Mother’s Day | যত্ন নিন মায়ের স্বাস্থ্যের! জানুন মায়েদের জন্য রয়েছে কী কী স্বাস্থ্যবিমা এবং ৫০ পেরোলেই করাবেন কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা!
মায়েরা পরিবারের অন্যদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখলেই নিজের স্বাস্থ্যের দিকে তেমন নজর দেন না। বিশ্ব মাতৃ দিবসে জানুন মায়ের শরীর স্বাস্থের যত্ন রাখতে কোন কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন এবং মায়েদের জন্য কী কী স্বাস্থ্য বীমা রয়েছে।
প্রতি বছর ১২ ই মে বিশ্ব মাতৃ দিবস (World Mother's Day) পালন করা হয়। এই বিশেষ দিনে মায়ের জন্য অনেকেই অনেক উপহার দিয়ে থাকেন, দিনটি বিশেষ করার জন্য ঘোরা খাওয়া দাওয়ারও ব্যবস্থা করেন। তবে বছরের একটা দিনই কেন, মায়ের যত্ন নেওয়া হোক রোজ! সন্তানের লালন পালন থেকে পরিবারের যাবতীয় কাজ সব একার হাতে করে থাকেন মায়েরা। পরিবারের অন্যদের স্বাস্থের যত্ন, খেয়াল রাখলেও নিজের স্বাস্থ্যের দিকে সেভাবে খেয়াল রাখেন না মায়েরা। এক্ষেত্রে মায়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য কী কী করতে পারেন এবং কী কী স্বাস্থ্য বিমা রয়েছে জেনে নিন।
৫০ পেরোলেই যে সমস্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা মহিলাদের করা উচিত | Health Check-Ups that Women Should Do After Turning 50 :
মায়েরা সবার খেয়াল রাখেন কিন্তু নিজের অসুবিধের কথা কখনও মুখ ফুটে বলেন না। চিকিৎসকরা বলছেন, ৫০ বছর পেরোলেই কোনো রোগ থাকুক কি না থাকুক মহিলাদের কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত বছরে অন্তত একবার। যেমন - সুগার, লিপিড প্রোফাইল, ভিটামিন চেক, ইউএসজি, ইসিজি, ইকো কার্ডিয়োগ্রাফি, চেস্ট এক্সরে, LFT, হিমোগ্রাম টেস্ট, থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট, রুটিন ইউরিন চেকআপ ইত্যাদি।
এছাড়াও মহিলাদের ৫০ বছর বয়সে যেহেতু মেনোপজ হয়ে যায় তাই ব্রেস্টের সোনেগ্রাফি, প্যাপ স্মেয়ার, পেলভিক আলট্রাসাউন্ড এই সব পরীক্ষা করিয়ে রাখাও জরুরি। ডিম্বাশয় এবং জরায়ুর অবস্থান পরীক্ষা করাও প্রয়োজন। তাহলে কোনও সমস্যা আছে কিনা বা কোনও সমস্যার সম্ভাবনা থাকলে তার আগাম আঁচ পাওয়া যায়। যাঁরা স্বাস্থ্য বিষয়ে আর একটু বেশি সচেতন তাঁদের বোন ডেনসিটিওমেট্রি (Bone densitometry test-) পরীক্ষা করারও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক। এই পরীক্ষার সাহায্যে বোঝা যাবে বোন অস্টিওপোরেসিস হবার কোনও সম্ভাবনা আছে কি না। এছাড়াও শরীরে ক্যালশিয়ামের অভাব আছে কিনা তাও বোঝা যায় এই পরীক্ষার সাহায্যেই।
মায়েদের জন্য স্বাস্থ্য বিমা | Health Insurance for Mother's :
এদেশের বিমা কোম্পানিগুলি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য রেখেছে মাতৃত্বকালীন কভারেজের সুবিধা। যা পেতে গেলে বিয়ের সময়ই স্বাস্থ্য বিমার পলিসি করতে হবে পুনর্নবীকরণ। পলিসি রিনিউ করা না থাকলে বিয়ের পর সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় মিলবে না মাতৃত্বকালীন কভারেজ। উল্লেখ্য, আগে মাতৃত্বকালীন বিমার সময়কাল ধার্য করা হয়েছিল ২ থেকে ৩ বছর। বর্তমানে যা কমিয়ে ৯ মাস করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পলিসিগুলিতে ২ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত কভারেজ পাওয়ার সুবিধা দিয়ে থাকে বিমা কোম্পানি। এতে গর্ভাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে চিকিৎসার খরচ এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সের চার্জ পর্যন্ত দেওয়া হয় গ্রাহককে। সন্তান জন্মের পর টিকাকরণ ও ৩০ থেকে ৯০ দিনের জন্য চাইন্ড কেয়ারের যাবতীয় খরচ বহন করে বিমা কোম্পানি।
বর্তমানে দেশে দু’ধরনের মাতৃত্বকালীন বিমা প্রকল্প চালু রয়েছে। একটি হল স্বতস্ত্র পলিসি বা স্ট্য়ান্ডালোন মেটারনিটি ইন্স্যুরেন্স। অপরটির নাম প্রেগনেন্সি কভার অ্য়ালোন উইথ হেলথ ইন্স্যুরেন্স।স্ট্য়ান্ডালোন মেটারনিটি স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে মূলত প্রসবের সময় কভারেজ পান গ্রাহক। তবে গর্ভাবতী হওয়ার সময় থেকে স্বাস্থ্য় বিমার সুবিধা পেতে চাইলে বেছে নিতে হবে প্রেগনেন্সি কভার হেলথ ইন্স্যুরেন্স। এগুলি বাদ দিলে অল্প বয়সী মায়েদের জন্য চালু রয়েছে বেশ কয়েকটি চিকিৎসা বিমা। তাতে সন্তানের স্বাস্থ্যের কভারেজ পেয়ে থাকেন মা। পাশাপাশি, আজীবন জরুরি চিকিৎসার খরচ দেবে এমন বিমাও রয়েছে।
মায়েদের - মহিলাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য বিমা সম্পর্কে সচেতন হওয়া ছাড়াও রোজকার জীবন পরিচালনার বিষয়ে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া উচিত। যেমন সারাদিনে যখন হোক নিজের জন্য অল্প হলেও সময় বের করা উচিত। বই পড়া, হাঁটা কিংবা শারিরীক চর্চার মাধ্যমে নিজের শরীর ও মনকে ভালো রাখা। রোজ সুষম খাদ্য খাওয়া। প্রতিদিন অন্তত ৩০মিনিট শরীরচর্চা করা।
- Related topics -
- লাইফস্টাইল
- স্বাস্থ্য
- রক্ত পরীক্ষা
- স্বাস্থ্য বীমা