21st July Live | '২৭ শে জুলাই থেকে ভাষা আন্দোলন শুরু হবে'! প্রতি শনি ও রবিবার মিটিং-মিছিল করার নির্দেশ দলকে!

আজ একুশে জুলাই, ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভেন্ট, শহিদ স্মরণ। সকাল থেকেই শহর কলকাতা জুড়ে বাড়ছে ভিড়। নানান জেলা থেকে ধর্মতলামুখী তৃণমূল সমর্থকরা। ‘দিদি’ তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতে রাত থেকে একটু একটু করে জমায়েত করতে শুরু করেছেন দলের কর্মী, সমর্থকরা। এদিকে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের কোন সুর বেঁধে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা শুনতে আগ্রহী সকলে।
দুপুর ২.০৮, ২১শে জুলাই: '২৭ শে জুলাই থেকে ভাষা আন্দোলন শুরু হবে'! প্রতি শনি ও রবিবার মিটিং-মিছিল করার নির্দেশ দলকে!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ২৭ শে জুলাই থেকে ভাষা আন্দোলন শুরু হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: কথায়-কথায় নবান্ন অভিযান, আমার বাড়ির সামনে যাওয়া? তাহলে কথায় কথায় আপনাদের বাড়ির সামনে যাবে না কেন? আগের বার বলেছিলাম বদলা নয় বদল চাই। এবারের স্লোগান, জব্দ হবে স্তব্ধ হবে। আমাদের দর্শন তোমাদের বিসর্জন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এ বার কেন বৃষ্টি হলো না জানেন? কারণ, বিধাতা জানিয়ে দিচ্ছেন, চোখ দিয়ে জল নয়, চোখ দিয়ে আগুন বের হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: খেলা আবার হবে। বাংলা ভাষা সম্মান রক্ষার খেলা, লক্ষ্মী বাঁচানোর খেলা, অন্য ভাষাকে সম্মান দেওয়ার খেলা। এই খেলা সকলকে নিয়ে খেলতে হবে। এবার একেবারে ছক্কা মেরে বোল্ড আউট করতে হবে। বিজেপিকে বোল্ড আউট, সিপিএমকে মহাশূন্যে পাঠাতে হবে। ২০২৬ পর আমিও দেখব তোমরা কোথায় থাক। বাংলাকে বদল করতে গিয়ে, ভারত সরকারের বদল হবে না তো? আগামী দিন দিল্লিকে পরিবর্তন করতে হবে। শহিদ রক্তে তর্পণ করে বলছি তোমাদের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই থামবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আগামী ২৭ জুলাই নানুর দিবস থেকে প্রতি শনি ও রবিবার বাংলা ভাষার উপর আক্রমণের প্রতিবাদে মিটিং-মিছিল হবে প্রতিটি ব্লকে।প্রতিবাদে নামুন। এ বার শুরু হল ভাষারক্ষার শপথ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: অসমে মা কালীর মন্দির ভেঙে দিয়েছে। বাংলায় হলে কী করতেন? ডান্স বাংলা ডান্স করতেন। বলতেন মমতাজি দুর্গাপুজো করতে দেয় না।
ভোটের সময় মা কালী-দুর্গার কথা মনে পড়ে? জগন্নাথ ধামের মতোই আগামী দিনে দুর্গাঙ্গন বাংলায় হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: পরিযায়ী শ্রমিকদের বলব, বাংলায় ফিরে আসুন। এখানে অনেক কিছু হচ্ছে। ফ্লাইওভার উদ্বোধন করলেন সেখানে বলেছেন যে আমরা দু কোটি টাকা রাজ্য দিয়েছে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বামেরা মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল হাজরা মোড়ে। শুধু এক্সারসাইজ ও হাঁটি বলে আমি এখনও শক্ত। পাঁচটাকে আমি একসঙ্গে নিতে পারি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এ বার রেকর্ড ভিড় হয়েছে। একটা ব্রিগেড নয়, দশটা ব্রিগেড হতে পারত।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: একসময় বলত, বাংলায় নাকি আমি দুর্গাপুজো, সরস্বতী পুজো করতে দিই না। এখন আপনাদের ‘জয় মা দুর্গা’ বলতে হচ্ছে। আমি জগন্নাথ ধাম করেছি, বাংলায় দুর্গা অঙ্গন করে দেব।
দুপুর ২.০০, ২১শে জুলাই: 'আমাদের এখানে কেন সেন্ট্রাল ফোর্স? বাংলায় স্টেট ফোর্স কাজ করবে!' : মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: অসমের মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যকে সামলাতে পারছেন না বাংলায় নাক গলাচ্ছেন? সুস্মিতাদেব দের বলব ওইখানে গিয়ে আন্দোলন করতে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: হিন্দি ভালবাসি বারবার বলছি। অন্য ভাষাকে অসম্মান করি না। দরকারে আবার ভাষা আন্দোলন হবে। আপনাদের কন্ট্রল করছে আমেরিকা প্রেসিডেন্স। কেন পাক অধিকৃত পাক অধিকৃত দখল করতে পারলেন না? আপনারা না হিন্দু না মুসলমান, না হিন্দু, না কিছু।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: মনে রাখবেন ওরা আমেরিকা থেকে পাঠিয়েছিল দড়ি বেঁধে বেধে। বাংলার তো কাউকে পাঠিয়ে দেননি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: গুজরাটে বসে বসে নাম কাটছে। ভিনরাজ্যের লোকের নাম ঢোকাচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূল জন্ম নেওয়ার সময় বলেছিলেন গরুতে খেয়ে নেবে। তৃণমূলকে শেষ করা অত সহজ নয়। যাঁরা ভাবছেন মমতা-অভিষেক-তৃণমূলকে গালিগালাজ করে পার পেয়ে যাবেন। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে টাকা পাবেন মহাশূন্যে যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আগে পহেলগাম সামলাও, কাশ্মীরকে সামলাও। আমাদের এখানে কেন সেন্ট্রাল ফোর্স। বাংলায় স্টেট ফোর্স কাজ করবে। চ্যালেঞ্জ করছি, কত লোককে জেলে জায়গা দিতে পারবেন? আমার চ্যালেঞ্জ রইল বিজেপি পার্টির কাছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: দলের সম্পদ আমাদের কর্মীরা। আমার সম্পদ মা মাটি মানুষ। যত কুৎসা করবেন, তৃণমূলের শক্তি বাড়বে। তৃণমূলকে শেষ করা অতো সহজ নয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর কেন POK দখল করতে পারলেন না?
বেলা ১.৫২, ২১শে জুলাই: ‘বাংলা ভাষার উপরে সন্ত্রাস চালাচ্ছ কেন?’, প্রশ্ন করে দিল্লি যাওয়ার হুঁশিয়ারি মমতার!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : বাংলায় লোককে গ্রেপ্তার করা হলে, এ লড়াই দিল্লি পর্যন্ত যাবে। আমি ছেড়ে দেওয়ার লোক নেই। আমি ধরলে ছাড়ি না।
বেলা ১.৪৪, ২১শে জুলাই: গোটা বাংলা জুড়ে ঘেরাও কর্মসূচির হুঁশিয়ারি মমতার!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: গোটা বাংলা জুড়ে ঘেরাও কর্মসূচি হবে! বিহারে ৪০ লক্ষ মানুষকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাতেও করতে চাইছে। এটা করলে আমরা ঘেরাও কর্মসূচি করব। আমরা এটা কিছুতেই হতে দেব না। গোটা বাংলা জুড়ে ঘেরাও কর্মসূচি হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্য সরকারের ৯৪টা সামাজিক স্কিম আছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বিজেপির চক্রান্ত, নির্বাচন কমিশনের চক্রান্ত, গদি মিডিয়াও আছে। আগের বার বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল। কেন্দ্র সরকার নোটিফিকেশন দিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বলছে একমাসের জন্য যাকে সন্দেহ হবে জেলে আটকে রাখবে ডিটেনশন ক্যাম্প করে। যার জন্য একহাজারের বেশি লোককে বাংলাদেশে, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের জেলে ঢোকানো হয়েছে। আমার কাছে লিস্ট আছে, আমি জানি না বাংলাদেশে কত লোককে ফেরত পাঠিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস চলছে। কে মাছ-মাংস-ডিম খাবে সব ওরা ঠিক করে দিচ্ছে।
বেলা ১.৪২, ২১শে জুলাই: ওড়িশায় ছাত্রী নির্যাতন ঘটনায় সরব মমতা!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: দুই ছাত্রীর উপর অত্যাচার হয়েছে। আমরা প্রশ্রয় দিইনি। একটা মামলা সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে। কিন্তু, ওডিশায় নিজের সম্মান বাঁচাতে একটি মেয়ে যখন পালাচ্ছিল, তখন আগুন লাগিয়ে দেওয়া হলো? এর উত্তর দেবেন? উত্তর দিতে হবে।
বেলা ১.৪০, ২১শে জুলাই: রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরব মমতা!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এখানে নাকি ১৭ লক্ষ রোহিঙ্গা আছে। সারা পৃথিবীতে রোহিঙ্গা কত? রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছিল, মোট ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা আছে। বাকি কোথা থেকে এল? বাংলায় কথা বললেই তাঁরা রোহিঙ্গা? প্রশ্ন মমতার।
বেলা ১.৩০, ২১শে জুলাই: মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘জগাই-মাধাই-গদাই একজোট হয়েছে’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এই সংগ্রাম সে দিন শেষ হবে, যে দিন দিল্লিতে রাজনৈতিক পরিবর্তন করে বিজেপিকে পরাজিত করতে পারব।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বামপন্থীদের কথা যত না বলে ততই ভাল। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে টাকা খরচা করে বসে আছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: গত ৩৩ বছর ধরে এই দিনটি আমরা শহিদ তর্পণে গণতন্ত্র দিবস পালন করি। সেদিন এই রাস্তায় রক্ত ঝরে। তেরোটি অমূল্য প্রাণ রক্ত দিয়ে গণতন্ত্রকে জেতায়। এই সংগ্রাম চলবে। এই সংগ্রাম তবেই শেষ হবে যখন কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে উৎখাত করব।

বেলা ১.১৩, ২১শে জুলাই: সভামঞ্চে বক্তব্য রাখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!
সভামঞ্চে বক্তব্য রাখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক: ২০২১-এ বলেছিলাম খেলা হবে। এ বার বলছি পদ্মফুল উপড়ে ফেলা হবে।
অভিষেক: বাংলায় জিততে পারেনি বলে এত গাত্রদাহ বিজেপির। বিজেপি ৫০ পেরোবে না। আমি রাজনৈতিক ভবিষ্যৎবাণী করি না। মানুষের উপর আস্থা রেখে ভবিষ্যতের কথা বলি।
অভিষেক: বাংলার ভোটার লিস্টে কারচুপি করতে দেব না। একশো দিনের টাকা আটকে রেখেছেন। আসাম ফরেস্ট ট্রাইবুনালকে দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে বাঙালিকে বলেছে বাংলাদেশি। আমরা বাংলাতেই কথা বলছি।
অভিষেক : আগে জয় শ্রীরাম বলতো? আজ বলছে জয় মা দূর্গা, জয় মা কালী। লিখে রাখুন ছাব্বিশের পর জয় বাংলা বলাবো। এখন যে জয় মা দূর্গা বলতে হচ্ছে? এটাই বাংলার মানুষের জয়। ইনকাম ট্যাক্স লাগিয়ে যে দুর্গাপুজো বন্ধ করতে চেয়েছিলেন? বুঝবেন মানুষ কী করবে।
অভিষেক: দরকার হলে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করব। বাংলার মানুষের অপমান সহ্য করব না। আমরা একশোবার বাংলায় কথা বলব। আমরা যত বাংলায় কথা বলব, এঁদের গায়ে জ্বালা। ২১ জুলাই বলে রাখছি, ২৬-এর পর ‘জয় বাংলা’ বলাব।
অভিষেক: এখনও লড়াই অনেক বাকি। তৃণমূলের মতো কর্মী বিজেপিতে নেই, একশো বছরেও তৈরি হবে না। বিজেপি ও তৃণমূল সম্মুখ সমরে লড়ছে। তফাৎ হল মিডিয়ার একাংশ, বিচার ব্য়বস্থার একাংশ, পেগাসাস কাজে লাগিয়েও বিজেপি জিততে পারেনি। কারণ আমাদের মতো কর্মী ওদের নেই।

বেলা ১.০৭, ২১শে জুলাই: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় শহিদ জওয়ান ঝন্টু ও নিহত বিতান অধিকারীর পরিবার সভামঞ্চে!
ধর্মতলায় সভামঞ্চে হাজির হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তেহট্টের শহিদ জওয়ান ঝণ্টু আলি শেখ এবং পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর পরিবার। তাঁদের সকলকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন মমতা। দুই পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা সাহায্য ঘোষণা করলেন তিনি। জানালেন, দলের সব কর্মী ১ টাকা করে দিয়েছেন তাঁদের সাহায্যার্থে।
বেলা ১.০১, ২১শে জুলাই: সভামঞ্চে হাজির হলেন মমতা, নেত্রীর বক্তব্যের অপেক্ষায় তৃণমূল কর্মীরা!
ধর্মতলায় সভামঞ্চে হাজির হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেলা ১২.৫৫, ২১শে জুলাই: ২৬-এর নির্বাচনে বিজেপিকে ২৬-এ নামিয়ে আনব: অরূপ
সভামঞ্চ থেকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘২০২৬-এ আমরা বিজেপিকে ২৬-এ নামিয়ে আনব। এটাই আমাদের শপথ। কারণ বাংলা বিরোধী, বাংলা ভাষা বিরোধী।’
বেলা ১২.৪৫, ২১শে জুলাই: বাঙালিদের হেনস্থা হলেই গর্জে উঠুন: ফিরহাদ
সভামঞ্চ থেকে মেয়র ফিরহাদ হেকিম বলেন, ‘এখানে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে ভোট ভাগ করা যাবে না। এটা রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের বাংলা। বাংলায় ভেদাভেদ করা যাবে না। আজকের লড়াই বাঙালি অবমাননার লড়াই। যেখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার, সেখানেই বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে।’
বেলা ১২.৪৩, ২১শে জুলাই: তৃণমূলের মঞ্চে উত্তরপ্রদেশের নেতা ললিতেশ
তৃণমূলের সভামঞ্চে হাজির উত্তরপ্রদেশের নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, ‘আমাকে লোকসভা ভোটে লড়ার সুযোগ দিয়েছে তৃণমূল। আমি মমতা-অভিষেকের হাত শক্ত করার জন্য লড়াই করেছি। এ বারে হয়নি। আমি উত্তরপ্রদেশ থেকে তৃণমূলের প্রথম সাংসদ হয়ে দেখাব।’
বেলা ১২.৪৩, ২১শে জুলাই: রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের নিশানায় বিজেপি!
রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ‘শুধু বাংলা নয়, অসমকে বাঁচাতে সেখানেও তৃণমূলকে প্রয়োজন। অসমে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। অসমেও পরিবর্তন প্রয়োজন।’
বেলা ১২.৩০, ২১শে জুলাই: সভামঞ্চে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!
সভামঞ্চে পৌঁছলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেককে দেখে তৃণমূল কর্মীদের উচ্ছ্বাস। সভাস্থলে পৌঁছেই শহিদ বেদীতে মাল্যদান করেন অভিষেক। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছবেন সভায়।
বেলা ১২.২০, ২১শে জুলাই: বেলা ১২টায় রেকর্ড ভিড় ধর্মতলায়!
তৃণমূলের শহিদ সমাবেশে যাওয়ার জন্য রওনা দিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই কালো মাথার ভিড় সভামঞ্চের সামনে। ধর্মতলা জুড়ে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের ভিড়। কিছুক্ষণের মধ্যে সভামঞ্চে হাজির হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বেলা ১১.৪৯, ২১শে জুলাই: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের আগে কলকাতায় যান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সন্তুষ্ট, কলকাতা পুলিশকে সার্টিফিকেট হাইকোর্টের!
এ দিন অফিস যাত্রী ও আইনজীবীদের যাতে কাজের জায়গায় পৌঁছতে দুর্ভোগ না হয়, সেই ব্যাপারে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে সতর্ক করে গাইড লাইন দিয়েছিল হাইকোর্ট। সোমবার সকালে এজলাসে বসেই রাস্তার হাল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। বিচারপতির বক্তব্য, ‘আমি তো বরাবর বলি কলকাতা পুলিশের উপর আমার ভরসা আছে।’
বেলা ১১.৩০, ২১শে জুলাই: ভাষা শহিদ উদ্যানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের!
ময়দানের কাছে ভাষা শহিদ উদ্যানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী।
বেলা ১১.০৫, ২১শে জুলাই: ভিড় এড়াতে হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত।
ভিড় এড়াতে হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত। এদিকে হাওড়া স্টেশনে দলীয় পতাকা হাতে কর্মী, সমর্থকদের বিশাল মিছিল। গন্তব্য ধর্মতলা, তৃণমূলের একুশ জুলাইয়ের মঞ্চ।
সকাল ১০.৪০, ২১শে জুলাই: শহিদ সমাবেশের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!
শহিদ সমাবেশের আগে ফেসবুকে নিজের বার্তা শেয়ার করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘শহিদ দিবসে আমরা স্মরণ করি: বুলেট শরীরকে হত্যা করতে পারে, কিন্তু বিশ্বাসকে নয়। স্বৈরাচার বাংলার চেতনাকে চূর্ণ করতে পারে না। ১৯৯৩ সালে ১৩ জন সাহসী মানুষ শহিদ হয়েছিলেন — ক্ষমতার জন্য নয়, গণতন্ত্রের নীতির জন্য। তাঁদের সাহস এমন একটি আন্দোলন তৈরি করেছিল, যা আমাদের রাষ্ট্র ও জাতির ভাগ্য গঠন করেছিল। আমাদের অঙ্গীকার — গণতন্ত্র এবং মাতৃভূমির প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করার জন্য। ঐক্যের সাথে ঘৃণার মুখোমুখি হওয়ার জন্য। যারা আমাদের সংবিধান ভেঙে ফেলার স্বপ্ন দেখে তাদের বিরুদ্ধে অটলভাবে দাঁড়ানোর জন্য।’
সকাল ১০.০০, ২১শে জুলাই: ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দিলেন হুগলির সেলেব সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়!
হাওড়া থেকে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা হুগলির সেলেব সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জনতার ভিড় দেখে আপ্লুত তিনি।
সকাল ৯.৫০, ২১শে জুলাই: ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে ভাষণ দেওয়ার আগে ফেসবুক হ্যান্ডলে বার্তা তৃণমূলের!
তৃণমূলের ফেসবুক হ্যান্ডলে সকালেই শহিদ স্মরণ করে বার্তা দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকে লেখা হয়েছে, ‘আজকের শহিদ দিবসে আমরা স্মরণ করি সেই ১৩টি নিরীহ প্রাণকে, যাঁদের পৈশাচিকভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ তাঁরা স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার চেয়েছিল। সেই গুলির লক্ষ্য ছিল এক প্রজন্মকে ভয় দেখানো, মুখ বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু তা জন্ম দিয়েছিল এক স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লবের। আজ, যখন বাংলা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, তখন আবারও বর্তমান স্বৈরাচারী জমিদাররা চেষ্টা করছে কণ্ঠরোধ করতে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে এবং সংবিধানকে এক প্রহসনে পরিণত করতে।’
সকাল ৮.৫০, ২১শে জুলাই: হাইর্কোটের শর্ত কি মেনে চলছে পুলিশ?
পুলিশকে দেওয়া কলকাতা হাই কোর্টের শর্ত অনুযায়ী, সকাল ৯টার পর ধর্মতলামুখী কোনও মিছিল ছাড়া হবে না। তার আগে পর্যন্ত সমস্ত জেলা থেকে আসা কর্মী, সমর্থকদের মিছিল পৌঁছে দিতে হবে সভাস্থলে। তবে সকাল থেকে ভিড়ের যা চিত্র, তাতে এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা পুলিশের পক্ষে কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
সকাল ৮.৪৫, ২১শে জুলাই: দেখে নিন আজ কোন কোন পথএড়িয়ে যাবেন?
ধর্মতলায় তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট ঘিরে কলকাতার পথে কড়া পুলিশি প্রহরা, নিয়ন্ত্রিত যানচলাচল। দেখে নিন আজ কোন কোন পথএড়িয়ে যাবেন –
* আমহার্স্ট স্ট্রিট
* বিধান সরণি
* কলেজ স্ট্রিট
* ব্রাবোর্ন রোড
* বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট
* স্ট্র্যান্ড রোড
* বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট
* নিউ সিআইটি রোড
* রবীন্দ্র সরণি
সকাল ৮.৩৪, ২১শে জুলাই: সল্টলেকের করুণাময়ী মেলার মাঠে থেকে ধর্মতলার দিকে রওনা উত্তরবঙ্গ থেকে আসা তৃণমূল কর্মীদের!
একুশের সমাবেশে যোগ দিতে সল্টলেকের করুণাময়ী মেলার মাঠে ছিলেন উত্তরবঙ্গ থেকে আসা তৃণমূল কর্মীরা। সকাল হতেই একে একে বাস রওনা দিচ্ছে তাঁদের হয়ে।
সকাল ৭.৪০, ২১শে জুলাই: চাকদহ থেকে জগন্নাথদেবকে কোলে নিয়ে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা!
কল্যাণী থেকে কলকাতায় তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। চাকদহ থেকে জগন্নাথদেবকে কোলে নিয়ে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা।
সকাল ৭.২০, ২১শে জুলাই: ভোরের আলো ফুটতেই ধর্মতলামুখী তৃণমূল সমর্থকরা!
ভোরের লোকাল ট্রেনে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের ভিড়। দ্রুত সকলে পৌঁছতে চান তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সভামঞ্চে।
- Related topics -
- শহর কলকাতা
- রাজনীতি
- রাজনৈতিক
- তৃণমূল কংগ্রেস
- টিএমসি
- ২১শে জুলাই
- মমতা ব্যানার্জী
- ধর্মতলা
- কলকাতা পুলিশ
- এক নজরে