2023 Durga Puja Carnival | কার্নিভাল নিয়ে শহর জুড়ে উন্মাদনা! ৫০ হাজার আসন বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী! বন্ধ একাধিক রাস্তা!
শুক্রবার রেড রোড কলকাতায় দুর্গাপুজো কার্নিভাল ২০২৩। সাধারণের জন্য কার্নিভালের আসন সংখ্যা ৫০ হাজার বৃদ্ধি করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। কার্নিভালের জন্য কলকাতা ট্রাফিকে কড়া নজর কলকাতা পুলিশের।
দুর্গোৎসব খাতায় কলমে শেষ হয়েছে মঙ্গলবারই। মা দূর্গা কৈলাশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো জীবনের ধাঁচে ফিরেছে বাঙালি। তবে এখনই পুজো পুজো রেশ কাটাতে নারাজ বঙ্গবাসী। দুর্গোৎসবের আনন্দ আর কয়েকটা দিন শহরে রাখতে বিগত কেক বছরের মতো এবছরও রেড রোড কলকাতা (Red Road Kolkata) এ বছরও আয়োজিত হতে চলেছে দুর্গাপুজো কার্নিভাল। আজই, ২৭সে অক্টোবর রেড রোডে শোভাযাত্রার মাধ্যমে মা দুর্গাকে বিদায় জানাবে শহরবাসী। প্রতিমা বিসর্জনেরও আজ শেষ দিন। ফলে এদিন শহর কলকাতায় বন্ধ একাধিক রাস্তা। কড়া নিরাপত্তায় কলকাতা ট্রাফিক (Kolkata Traffic) ব্যবস্থা।
একাদশী থেকেই খুলে গিয়েছে অফিস। তবে দশমী থেকে প্রতিমা বিসর্জনের কারণে শহরের নানান অংশে দেখা যাচ্ছে বেশ যানজট। তারওপর এদিন কার্নিভালের কারণে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে ট্যাবলো সাজিয়ে ইতিমধ্যেই পুজো কমিটিগুলি আসতে শুরু করেছে রেড রোড কলকাতা (Red Road Kolkata)এ।সেই কারণে সাময়িক গতি কমতে পারে ট্রাফিকের, তবে ব্যাহত বা যানজট রুখতে বদ্ধপরিকর কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। বন্ধ রাখা হয়েছে শহরের একাধিক রাস্তাও।
আরও পড়ুন : কার্নিভালে অংশ নেবে ১০৪টি পুজো কমিটি! 'ক্রেজ' সামলাতে হিমশিম! তুঙ্গে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি!
কলকাতা ট্রাফিক (Kolkata Traffic) সূত্রে খবর, এদিন কার্নিভ্যালের জন্য বন্ধ থাকছে রেড রোড। গতকাল, বৃহস্পতিবারই রাত ৯ টা থেকেই রেড রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার কার্নিভ্যালের কারণে দিনভর রেড রোড কানেক্টরগুলিও বন্ধ থাকবে। সকালে রেড রোড ছাড়া বাকি রাস্তা খোলা থাকলেও দুপুর ২টো থেকে অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে লাভার্স লেন, কুইন’স ওয়ে, এসপ্লানেড রোড, পলাশি গেট রোড। সকালের দিকে যাতায়াতের জন্য স্ট্র্যান্ড রোড ও জওহরলাল নেহেরু রোড খোলা রয়েছে। তবে বেলা বাড়লে বন্ধ করা হবে স্ট্র্যান্ড রোড। তবে খোলা থাকবে জওহরলাল নেহেরু রোড। ওই এলাকায় পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও থাকছে বিধিনিষেধ। এদিন ক্যাথিড্রাল রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিটে এদিন লাগু থাকছে পার্কিংয়ের কিছু বিধি। অন্যদিকে, এজেসি বোস রোডের এক্সাইড মোড় থেকে শুরু করে হেস্টিংস ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তাটি দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়িদের জন্য বন্ধ থাকবে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে ডাফরিন রোড ও খিদিরপুর রোডেও। এদিন দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যালের কারণে ট্রাফিকে যাতে কোনও চাপ না পড়ে তার জন্য বিকল্প পরিকল্পনা করেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। পাশাপাশি কার্নিভাল দেখে যাতে সাধারণ মানুষরা কোনও ঝামেলা ঝঞ্ঝাট ছাড়াই বাড়ি ফিরতে পারেন তাই এদিন কলকাতা মেট্রো, রেল ও ডাব্লুবিটিসির অতিরিক্ত পরিষেবাও পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, কার্নিভাল দেখার জন্য উৎসাহী গোটা বঙ্গ। সেই মতো চাহিদাও বেড়েছে কার্নিভালের পাসের। কার্নিভাল দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of West Bengal)কেও অনুরোধ করেছিলেন অনেকে। সেইমতো বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন শেষে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee) কার্নিভালের আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। আরও ৫০ হাজার আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিকেল ৪টেয় অনুষ্ঠান শুরু হবে। তবে মানুষজন রেড রোডে এসে উপস্থিত হতে শুরু করবেন ঘন্টা দুয়েক আগের থেকেই। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of West Bengal)র আহ্বান, কার্ড না থাকলেও যারা কার্নিভাল দেখতে আগ্রহী তারা আসতে পারেন। আসন পূর্ণ হয়ে গেলেও দাঁড়িয়ে কার্নিভাল দেখা যাবে। দাঁড়িয়ে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা যাবে কার্নিভাল।
আরও পড়ুন : রেড রোডে কার্নিভালের জন্য জারি একাধিক ট্রাফিক বিধি! পাওয়া যাবে ডাব্লুবিটিসি ও মেট্রোর বিশেষ পরিষেবা!
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত ৯৬টি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করবে এই কার্নিভালে। সমাজের বিশিষ্ট মানুষ এবং পুজো কমিটির কর্মকর্তারা তো বটেই, বহু বিদেশি নাগরিক সাক্ষী হবেন এই কর্মকাণ্ডের। দুপুর আড়াইটা নাগাদ নন্দনে চলচ্চিত্র জগতের শিল্পীরা হাজির হবেন। তাঁদের বিশেষ বাসে করে নিয়ে যাওয়া হবে রেড রোডে। প্রতিমা পরিক্রমার পাশাপাশি থাকছে শিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নৃত্য পরিবেশন। কার্নিভালের জন্য ধর্মতলা, হাইকোর্ট, পার্ক স্ট্রিট চত্বরে বসানো হয়েছে একাধিক ডিসপ্লে বোর্ড। এই তিনটি মোড়ে ১০টি ট্রাফিক ডিসপ্লে বোর্ডের পাশাপাশি, শহরের যেসব জায়গায় বেশি জমায়েত হয়, সেখানেও স্ক্রিনে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। পাশাপাশি লালবাজার জানিয়েছে, মণ্ডপ থেকে রেড রোড এবং শেষে বিসর্জন প্রতিটি পুজোর ক্ষেত্রেই এসকর্ট করবেন একজন করে সার্জেন্ট।