WB E-tendering: সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকার কাজেও বাধ্যতামূলক ই-টেন্ডারিং!
পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও সরকারি কাজ এক লাখ টাকা বা তার উপরে যে কোনও কাজ করাতে চাইলেও তার ই-টেন্ডারিং করা বাধ্যতামূলক। সরকারি কাজে ঠিকাদারি নিয়ে দলবাজি ও দুর্নীতি বন্ধে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ২৭শে জুলাই, বুধবার অর্থ দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, সরকারি দফতর ছাড়াও রাজ্যের সকল স্বশাসিত সংস্থা, আন্ডারটেকিং, বিভিন্ন দফতরের অধীনে থাকা বিধিবদ্ধ সংস্থা, উন্নয়ন পর্ষদগুলিকে এই নীতি বাধ্যতামূলক ভাবে মেনে চলতে হবে।
আইনি গেরোয় আটকা পড়ার আশঙ্কায় রাজ্য সরকারের একাধিক দফতর বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে তাদের অধীনে থাকা বিধিবদ্ধ সংস্থা বা ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে হাতিয়ার করে। অনেক ক্ষেত্রেই এতে মর্জি মাফিক টেন্ডার করে পছন্দের ঠিকাদার নিয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, এই ভাবে সরকারি অর্থ অপচয়ের নজিরও রয়েছে। আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার এ বার অপচয় নিয়ন্ত্রণে ই-টেন্ডারিংয়ের নামে কাজের পদ্ধতি বদল করল। যাতে অল্প টাকার কাজেও নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়, তার জন্য এই সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রথম ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে, পূর্ত দফতরে। একদম শুরুতে ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি অঙ্কের কাজের জন্য ই-টেন্ডারিং করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হতো। পরের বছর অবশ্য তা সংশোধন করে ৫০ থেকে ৫-এ এসে পৌঁছয়; অর্থাৎ পাঁচ লাখ টাকা বা তার বেশি অঙ্কের কাজে ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থা চালু হয়।
এর পর দেখা যাচ্ছিল, বেশ কয়েকটি দপ্তর ই-টেন্ডারিং এড়াতে পাঁচ লাখ টাকার কাজকেই কয়েকটি ভাগে ভাগ করে পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে। বহু পঞ্চায়েত ও পুরসভাও এই নীতি মানছিল না বলে নবান্ন সূত্রের খবর। এখন তাদের সবাইকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সব কাজই ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে হবে।
- Related topics -
- রাজ্য
- নবান্ন
- মমতা ব্যানার্জী
- মুখ্যমন্ত্রী
- নবান্ন
- পূর্ত দফতর