Ulta Rath Yatra | মাসির বাড়ি থেকে ফিরেও নিজগৃহে প্রবেশ করতে পারেন না জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা!

Wednesday, June 28 2023, 7:23 am
highlightKey Highlights

উল্টো রথযাত্রার পিছনেও রয়েছে একাধিক কাহিনী। মাসির বাড়ি থেকে ফেরার পর তিন দিন শ্রী মন্দিরের বাইরে থাকতে হয় জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রাকে। এই তিন দিনের মধ্যে পালন হয় রসগোল্লা উৎসব।


মাসির বাড়িতে আট দিন থেকে সেখানে আদর-আহ্লাদের মায়া কাটিয়ে এবার বলরাম সুভদ্রাকে নিয়ে নিজগৃহে ফিরতে চলেছেন জগন্নাথ দেব। আজ উল্টোরথ (Ulta Rath Yatra 2023)। ছোটবেলায় উল্টো রথ মানে অনেকেই ভাবতেন, রথ হয়তো উল্টো দিকে টানা হয়। তা কিন্তু নয়। বরং এই উল্টো রথের নেপথ্যে রয়েছে অনেক অজানা কাহিনী। 

 উল্টো রথযাত্রার দিন  মাসির বাড়ি থেকে  নিজ গৃহে ফেরেন জগন্নাথ-বলরাম- সুভদ্রা
 উল্টো রথযাত্রার দিন মাসির বাড়ি থেকে নিজ গৃহে ফেরেন জগন্নাথ-বলরাম- সুভদ্রা

পুরীর মন্দির থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরেই রয়েছে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি অর্থাৎ গণ্ডিচা মন্দির (Gundicha Mandir)। রথ যাত্রার দিন পুরীর মন্দির (Puri Mandir) থেকে বেরিয়ে বলরাম, সুভদ্রা ও জগন্নাথ দেব এখানেই থাকেন ৮ দিন। এরপর ৯দিনের মাথায় আবার ফিরে আসেন পুরীর শ্রী মন্দিরে। মূল মন্দিরে এনাদের প্রত্যাবর্তন হলো উল্টো রথযাত্রা। উল্টো পথে যাত্রা হয় বলে এই যাত্রাকে বলা হয় উল্টো রথ। তবে কথিত আছে, মাসির বাড়ি থেকে ফেরার পরেও জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম প্রবেশ করেন না মূল মন্দিরে। তিন ভাই বোনকে তিন দিন ধরে শ্রী মন্দিরের সামনে অপেক্ষা করতে হয়। কারণ অভিমান করে থাকেন স্বয়ং মা লক্ষ্মী।

 কথিত আছে, মাসির বাড়ি থেকে ফেরার পরেও জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম প্রবেশ করতে পারেন না মূল মন্দিরে
 কথিত আছে, মাসির বাড়ি থেকে ফেরার পরেও জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম প্রবেশ করতে পারেন না মূল মন্দিরে

বলা হয়, মাসির বাড়ি থেকে নিজ গৃহে অর্থাৎ পুরীর মূল মন্দিরে ঢুকতে গেলেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মুখের সামনে দরজা বন্ধ করে দেন লক্ষ্মী। তার অভিমান, তিন ভাই বোন মাসির বাড়ি থেকে আনন্দ করে এসেছেন। অথচ তাকে অর্থাৎ মা লক্ষ্মীকে কেউ নিয়ে যাননি। শ্রী মন্দিরে একা ছিলেন লক্ষ্মী। সেই থেকেই তিন দিন মন্দিরের বাইরে থাকে রথ সহ বিগ্রহ।

দেবী লক্ষ্মীর অভিমানে তিন দিন মন্দিরের বাইরে থাকে রথ সহ বিগ্রহ
দেবী লক্ষ্মীর অভিমানে তিন দিন মন্দিরের বাইরে থাকে রথ সহ বিগ্রহ

এই তিনদিন পালিত হয় বেশ কিছু অনুষ্ঠান। রীতিমতো ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করে তবেই একাদশী তিথিতে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে মন্দিরের রত্নবেদিতে সাজানো হয় সোনার গয়নার সাজে। পুনর্যাত্রা পর একাদশী তিথিতে পালন করা হয় সোনাবেশ অধরপনা উৎসব। 

এই তিনদিন পালিত হয় বেশ কিছু অনুষ্ঠান
এই তিনদিন পালিত হয় বেশ কিছু অনুষ্ঠান

এই রীতি অনুযায়ী, জগন্নাথ দেবকে শরবত খাওয়ানোর পালা চলে। এরপর স্ত্রী লক্ষ্মীর মানভঞ্জনের জন্য বুদ্ধি করে এক হাঁড়ি রসগোল্লার আয়োজন করেছিলেন জগন্নাথ দেব। অবশেষে ওই রসগোল্লা খেয়েই অভিমান ভাঙে লক্ষীর। এরপরে স্বামীকে ঘরে ঢোকার অনুমতি দেন তিনি। আষাঢ় মাসের শুক্লা ত্রয়োদশীতে নীলাদ্রি বিজয় উৎসবের অন্যতম রসগোল্লা উৎসবে (Rasgulla Utsav) ভোগ হিসেবে কয়েকশো হাঁড়ি রসগোল্লা নিবেদন করা হয় জগন্নাথ দেবকে।

 আষাঢ় মাসের শুক্লা ত্রয়োদশীতে নীলাদ্রি বিজয় উৎসবের অন্যতম রসগোল্লা উৎসব
 আষাঢ় মাসের শুক্লা ত্রয়োদশীতে নীলাদ্রি বিজয় উৎসবের অন্যতম রসগোল্লা উৎসব

রথ যাত্রার মত উল্টো রথেও লক্ষাধিক ভক্তরা ভিড় করে থাকেন। এ বছরও শ্রীধামে রথযাত্রা ঘিরে ভক্তসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রসঙ্গত, এবছর রথযাত্রা পালন হয়েছে ২০ই জুন মঙ্গলবার এবং উল্টো রথযাত্রা আজ অর্থাৎ ২৮ সে জুন বুধবার পালিত হচ্ছে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে রথযাত্রা পালিত হবে ৭ই জুলাই।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File