শহর কলকাতা

Hangout Places | 'অফিস পাড়া'র নয়া আকর্ষণ সেক্টর ফাইভ টাউন স্কোয়ার! দেখে নিন এখানের বাকি হ্যাংআউট প্লেস!

Hangout Places | 'অফিস পাড়া'র নয়া আকর্ষণ সেক্টর ফাইভ টাউন স্কোয়ার! দেখে নিন এখানের বাকি হ্যাংআউট প্লেস!
Key Highlights

সল্টলেক সেক্টর ফাইভে তৈরী হচ্ছে সেক্টর ফাইভ টাউন স্কোয়ার। আগামী মাসেই উদ্বোধন হতে পারে এই জোনের। দেখে নিন সল্টলেক-নিউটাউন এলাকায় আর কোন কোন যায়গা রয়েছে অফিসের পর যাওয়ার জন্য।

'অফিস পাড়া' বলতে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ (Salt Lake Sector Five) নিউটাউনকেই (Newtown) মূলত বোঝায়। সকাল থেকেই এই এলাকায় শুরু হয়ে যায় দৌড়াদৌড়ি। তবে অনেকেই অফিস শেষ করে আড্ডা দেওয়ার জন্য এরই চত্বরেই জায়গা খুঁজতে খুঁজতে নাজেহাল হয়ে পড়েন। ফলে যেতে হয় সেই বহুদূর। সল্টলেক- নিউটাউন 'অফিস পাড়া' হলেও এই এলাকায় রয়েছে বহু আকর্ষণ। আকাশ ছোয়া অফিস বিল্ডিং বাদেও সল্টলেক-নিউটাউন চত্বরে রয়েছে নানান মন ভালো করার জায়গা। ফলে অফিস শেষে বন্ধুদের বা কাছের মানুষের সঙ্গে আড্ডা দিতে বা মন ভালো করার জন্য ভালো সময় কাটাতে দেখে নিন সল্টলেক-নিউটাউন এলাকায় রয়েছে কোন কোন জায়গা।

সেক্টর ফাইভ টাউন স্কোয়ার । Sector Five Town Square :

এই জায়গার কাজ এখনও শেষ না হলেও ইতিমধ্যেই অফিস পাড়ার নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ টাউন স্কোয়ার। আধুনিকভাবে সেজে উঠেছে সল্টলেকের এই চত্বর। আরবিডি মল (RBD Mall) থেকে ইনফিনিটি (Infinity) পর্যন্ত কার্যত কেবলমাত্র পথচারীদের জন্যই সেজে উঠছে এই এলাকা। অর্থাৎ এখানে কোনও গাড়ি চলবে না। নবদিগন্ত ইনডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি (Nabadiganta Industrial Township Authority) এই নতুন জোনটি তৈরী করছে ওয়াশিংটন মনুমেন্টের (Washington Monument) ধাঁচে। ফলে স্টিল, কাঁচ দিয়ে নানা ধরনের সাজসজ্জায় চারপাশটা একেবারে ঝলমল করবে এই এলাকার। এছাড়াও এই জোনে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য মঞ্চ। যেখানে মাঝে মাঝেই নানারকম অনুষ্ঠান হবে। জানা গিয়েছে, আগামী মাসে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Kolkata Mayor Firhad Hakim) দ্বারা উদ্বোধন হতে পারে এই প্লাজার। ফলে ৮-৯ ঘন্টার ডিউটি করে রাস্তায় গাড়ির হর্ন থেকে দূরে মন ভালো সেক্টর ফাইভ টাউন স্কোয়ার হয়ে উঠতে চলেছে অফিস কর্মচারীদের পছন্দের জায়গা।

ইকো পার্ক । Eco Park :

সেক্টর ভাইভ থেকে কিছুটা দূরত্বেই রয়েছে শহরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ইকো পার্ক। সন্ধেয় ৮.৩০টা নাগাদ এটি বন্ধ হয়ে গেলেও বেশ মনে ভালো করা বা আড্ডা মারার জায়গা এই পার্ক। নিরিবিলিতে বসে গল্প করার ছাড়াও এখানে বোটিং (Boating), বিভিন্ন মজার রাইড (Fun Ride), বিশ্বের সাতটি আশ্চর্যের প্রতিলিপি রয়েছে ইকো পার্কে। এখানে রয়েছে বেশ কিছু রেস্তোরাও।

সিটি সেন্টার ২ । City Center 2 :

কলকাতার অন্যতম মলগুলির মধ্যে একটি হলো সিটি সেন্টার ২। রাজারহার্ট, নিউটাউনে অবস্থিত এই মলটিতে রয়েছে একাধিক নামি দামি খাবারের দোকান। রয়েছে সিনেমা হল (Cinema Hall), হ্যাঙ্গআউট হল ফুড কোর্ট (Food Court), ট্র্যাফিক গ্যাস্ট্রো পাব (Traffic Gastro Pub) এবং অবস্যই কেনাকাটি করার জন্য হরেকরকমের জামাকাপড় ও আসবাবের দোকান। কোথাও অর্থ ব্যয় করতে ইচ্ছা না করলেও সিটি সেন্টার ২ এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে বসে গল্প করতে পারবেন আপনার বন্ধুদের সঙ্গে।

এক্সিস মল । Axis Mall :

নিউটাউনের আরেক অন্যতম মল হলো  নিউটাউন, অ্যাকশন এরিয়া ১ এর এক্সিস মল। এই মলের প্রধান আকর্ষণ স্নো পার্ক (Snow Park)। স্নো পার্ক হল বরফে ভরা জায়গা, যার ভিতরে আপনি জ্যাকেট পরে স্কিং করতে পারেন বা বরফ নিয়ে খেলতে পারেন। এছাড়াও এই মলে রয়েছে ফুড কোর্ট, মাল্টিপ্লেক্স এবং শপিং এরিয়া।

নজরুল তীর্থ । Nazrul Tirtha :

নিউটাউনে অবস্থিত নজরুল তীর্থ একটি সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা কেন্দ্র। এখানে একটি সিনেমা থিয়েটার এবং ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে।  মাঝে মাঝেই এখানে নানারকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ফলে অফিস ছুটির পর মাথা থেকে কাজের চাপ দূর করতে এবং ভালো সময় কাটাতে এটি হতে পারে বেস্ট ডিস্ট্রিনেশন।

অফিসের পর কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতে এবং মন ভালো করতে সবাই চান। ফলে অনেকেই অফিসের পর অফিস চত্বরেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে চান। তবে কোথায় যাবেন সেটাই ভেবে পান না। আবার অনেকেই এক ঘেয়ে যায়গাতেই যান। তবে এবার একটু অন্যরকমের অভিজ্ঞতা পেতে ঘুরে আসুন উপরোক্ত যায়গাগুলি থেকে।