Charlie Chaplin | শৈশব থেকেই ছিল বুক চাপা কষ্ট! মাত্র আট বছর বয়সে যাত্রা দলে লিখিয়েছিলেন নাম! আজ তিনি 'অমর কমেডি কিং' চার্লি চ্যাপলিন!
চ্যাপলিনের শৈশব থেকেই ছিল বুক চাপা কষ্ট। বয়স তিন বছর হওয়ার পূর্বেই তাঁর বাবা-মা আলাদা বসবাস করা শুরু করেন। অভিনেতার মা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হলে চ্যাপলিন অসহায় হয়ে পড়েন। মাত্র আট বছর বয়সেই তিনি যুক্ত হন একটি যাত্রাদলের সাথে।
পরনে কালো কোট-প্যান্ট, মাথায় কালো রঙের ডার্বি হ্যাট, হাতে একটি লাঠি, ঠোঁটের উপর খাটো অথচ প্রশস্ত একটুখানি টুথব্রাশ গোঁফ-ব্যাস এতোটুকুই তথ্য পর্যাপ্ত বিশ্বখ্যাত অভিনেতাকে চেনার জন্য। এতক্ষণে আপনিও হয়তো বুঝে গিয়েছেন কার কথা বলা হচ্ছে। ইনি হলেন চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন অর্থাৎ চার্লি চ্যাপলিন (Charlie Chaplin)। এক শতাব্দী পূর্বে তাঁর অমর অভিনয় আজও আমাদের বিনোদনের খোরাক জোগায়, আজও আট থেকে আশি মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলে। বিশ্বের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ও সবচেয়ে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিদের তালিকা করা হলে নিঃসন্দেহে চার্লি চ্যাপলিনের নাম একদম উপরের দিকেই থাকবে। তবে প্রকৃত অর্থে কিং অফ কমেডি যদি কেউ থাকেন, তবে তা চার্লি চ্যাপলিন ছাড়া আর কেউ নন। শুধু অভিনেতা নন, পরিচালক, সঙ্গীত পরিচালক, সম্পাদক, প্রযোজক হিসাবেও খ্যাত চার্লি চ্যাপলিন। একটি শব্দও উচ্চারণ না করে দর্শককে হাসানোর এবং কাঁদানোর ক্ষমতা ছিল মহানশিল্পী চার্লি চ্যাপলিনের। তবে তাঁর খোরাকের মধ্যেও যেন ছিল বিষন্নতা, বুক চাপা কষ্ট।
শৈশবকাল :
চার্লি চ্যাপলিনের প্রকৃত নাম ‘চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন’। যদিও তাকে বিশ্বব্যাপী ‘শার্লট’, ’কার্লিটোস’, ‘দ্য লিটল ট্র্যাম্প’ ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। চ্যাপলিনের জন্মতারিখ ও জন্মস্থান নির্ভুলভাবে যাচাই করা সম্ভব না হলেও ধারণা করা হয়, তিনি ১৮৮৯ সালের ১৬ই এপ্রিল লন্ডনের ওয়ালউওর্থে জন্মগ্রহণ করেন। অবশ্য তাঁর মৃত্যুর অনেক পর ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি যে, চার্লি চ্যাপলিন ব্রিটেনেই জন্মগ্রহণ করেছেন। চ্যাপলিনের জন্মস্থান, এমনকি ফ্রান্সও হতে পারে বলে অনুমান করা হয়। আবার, ২০১১ সালে উদ্ধারকৃত একটি পুরোনো চিঠিতে পাওয়া তথ্যমতে, ইংল্যান্ডের স্ট্যাফোর্ডশায়ারের একটি ক্যারাভ্যানে তিনি ভূমিষ্ঠ হন। চার্লি চ্যাপলিনের বাবা ছিলেন ‘চার্লস চ্যাপলিন সিনিয়র’ এবং তাঁর মায়ের নাম ‘হানাহ চ্যাপলিন’। তারা দুজনই একাধারে মঞ্চে অভিনয় করতেন এবং গানও গাইতেন।
অনেকেই বলেন চার্লি চ্যাপলিনের কমেডি (charlie chaplin comedy) এর মধ্যে যেন রয়েছে বেদনাও। অনেকেই এর কারণ হিসাবে তুলে ধরেন চ্যাপলিনের শৈশব। চার্লি চ্যাপলিনের শৈশব কেটেছে চরম অভাব-অনটন ও নিদারুণ কষ্টের মাঝে। মাত্র বয়স তিন বছর হওয়ার পূর্বেই তাঁর বাবা-মা আলাদা বসবাস করা শুরু করেন। শিশু চ্যাপলিন তাঁর মায়ের সাথে থাকতেন, সাথে ছিলো তাঁর সৎ বড় ভাই সিডনি চ্যাপলিন। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই অভিনেতার মা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হলে চ্যাপলিন অসহায় হয়ে পড়েন। তাঁর ভরণপোষণ ও দেখাশোনার দায়িত্বে কেউ না থাকায় তাঁকে প্রাথমিকভাবে লন্ডনের একটি অনাথাশ্রমে এবং পরবর্তীকালে অসহায় ও দুঃস্থ শিশুদের জন্য তৈরি ‘সেন্ট্রাল লন্ডন ডিস্ট্রিক্ট স্কুল’-এ পাঠানো হয়। এরপর চ্যাপলিনকে কিছুদিনের জন্য তাঁর বাবার কাছে পাঠানো হয়, যিনি ছিলেন মদ্যপ। ফলে সেখানেও বেশি দিন ঠাঁই হয়নি বালক চ্যাপলিনের। তবে বাবা-মা দুজনের পেশায় অভিনয় মঞ্চের সাথে জড়িত থাকার সুবাদে চার্লি চ্যাপলিন নিজেও আগ্রহ দেখান এদিকেই। অভাবের তাড়নায় ও মঞ্চে অভিনয় করার আগ্রহর জন্য মাত্র আট বছর বয়সেই তিনি যুক্ত হন ‘দ্য এইট ল্যাঙ্কাশায়ার ল্যাডস’ নামক একটি যাত্রাদলের সাথে। মূলত এখান থেকেই চ্যাপলিনের কর্মজীবন শুরু হয় এবং প্রথম থেকেই বালক চার্লি চ্যাপলিনের মঞ্চাভিনয় দর্শক ও আয়োজকদের নজর কাড়তে শুরু করেন। এরপর চ্যাপলিন ছোটখাট আরও নানা মঞ্চে, নানা প্লাটফর্মে অভিনয়ে অংশগ্রহণ করে সুনাম কুড়াতে থাকেন।
পেশাগত জীবন :
কর্মজীবনে প্রবেশের পর, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯০৮ সালে তিনি ‘দ্য কার্নো কোম্পানি’তে তিনি যোগদান করেন। তখনকার দিনে ব্রিটেনের এই স্বনামধন্য কোম্পানিটি হাস্যরসাত্মক নাটক তৈরি করতো ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে সেগুলোর প্রদর্শনী করে বেড়াতো। এই কোম্পানিতে যোগদান চ্যাপলিনকে একটি বড় সুযোগ এনে দেয় নিজেকে প্রমাণ করার। চ্যাপলিনের অসাধারণ স্টেজ পারফর্মেন্সে মুগ্ধ হয়ে ১৯১০ সালে তাঁকে মঞ্চনাট্য প্রদর্শনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ করে ‘দ্য কার্নো কোম্পানি’। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চ্যাপলিনকে তাদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্যও আমন্ত্রণ জানায়। অনেক ভেবেচিন্তে চ্যাপলিন ‘কিস্টোন স্টুডিও’তে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। এই স্টুডিওর অধীনেই তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ‘মেকিং এ লিভিং’ (১৯১৪) মুক্তি পায়।
প্রথমদিকে, তিনি অন্যান্য পরিচালকদের পরিচালনায় অভিনয় করলেও পরবর্তীতে পরিচালনার ভার নিজের হাতে তুলে নেন এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করতে থাকেন। তিনি একের পর এক স্বনামধন্য চলচ্চিত্র-নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে বিভিন্ন মেয়াদে চুক্তিবদ্ধ হতে থাকলেন। একের পর এক মাস্টারপিসও তাঁর হাত ধরে বের হতে লাগলো। সেই সময়ে তিনি হয়ে ওঠেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। মার্কিন চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের মাত্র তিন বছর পর, ১৯১৬ সালে ‘দ্য মিউচুয়াল ফিল্ম কর্পোরেশন’ এর সাথে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেন চ্যাপলিন। যার শর্ত হলো, চার্লি চ্যাপলিন নিজের ইচ্ছামতো ১২টি চলচ্চিত্র তৈরি করে দেবেন এবং বিনিময়ে কাজ শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত তৎকালীন মুদ্রায় বার্ষিক ‘ছয় লক্ষ সত্তর হাজার’ মার্কিন ডলার করে পাবেন। তিনি আঠারো মাসে চুক্তির শর্ত পূরণ করেন এবং মিউচুয়াল কর্পোরেশনকে উপহার দেন ১২টি মাস্টারপিস চলচ্চিত্র। এরপর তিনি ‘ফার্স্ট ন্যাশনাল’ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন, তখন তাদের সহায়তায় নিজস্ব স্টুডিও তৈরি করেন চ্যাপলিন এবং আরও স্বাধীনভাবে কাজ করতে শুরু করেন। ১৯১৯ সালের চার্লি চ্যাপলিন আরও কয়েকজন অংশীদারকে সাথে নিয়ে গড়ে তুলেন ‘ইউনাইটেড আর্টিস্টস’ নামক চলচ্চিত্র-নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। তার পরবর্তী কাজগুলো এর অধীনেই হয়েছিলো।
চার্লি চ্যাপলিনের বিখ্যাত চলচ্চিত্র :
চার্লি চ্যাপলিন-কমেডি (charlie chaplin comedy) এই দুটো শব্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আজও তিনি 'কমেডি কিং'। একটি শব্দও উচ্চারণ না করে দর্শককে হাসানোর এবং কাঁদানোর ক্ষমতা ছিল মহানশিল্পী চার্লি চ্যাপলিনের। অভিনেতা এতটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন যে চার্লি চ্যাপলিনের ছবি (charlie chaplin images) বলতেই তাঁর অভিনীত চরিত্রের ছবিই সকলের মাথায় আসে প্রথমে।তিনি মূলত হাস্যরসাত্মক ঘরানার সিনেমা বানালেও, পরবর্তীতে তাঁর চলচ্চিত্রে অন্যান্য মাত্রা যেমন ট্রাজেডি, রোম্যান্স ইত্যাদি যোগ হতে থাকে। তিনি যখন আমেরিকা থেকে ফিরে পুনরায় ইউরোপে বসবাস শুরু করেন, তখন উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে বেশি সংখ্যক চলচ্চিত্র তৈরি করতে পারেননি। ইউরোপ চলে আসার পর তিনি মাত্র দুটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন- ‘এ কিং ইন নিউইয়র্ক’ ও ‘এ কাউন্টেস ফ্রম হংকং’। চার্লি চ্যাপলিনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো: মেকিং এ লিভিং (১৯১৪), দ্য কিউর (১৯১৭), দ্য অ্যাডভেঞ্চারার (১৯১৭), এ ডগ’স লাইগ (১৯১৮), দ্য কিড (১৯২১), দ্য গোল্ড রাশ (১৯২৫), দ্য সারকাস (১৯২৮),সিটি লাইটস (১৯৩১), মডার্ন টাইমস (১৯৩৬), দ্য গ্রেট ডিক্টেটর (১৯৪০)।
ব্যক্তিগত জীবন :
শৈশবে কঠোর সংগ্রাম করে পরবর্তীতে বিশ্বমঞ্চে সেরাদের আসনে অধিষ্ঠিত হওয়া চার্লি চ্যাপলিন সারাটা জীবন ‘সুখ পাখি’র পেছনে দৌড়ে গেছেন,কিন্তু সেই পাখির নাগাল পাননি কখনোই। জীবন তার জন্য সবসময়ই বয়ে এনেছে দুঃখ আর কষ্ট। শৈশবের দুঃসহ স্মৃতিকে পেছনে ফেলে এসে যখন তিনি খ্যাতির সিংহাসনে আরোহণ করছিলেন, তখন কিছু বিতর্কিত কান্ডকারখানাও ঘটিয়েছিলেন, যা তাঁর পেশায় সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিলো। চার্লি চ্যাপলিনকে ঘিরে বিতর্কের কথা উঠলে প্রথমেই আসে তাঁর বহু নারীঘটিত সম্পর্কের বিষয়। চার্লি চ্যাপলিন তাঁর কর্মজীবনে কমপক্ষে দশজনেরও বেশি নারীর সঙ্গে জটিল সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এর মধ্যে কয়েকটি সম্পর্কের পরিণতি ছিলো ভয়াবহ যার মীমাংসা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। চার্লি ১৯১৮ সালে প্রথম বিয়ে করেন ‘মিল্ড্রেড হ্যারিস’ নামক এক মার্কিন অভিনেত্রীকে। ১৬ বছর বয়সী হ্যারিস দাবি করেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা এবং তার সন্তানের পিতা চার্লি চ্যাপলিন। ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে আইনী ঝামেলা এড়ানোর জন্য চ্যাপলিন হ্যারিসকে অনেকটা গোপনেই বিয়ে করেন। অবশ্য পরবর্তীতে জানা যায়, মিল্ড্রেড হ্যারিস গর্ভবতী ছিলেন না। যদিও পরবর্তীতে এই হ্যারিসই চার্লি চ্যাপলিনের সর্বপ্রথম সন্তানকে জন্মদান করেন। কিন্তু সেই সন্তান জন্মের তিনদিন পরই মারা যায়। এদিকে চার্লি ও হ্যারিসের সংসারও বেশি দিন টেকে না। ১৯২১ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
এরপর ১৯২৪ সালে ঠিক একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। ১৬ বছর বয়সে চার্লির সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন ‘লিটা গ্রে’। চার্লি আদালত এড়াতে এবারও লিটা গ্রেকে বিয়ে করতে বাধ্য হন। পূর্বের মতো এ সংসারটিও টেকেনি। বরং এবারের বিচ্ছেদ আরও ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সম্পন্ন হয়। লিটা গ্রে চার্লির বিরুদ্ধে ভয়ানক কিছু অভিযোগ করেন, যা চার্লির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এবং অভিনেতাকে খুব অস্বস্তিকর ও লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলে। চার্লির তৃতীয় বিয়েটি ছিলো অভিনেত্রী পলেট গডার্ডের সাথে, ১৯৩৬ সালে। এ বিয়েটি টিকেছিলো ৬ বছর। তবে এবারের বিচ্ছেদটি সংঘটিত হয় শান্তিপূর্ণভাবে ও উভয়ের সম্মতিতে। সর্বশেষ, চার্লি থিতু হন উওনা চ্যাপলিনের সাথে। ১৯৪৩ সালে এ জুটির বিয়ে হয়। চার্লির এ সংসারটি টিকেছিলো জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।
চার্লি চ্যাপলিনের উক্তি :
১৬ এপ্রিল, চ্যাপলিনের জন্মবার্ষিকীতে স্মরণ করা যাক শিল্পীর কিছু জনপ্রিয় উক্তি। যা এখনও প্রত্যেকদিনের জীবনে খুব প্রাসঙ্গিক।
- 'Laughter is very close to tears and vice versa' অর্থাৎ 'হাসি কান্নার খুব কাছাকাছি এবং উল্টোটাও সত্য'।
- 'Life is a tragedy when seen in close-up, but a comedy in long shot' অর্থাৎ 'কাছ থেকে দেখলে জীবন ট্র্যাজেডি, দূর থেকে কমেডি'।
- 'I always like walking in the rain, so no one can see me crying' অর্থাৎ 'আমি বৃষ্টির মাঝে হাঁটতে পছন্দ করি যাতে কেউ আমার কান্না না দেখতে পায়'।
- 'You'll never find a rainbow if you're looking down' অর্থাৎ 'নীচের দিকে তাকিয়ে থাকলে কখনওই রামধনুর খোঁজ পাবে না'।
- 'Your naked body should only belong to those who fall in love with your naked soul' অর্থাৎ 'তোমাক নগ্ন শরীর শুধু তাঁদেরই হওয়া উচিত যাঁরা তোমার নগ্ন আত্মার প্রেমে পড়েছে'।
- 'Perfect love is the most beautiful of all frustrations because it is more than one can express' অর্থাৎ 'নিখুঁত ভালবাসা সমস্ত হতাশার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর কারণ এটি প্রকাশের ঊর্ধ্বে'।
- 'Smile, though your heart is aching. Smile, even though it's breaking' অর্থাৎ, 'মনে কষ্ট হলেও, মন ভেঙে গেলেও হাসতে থাকো'।
অনেকের মতে তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা। অনেকের মতে তিনি ছিলেন নারীতে আসক্ত। অনেকে আবার চার্লি চ্যাপলিনের দেখেছিলেন মধ্যে মহান দার্শনিক। কিন্তু সব শেষে তিনি বিশ্বখ্যাত মহান অভিনেতা। চার্লি চ্যাপলিনের ছবি (charlie chaplin images) মানেই তাঁর অভিনীত চরিত্রকেই প্রথমে তুলে ধরে। তিনি সারা বিশ্বে চার্লি চ্যাপলিন নামেই বিখ্যাত। তাঁর অভিনয় করা ১০০ বছর আগেকার সিনেমা আজও চোখের পলক না ফেলে দেখেন দর্শকরা। প্রকৃত অর্থে কিং অফ কমেডি যদি কেউ থাকেন, তবে তা চার্লি চ্যাপলিন ছাড়া আর কেউ নন।
- Related topics -
- বিনোদন
- জীবন ও জীবনী
- অভিনেতা
- বলিউড