমিতে উইপ্রো যে ক্যাম্পাস তৈরি করবে, তা হবে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস। এ ছাড়াও সঞ্জীব গোয়েন্কা (Sanjeev Goenka), আইটিসি চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরী (ITC chairman Sanjeev Puri), বেঙ্গল অম্বুজা গ্রুপের কর্ণধার হর্ষ নেওটিয়া-সহ (Ambuja Group leader Harsh Neotia) অন্য শিল্পপতিরা তাঁদের বক্তব্যে বাংলার শিল্প সম্ভাবনার কথা বলেন।
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ২০২৩-এ মোট বিনিয়োগ :
বুধবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ২০২৩ এর দ্বিতীয় দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবারের শিল্প সম্মেলনে মোট ৩৭৬২৮৮ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি এবারের বিজিবিএস -এ ১০৮৮টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জানান, এই শিল্প সম্মেলনে ৪০টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে। যার মধ্যে শুধুমাত্র ব্রিটেন থেকেই ৪০ জন ব্যবসায়ী এসেছে। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তৃতাতে বলেন, যখন দেশে ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান কমেছে। তখন বঙ্গে ৪২ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়েছে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে বক্তব্যর জন্য আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা :
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বড় চমক দিলেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির (Oxford University) প্রতিনিধি। লন্ডনে বাণিজ্য বৈঠকে বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আসার জন্য তাঁদের আমন্ত্রণও জানিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সেই মতো আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর জোনাথন (Professor Jonathan) এসেছিলেন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে। মঙ্গলবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রফেসর বক্তৃতা দেওয়ার সময় বাংলার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এখানেই শেষ নয়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি আমন্ত্রণও জানান অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীকে অক্সফোর্ডে বক্তব্য রাখতেও আমন্ত্রণ জানিয়ে যান অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জীবনের প্রতিফলন এবং বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এবং নীতি দ্বারা অনুপ্রাণিত করেছে।
২০২৩ এ রাজ্যে সপ্তমবারের জন্য আয়োজিত হয় বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। দুবাইয়ের বিখ্যাত লুলু গ্রুপ-সহ ২০টি দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন এই সমাবেশে। মঙ্গলবার এই সম্মেলন শুরু হয় দুপুর ২টো থেকে। দুপুর ২ টো থেকে ৩টে পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন হয়। এরপর বিকেল ৩ টে থেকে ৫ টা পর্যন্ত কনভেনশন সেন্টারে মূল কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। এরপর সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হয় আন্তর্জাতিক সেশন। দ্বিতীয় দিনে, অর্থাৎ আজ ২২সে নভেম্বর সকাল ১০ টা থেকে ১২টা ৩০ পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর দুপুর ৩ টে থেকে শুরু হয় সমাপ্তি অনুষ্ঠান। এবারের বাণিজ্য সম্মেলন থেকে ৪ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব আশা করছেন রাজ্যের আধিকারিকরা। রাজ্যে গতবারের বাণিজ্য সম্মেলন থেকে ৩.৪২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছিল। এবার আশানুযায়ী প্রস্তাব পেয়েছে রাজ্য। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩৭৬২৮৮ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
- Related topics -
- ব্যবসায়ী
- রাজ্য সরকার
- পশ্চিমবঙ্গ সরকার
- মমতা ব্যানার্জী
- শিল্প সম্মেলন
- সৌরভ গাঙ্গুলি
- মুকেশ আম্বানি
- আদানি
- কালীঘাট
- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজনৈতিক
- রাজনৈতিক দল
- রাজনৈতিক ঝামেলা
- তৃণমূল কংগ্রেস
- অর্থনৈতিক
- বাণিজ্য
- রাজ্য