আন্তর্জাতিক

Brazil Presidential Election: বিপুল ভোটে জয়ী বামপন্থী নেতা লুলা ডা সিলভা

Brazil Presidential Election: বিপুল ভোটে জয়ী বামপন্থী নেতা লুলা ডা সিলভা
Key Highlights

লড়াইয়ে লুলা, ‘আশার আলো’ ব্রাজিলে। ব্রাজিলের নির্বাচনে ধাক্কা খেলেন অতি দক্ষিণপন্থী নেতা জাইর বোলসোনারো।

ব্রাজিলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য। সাম্প্রতিক সমীক্ষানুযায়ী বামপন্থী নেতা লুলা দ্য সিলভা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে অনেকটাই এগিয়ে। ২০২২ সালের অক্টোবরেই ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগেই দক্ষিণপন্থী বোলসোনারোর থেকে এগিয়ে গেলেন বামপন্থী লুলা। ১৮ই  আগস্ট এরকমই এক সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। যে সমীক্ষা অনুসারে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা লুলা ৪৭% সমর্থন পেয়েছেন। অন্যদিকে দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো পেয়েছিলেন ৩২% সমর্থন।

সমীক্ষায় আরও বলা হয় নির্বাচন হলে লুলা পেতে পারেন ৫১% ভোট। বর্তমান রাষ্ট্রপতি বোলসোনারো ৩৫% ভোট নিশ্চিত করতে পারেন। ডাটাফোলহা জনমত সমীক্ষায় ডেমোক্রেটিক লেবার পার্টির নেতা কায়রো গোমেজ ৭% সমর্থন পেয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন। ২% সমর্থন নিয়ে তাঁর পরেই আছেন সিমন তিবেট। অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ভারা লুসিয়া ১% সমর্থন পান।

যেটা হয়ে গেছে সেটা অতীত, ফের একবার নতুন ব্রাজিল তৈরি করতে তিনি প্রস্তুত । ব্রাজিলে আজ একুশের যুবক-যুবতী থেকে থেকে সত্তরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধার মনেও ফের একবার আকিওলির বিখ্যাত মেলোডিটা উঁকি দিচ্ছে, একটা তারা ঝলমল করছে। একগুচ্ছ আশার আলো দেখা যাচ্ছে।

লুলা লা

উল্লেখ্য এর আগে ব্রাজিলের এমডিএ ইনিস্টিটিউট একটি সমীক্ষা চালায়। যাতে ৪০.৬ শতাংশ ভোটারদের সমর্থন পান বাম নেতা লুলা দ্য সিলভা। তারপরেই ছিলেন ব্রাজিলের বর্তমান রাষ্ট্রপতি জাইর বোলসোনারো। তাঁর ঝুলিতে ছিল ৩২ শতাংশ ভোটারদের সমর্থন। ফেব্রুয়ারিতে এক জনমত সমীক্ষায় ওয়ার্কার্স পার্টির (পিটি) প্রার্থী লুলার দখলে ছিল ৪২.২ শতাংশ জন সমর্থন। অন্যদিকে, লিবারেল পার্টির (পিএল) নেতা বোলসোনারোর পক্ষে ছিল ২৮ শতাংশ জন-সমর্থন। এসময় দুই নেতার মধ্যে জনপ্রিয়তার ব্যবধান ছিল ১৩.৮ শতাংশ।

ব্রাজিলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে প্রতিটি দলের কাছেই মাত্র ১ মাস সময় বাকি আছে। এই সময়কাল পেরিয়ে কোন দল শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করবে, সে দিকে তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ব্রাজিলের নয়া প্রেসিডেন্টকে নানা দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা শুভেচ্ছা জানালেও এখনও নীরব রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হারের ফলে বড় ধাক্কা খেল ব্রাজিলের অতি দক্ষিণপন্থী রাজনীতি।