Bangladesh MP Murder | কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে 'খুন' বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম? শোরগোল শুরু দুই দেশের কূটনৈতিক মহলে!

Wednesday, May 22 2024, 11:41 am
highlightKey Highlights

গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, খুনই হয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনওয়ারুল। যদিও এখনও পর্যন্ত আজিমের দেহ উদ্ধার করা হয়নি। ইতিমধ্যে খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সন্দেহে বাংলাদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে।


কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে 'খুন' বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, খুনই হয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনওয়ারুল।যদিও এখনও পর্যন্ত আজিমের দেহ উদ্ধার করা হয়নি। ইতিমধ্যে খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সন্দেহে বাংলাদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে। এমনকি নিউটাউনের অভিজাত আবাসনে মিলেছে রক্তের দাগ।

 গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, খুনই হয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনওয়ারুল। যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি এ রাজ্যের পুলিশ। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক মহলে। ঘটনার তদন্তে বিধাননগর এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেট নিউ টাউনের অ্যাকোয়াটিকার পাশে একটি আবাসনে গিয়েছে। যে ফ্ল্যাটে আনওয়ারুল ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে, সেই ফ্ল্যাটে রক্তের দাগ মিলেছে। তাঁর গাড়িটিও উদ্ধার হয়েছে। ওই আবাসনে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করার বিশেষজ্ঞ এবং রক্তের দাগ সংগ্রহের বিশেষজ্ঞেরা হাজির হয়েছেন। অস্থায়ী ব্যারিকেড করে ঘিরে রাখা হয়েছে আবাসনের ওই নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটটি। আবাসনে ঢোকা-বেরোনোর ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করা হয়েছে। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

সূত্রের খবর, ১২ মে কলকাতায় আসেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। কিন্তু ১৮ মে থেকে তিনি নিরুদ্দেশ। গোপাল বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, আনোয়ারুল আজিমের সঙ্গে তাঁর ২০-২৫ বছর ধরে রয়েছে পারিবারিক সম্পর্ক। ১২ মে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে আসেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। পরের দিন দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে ডাক্তার দেখানোর জন্য তিনি বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসবেন বলেও জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের এই সাংসদ। নিজেই গাড়ি ডেকে বিধানপার্ক- ক্যালকাটা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে গাড়িতে চেপে চলে যান। তারপর তিনি সন্ধ্যায় না ফিরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে জানান দিল্লি চলে গিয়েছেন বিশেষ কাজে। এমনকি পৌঁছে তিনি নিজেই ফোন করবেন বলেও আসে বার্তা।  তিনি আরও জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে, তাই ফোন করার দরকার নেই।কিন্তু, ১৬ মে থেকে ফোনে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। 

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম কলকাতায় এসে উঠেছিলেন দীর্ঘদিনের পরিচিত বরানগরে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। সাংসদের খোঁজ না পাওয়ায় তিনিই অভিযোগ দায়ের করেন। ১৭ মে তাঁর মেয়ে জানান, গোপালবাবুকে জানান তাঁর বাবার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এরপর তাঁর সমস্ত পরিচিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও হদিশ মেলেনি, ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরপর ১৮ মে বরানগর থানায় মিসিং কমপ্লেন দায়ের করেন গোপালবাবু। এরপরেই তদন্ত শুরু হয়। পুলিশের তরফেও তাঁকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়। এর পরই সাংসদের খোঁজে তৎপর হয়ে ওঠে ভারত ও বাংলাদেশ। তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংসদের 'খুন' হয়েছে বলে ঘোষণা করেন।বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "বাংলাদেশের পুলিশ ভারতের পুলিশ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। আজ সকালে (বুধবার) আমরা নিশ্চিত হলাম, ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে যে, তিনি খুন হয়েছেন। ভারতীয় পুলিশ যে তথ্য আমাদের দিয়েছিল, বাংলাদেশের পুলিশ সেই তথ্য হাতে নিয়ে তিন জনকে ধরেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, তদন্ত চলছে।"

আনোয়ারুল বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামিলিগের সদস্য ছিলেন। তিনবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কালীগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন আনোয়ারুল। তিনি উপজেলা আওয়ামি লিগের সভাপতি পদে ছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ তিনি। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসাবে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে ঝিনাইদহ- ৪ আসন থেকে তিনি জয়লাভ করেছিলেন। পেশায় ব্যবসায়ী আনওয়ারুল আওয়ামী লীগের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File