স্বাস্থ্য

আপনি কি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত? কোন পথ অবলম্বন করবেন এখন?

আপনি কি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত? কোন পথ অবলম্বন করবেন এখন?
Key Highlights

এক সময় বহু মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে রোগীরা মারা যেতেন। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসলেও শরীরের উপর দিয়ে মারাত্মক ধকল যায় এই রোগে।

মশার কামড় থেকেই যে 'ম্যালেরিয়া' নামক জ্বরটি হয় তা প্রায় কারোরই অজানা নয়। ‘প্লাসমোডিয়াম’ নামক একটি জীবাণু ম্যালেরিয়া রোগের জন্য দায়ী। স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা এই জীবাণুর বাহক। এক জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ানোর পর এই জীবাণু স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার দেহে প্রবেশ করে। এর পর সেই মশা কোনও সুস্থ মানুষকে কামড়ালে, সেই সুস্থ ব্যক্তির দেহেও ছড়িয়ে পড়তে পারে রোগটি। এক সময় বহু মানুষ এই রোগে মারা যেতেন। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে ম্যালেরিয়া। তবুও শরীরের উপর দিয়ে মারাত্মক ধকল যায় এই রোগে। তাই রোগ মুক্তির পথটি খুব একটা সুগম নয়।

ম্যালেরিয়া থেকে সেরে উঠতে কী কী খাবার স্বাস্থ্যকর

১। যে কোনও রোগ থেকে সেরে উঠতেই পুষ্টিকর পথ্যের প্রয়োজন। কিন্তু ম্যালেরিয়াতে ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। ক্ষুধামান্দ্য দেখা দিলে কিছুই মুখে রোচে না রোগীর, তাই প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়াও কঠিন হয়ে যায়। তাই প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে এই সময় বিভিন্ন ধরনের ফলের রস ও স্যুপ খেতে হবে। এতে জলের ভারসাম্য ও ক্যাল‌োরির চাহিদা, মিটবে দুইই। তবে চা-কফি কিংবা ঠান্ডা পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে এই সময়।

২। ম্যালেরিয়ার ফলে শরীর ভেঙে যায়। ফলে সেরে ওঠার সময় পেশি পুনর্গঠন খুবই জরুরি। তাই এই সময় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। কিন্তু প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটে যেন বজায় থাকে ভারসাম্য। ডিম, দুধ, দই, লস্যির সঙ্গে সঙ্গে তেল মশলা ছাড়া সিদ্ধ করা মাছ, মাংসের স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত ফ্যাটসমৃদ্ধ দুগ্ধজাত খাদ্য ও প্রক্রিয়াজাত মাংস এই সময় খাওয়া ঠিক না।

৩। ম্যালেরিয়া থেকে সেরে উঠতে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি অত্যন্ত জরুরি। পেঁপে, বিট, গাজরের মতো সব্জিতে মেলে ভিটামিন এ। আর বিভিন্ন ধরনের লেবুতে পাওয়া যায় ভিটামিন সি। অনেকেই পথ্য হিসেবে ওষুধের মতো করেই বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খান। বিটের রস ম্যালেরিয়া রোগীদের জন্য বিশেষ উপযোগী।

তবে মাথায় রাখতে হবে সবার শরীরের ধরণ বা ক্ষমতা সমান নয়, সমান নয় রোগের তীব্রতাও। তাই যে কোনও পথ্য খাওয়ার আগেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

নিয়ম করে সুষম আহার করার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে যাতে বাড়ির মধ্যে বা আশেপাশে কোথাও জল না জমে এবং ঘুমোনোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।