Life Certificate | বাড়িতে বসেই রাজ্যের ১২ লক্ষ পেনশন প্রাপকদের 'লাইফ সার্টিফিকেটে'র সুবিধা!
পেনশন প্রাপকদের লাইফ সার্টিফিকেটের জন্য আর ব্যাঙ্কে বা ট্রেজারিতে যেতে হবে না। বাড়িতে বসে ফেস অথেনস্টিকেশনের মাধ্যমেই মিলবে সুবিধা।
রাজ্যের প্রবীণদের জন্য বিশেষ সুবিধা ব্যবস্থা আনতে চলেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। বাংলার পেনশন প্রাপকদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য অর্থ দফতর। এবার থেকে যে সমস্ত প্রবীণ যাঁরা পেনশন পান তাঁদের আর লাইফ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য ট্রেজারি বা ব্যাঙ্কে যেতে হবে না। বাড়িতে বসেই স্মার্টফোন ব্যবহার করে তারা জমা করতে পারবেন লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate)।
রাজ্যের প্রবীণ নাগরিকরা যাতে সমস্ত ধরনের সুযোগ সুবিধা পান তা নিশ্চিত করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। গত মঙ্গলবার রাজ্য অর্থ দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বিশেষ সুবিধার কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এখন থেকে বাড়িতে বসে স্মার্টফোনে ফেস অথেনটিকেশন (Face Authentication) পদ্ধতির মাধ্যমেই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যাবে। আলাদা করে তাঁদের ব্যাঙ্কে বা ট্রেজারিতে যেতে হবে না।
উল্লেখ্য, পেনশন চালু রাখতে বছর বছর লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। পেনশন প্রাপক প্রবীণ নাগরিককে ব্যাঙ্ক বা ট্রেজারিতে সশরীরে গিয়ে এই সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। কিন্তু, এই প্রক্রিয়ায় বার্ধক্য বা অসুস্থতার কারণে বিপাকে পড়তে হয় বহু প্রবীণকে। পেনশন প্রাপকদের প্রতি বছর নভেম্বর মাসে ব্যাঙ্কে বা ট্রেজারিতে গিয়ে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যায়। ‘জীবন প্রমাণ’ পোর্টালের মাধ্যমে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে সেখানে। সেক্ষেত্রে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পেনশন প্রাপকের আধার নম্বর যাচাই করা হয়। কিন্তু বয়সজনিত কারণে অনেক সময় আঙুলের ছাপ ঠিকমতো পড়েনা। ফলে সেক্ষেত্রেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। সেক্ষেত্রে মুখের ছবি মিলিয়ে যাচাইয়ের ব্যবস্থা বেশ সুবিধার হবে। আর তাঁদের সেই ভোগান্তি এবার শেষ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ পেনশন প্রাপক এখন ঘরে বসে স্মার্টফোনে মুখের ছবি যাচাই প্রক্রিয়ার (ফেস অথেনটিকেশন) মাধ্যমে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে পারবেন।
কারা পাবেন এই সুবিধা? । Who Will Get This Benefit?
পশ্চিমবঙ্গের অর্থ দফতর জানিয়েছে, সরকারি ট্রেজারির মাধ্যমে পেনশন প্রাপক সবাই (ফ্যামিলি পেনশন সহ) এই সুবিধা পাবেন। সরকারি দফতর ছাড়াও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী, পুরসভা-পঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন স্বশাসিত সংস্থার অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন ট্রেজারির মাধ্যমে হয়। পেনশন প্রাপকদের বিভিন্ন সংগঠনের মতে, সব মিলিয়ে রাজ্য সরকারের ফ্যামিলি পেনশন ও পেনশন প্রাপকের সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ। সকল পেনশন প্রাপকরাই এই সুবিধা পাবেন।
লাইফ সার্টিফিকেটের জন্য স্মার্টফোনে কীভাবে করতে হবে ফেস অথেনটিকেশন? । How To Face Authentication on a Smartphone for Life Certificate?
অর্থ দফতরের আইএফএমএস পোর্টাল (Finance Department's IFMS portal) অনুযায়ী, ‘আধার ফেস আর ডি’ ('Aadhaar Face Rd') এবং ’জীবন প্রমাণ ফেস অ্যাপ্লিকেশন’ (Jeevan Praman Face Application) নামে দু’টি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। ফোনের ক্যামেরা অন্তত ৫ মেগাপিক্সেল হতে হবে। কমপক্ষে ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ রয়েছে, এরকম স্মার্টফোনে এই কাজ করা যাবে।
নয়া এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে বেশ খুশি পেনশন প্রাপকরা। সূত্রের খবর, নভেম্বর মাস এলেই লাইফ সার্টিফিকেট নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন প্রবীণ পেনশন প্রাপকরা। অনেকের শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় এই বিষয় নয়া মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়ায়। তবে রাজ্য সরকারের এই ব্যবস্থার ফলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
- Related topics -
- রাজ্য সরকার
- পেনশন
- প্রবীণ নাগরিক
- অর্থনৈতিক
- অর্থনীতি
- পশ্চিমবঙ্গ সরকার
- রাজ্য