দেশ

Demonetisation Case: নোটবাতিলের ছ’বছর পরও হলফনামা পেশ করতে ব্যর্থ সরকার, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

Demonetisation Case: নোটবাতিলের ছ’বছর পরও হলফনামা পেশ করতে ব্যর্থ সরকার, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
Key Highlights

নোটবন্দীকরণ চ্যালেঞ্জ: "এটা বিব্রতকর", সুপ্রিম কোর্ট বলেছে কেন্দ্র হলফনামা দাখিলের জন্য আরও সময় চেয়েছে; ২৪শে নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত।

কালো টাকা রোধ করতেই ২০১৬ সালের ৮ই নভেম্বর ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট রাতারাতি বাতিল করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  তবে সরকারের সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। তবে সেই মামলায় আজও পর্যন্ত বিস্তারিত হলফনামা পেশ করতে পারল না কেন্দ্রীয় সরকার। 

নোট বাতিলের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তির একদিন পর, অর্থাৎ, গতকাল সুপ্রিম কোর্টে নোট বাতিলের বিরোধিতা সংক্রান্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি ছিল। তবে সরকারের পক্ষে উপস্থিত হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমনি বিস্তারিত হলফনামা পেশের জন্য আরও কিছুদিন সময় চান। এতে বিরক্ত হয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। পাঁচ সদস্যের এই সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছেন - বিচারপতি এস আব্দুল নাজির, বিআর গাভাই, এএস বোপান্না, ভি রামাসুব্রহ্মণ্যন, এবং বি.ভি. নাগরত্না। 

As far as I'm aware.. the practice of this court. When a constitution bench sits.. is not to ask for an adjournment. A request such as this is very unusual. I would, therefore, suggest- if they require time let us open and complete our submission as they are and there is no problem.

Senior Advocate Shyam Divan

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে একটি তিন বিচারপতির বেঞ্চ নয়টি প্রশ্ন তৈরি করার পরে বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে রেফার করে। প্রশ্নগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল যে বিমুদ্রাকরণ সমতা, জীবন ও স্বাধীনতা, সম্পত্তি এবং পেশা ও বাণিজ্য পরিচালনার স্বাধীনতা সম্পর্কিত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে কিনা। এটি ১৯৩৪ সালের আইনের অ্যাভিলগুলিতে বিমুদ্রকরণ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা যাচাই করার পাশাপাশি গৃহীত পদ্ধতিটি ন্যায্য ছিল কিনা তা পরীক্ষা করারও চেষ্টা করেছিল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ বিষয়ে বিরোধীরা অবশ্য প্রথম থেকেই বলে আসছিল, নোট বাতিল গিমিকের রাজনীতি। মোদির দাবি অনুযায়ী ফল মেলেনি। উলটে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এটিএম কাউন্টারে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে, স্রেফ হটকারি সিদ্ধান্ত। আরবিআইয়ের সাম্প্রতিক তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধীদের দাবি, তাদের কথাতেই শিলমোহর দিল ভারতের শীর্ষ ব্যাংক।