লাইফস্টাইল

Indoor Water Plants | কম খাটনিতে চোখের পলকে বাড়বে গাছ! ঘর সাজাতে বেছে নিন ইনডোর ওয়াটার প্ল্যান্ট!

Indoor Water Plants | কম খাটনিতে চোখের পলকে বাড়বে গাছ! ঘর সাজাতে বেছে নিন ইনডোর ওয়াটার প্ল্যান্ট!
Key Highlights

টবে ঝুলিয়ে রেখেই হোক কিংবা ফুলদানিতে, কম জায়গা ও কম যত্নেই বাড়ি সাজাতে পারবেন ইনডোর ওয়াটার প্ল্যান্ট দিয়ে। দেখুন আপনার জন্য কোন ইনডোর ওয়াটার প্ল্যান্ট ভালো হবে।

কেবল মাটির গাছ নয়, ওয়াটার প্ল্যান্ট (Indoor Water Plants) দিয়েও সুন্দর ভাবে সাজানো যায় ঘর বা বাগান। বরং অনেক ক্ষেত্রেই যারা গাছ পছন্দ করেন কিন্তু রাখার জায়গা নেই, তারা এই ধরণের গাছই বেছে নেন। কারণ টবে করে ঝুলিয়ে দিলে কিংবা একটি ছোটও পাত্রে জল দিয়ে রেখে দিলেই নিজের থেকে বাড়তে থাকে এই ধরণের গাছ। মাঝের মধ্যে জল বদলানো এবং পাতা, ডাল ছেটে ফেলা ছাড়া বিশেষভাবে কোনও যত্নও নিতে হয়না এই গাছের।

ইনডোর ওয়াটার প্ল্যান্ট | Indoor Water Plants : 

অনেকেই মনে করেন ওয়াটার প্ল্যান্ট মানেই সেই এক ঘেয়ে মানি প্ল্যান্ট (Money Plant)। সুন্দর কোনও গাছও যে এই জাতের হতে পারে সেই সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা কম। এমন একাধিক গাছ রয়েছে যা ওয়াটার প্ল্যান্ট হলেও এরই সৌন্দর্য অপরূপ। যা অনায়াসেই সাজিয়ে ঘরে রাখা যায়। এমন কিছু সুন্দর এবং সেরা ইনডোর ওয়াটার প্ল্যান্টের হদিশ রইলো আপনার জন্য।

১. আফ্রিকান ভায়োলেট । African Violet :

 আফ্রিকান ভায়োলেটের বৈজ্ঞানিক নাম সেন্টপাউলিয়া আয়নান্থা। এই গাছ পাতা কেটে উৎপন্ন করা যায়। এর জন্য প্রথমে একটি সুস্থ আফ্রিকান ভায়োলেট পাতা বেছে নিন। প্রায় দুই ইঞ্চি কান্ড দিয়ে পাতাটি কেটে নিন এবং পাতাটিকে একটি সরু-গলাযুক্ত বোতলে রাখুন। এর শিকড় বৃদ্ধি হতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। কিছু কিছু মাল্টিকালার ভায়োলেটগুলি ফুলও দেয়।

২. বেবিস টিয়ার্স । Baby's Tears :

বেবিস টিয়ার্স প্ল্যান্টগুলি এক প্রকার লতানো গাছ। এটি অসংখ্য ছোট ছোট পাতা তৈরি করে যা ঘন অথচ সূক্ষ্ম ট্রেইলিং ম্যাট তৈরি করে। শিকড় সহ বা শিকড় ছাড়াই এই গাছের কয়েকটি কান্ড নিয়ে নতুন উদ্ভিদ তৈরী করতে পারবেন। এই গাছ অতি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বেবিস টিয়ার্স গাছের পাতা অধিকাংশ সময়ে জলের মধ্যে ডুবে থাকে। ফলে এর পাতা খুব তাড়াতাড়ি পঁচতেও শুরু করে। এর পঁচা পাতা গুলো যাতে সময় মতো কেটে দেবেন এবং প্রতি সপ্তাহে এর জল পরিবর্তন করার কথা মাথায় রাখবেন।

৩. বেগোনিয়া । Begonia :

এই গাছ জলে জন্মানোর জন্য বেগোনিয়াসের ডালপালাগুলি পুরু, রসালো ও কান্ডগুলি খুব ক্ষমাশীল হয়। একটি পাতা দাঁড়ায় নতুনভাবে এই গাছ উৎপন্ন হয়। এই গাছের শিকড় তৈরি হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এই গাছের জল ৭ দিন ব্যবধানে পাল্টাতে ভুলবেন না, নাহলে এর জলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে এবং গাছের পাতা নষ্ট হতে পারে।

৪. কোলিয়াস । Coleus :

প্রতি বসন্তে কোলিয়াসের বহু নতুন নতুন জাত বাজারে আসে। এই গ্রীষ্মমন্ডলীয় উদ্ভিদের রঙিন পাতার জন্য এই গাছ দিয়ে সুন্দরভাবে বাগান বা ঘর সাজানো যায়।   এই গাছের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। একটি ডাল থেকে নতুন গাছ উৎপন্ন হওয়া খুব সহজ। এর জন্য একটি ছয় ইঞ্চি ডাল কেটে নিন, এরপর সেই ডালটি জলের মধ্যে চার ইঞ্চি ভেতরে রাখুন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শিকড় তৈরি হতে শুরু করবে। কিছু সময় পর পর এই গাছের জল বদলাতে ভুলবেন না।

৫. লাকি ব্যাম্বু । Lucky Bamboo :

অতি জনপ্রিয় গাছ হলো  লাকি ব্যাম্বু। বাড়ি হজ কিংবা অফিস, এই ধরণের বাঁশ গাছ অনেকেরই খুব পছন্দের। মাটি ছাড়া কেবল জলের মধ্যেই বেড়ে ওঠে এই গাছ।   খুব যত্ন প্রয়োন লাকি ব্যাম্বুর। অনেকে মনে করে থাকেন, এই গাছ ভালো ভাগ্য ডেকে আনেন। এই গাছটিকে যখন কোনও কাঁচের বয়ামে রাখবেন তখন খেয়াল রাখবেন যাতে এর শিকড়গুলি ছোট ছোট অথচ ভারী পাথর দিয়ে চাপা দেওয়া থাকে। কারণ এই গাছের ওপরটা ভারী হওয়ার জন্য শিকড়টি কিছু দিয়ে চাপা দেওয়া না থাকলে উল্টে যেতে পারে। এই গাছের জল নিয়মিত বদলানো দরকার।

৬. স্পাইডারওয়ার্ট । Spiderwort :

স্পাইডারওয়ার্ট উদ্ভিদ হলো খুবা কম যত্নে রাখা তবে অত্যন্ত সুন্দর এক ইনডোর প্ল্যান্ট। জেব্রা-স্ট্রিপড জাত এবং বেগুনি-পাতাযুক্ত জাত উভয়ই ইন্দ্র প্ল্যান্ট হিসেবে খুব সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এই গাছের যেমন কম যত্নের প্রয়োজন তেমনই এই গাছ বেড়ে ওঠে হালকা-মাঝারি আলোতে।

 ওয়াটার প্ল্যান্টগুলিকে আপনি কাঁচের বয়ামে বা ফুলদানিতে রেখে সুন্দরভাবে ঘরে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এই গাছগুলির বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়না। কেবল সাপ্তাহিক নিয়মে জল বদলানো প্রয়োজন। পাশাপাশি, এর অতিরিক্ত পাতা ও ডাল ছেটে ফেলাও দরকার।