অভিষেকের ডাকা তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই পার্থের মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা।
রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরেই এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। যার অর্থ, সন্ধ্যার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে পার্থের দলীয় মহাসচিব পদও যেতে চলেছে। পাশাপাশিই, তিনি দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকের পদও হারাতে চলেছেন। প্রত্যাশিত ভাবেই বৃহস্পতিবারের বারবেলায় শাস্তির খাঁড়া নামল এসএসসি দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর।
পার্থের অধীন তিনটি দফতরই আপাতত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকবে। সেই মর্মেই রাজভবনের অনুমোদন অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন, পার্থকে আর মন্ত্রিত্বে রাখা হচ্ছে না। তাঁর অধীন দফতরগুলি তিনিই দেখবেন। এর পরেই রাজ্যপালের তরফে ওই বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে পার্থর বাড়িতে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডি ওই দিনই অভিযান চালায় একাধিক জেলার আরও ১৪টি জায়গায়। কোথাও কয়েক ঘণ্টা, কোথাও আরও দীর্ঘ ক্ষণ ধরে তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ চলতে থাকে। সন্ধ্যার পর আচমকাই সোরগোল পড়ে যায় পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর। ইডি সেই ছবি টুইট করে। পরদিন পার্থ এবং অর্পিতাকে এক সূত্রে গেঁথেই গ্রেফতার করা হয়। তার ছ’দিন পর পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হল।
পার্থকে গ্রেফতারের দিনেই সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল জানিয়ে দেয়, আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। দু’দিন পর স্বয়ং মমতাও বঙ্গসম্মান অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় প্রায় একই কথা বলেন। মমতা এবং দলের শীর্ষনেতৃত্ব তখন বুঝিয়েছিলেন, ‘আপাতত’ পার্থকে দলীয় পদ বা মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হচ্ছে না।