লাইফস্টাইল

Johnson & Johnson product: ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডারে বিষ!

Johnson & Johnson product: ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডারে বিষ!
Key Highlights

সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকা ও কানাডার পর এবার গোটা বিশ্বজুড়ে বন্ধ হতে চলেছে জনসনের পণ্য বিক্রি।

কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক অব্যাহত যাকে ঘিরে তা হল ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ (Johnson & Johnson) বেবি পাউডার।  ২০২০ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ কানাডায় বন্ধ ছিল জনসন বেবি  পাউডারের বিক্রি। এবার সেই সংস্থার তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে গোটা বিশ্বেই তাদের এই পণ্য বিক্রি বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার তাদের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২০২৩ সাল থেকে আর বেবি পাউডার বিক্রি করবে না ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ সংস্থা।

কিন্তু কেন নেওয়া হল এরকম এক সিদ্ধান্ত? ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডারকে নিয়ে? ওই পাউডারে অ্যাসবেস্টসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। 'অ্যাসবেস্টস' শিশু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর সংস্পর্শে এলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। বছর তিনেক আগে এই অভিযোগ ওঠার পর থেকে ক্রমেই বিতর্ক ঘনিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা ও কানাডার পর এবার সম্পূর্ণ ভাবেই পাউডারটি বিক্রি বন্ধ করে দিচ্ছে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকায় চলতে থাকা অসংখ্য ক্রেতা সুরক্ষা মামলার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।

১৮৯৪ সাল থেকে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডার বিক্রি হয়ে চলেছে। পরিবারবন্ধুর প্রতীক হয়ে ওঠায় সংস্থার প্রতীকী পণ্য হয়ে উঠেছিল এটিই। কিন্তু আমেরিকার ৩৫ হাজার মহিলা জরায়ুর ক্যানসারের জন্য ওই সংস্থাকে দায়ী করে মামলা দায়ের করার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে ক্রমেই কমে যাচ্ছিল পাউডারটির চাহিদা। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালত সংস্থাকে ১৫ হাজার কোটি টাকার জরিমানার ‘সাজা’ দিয়েছিল। আদালতের বক্তব্য ছিল, সংস্থাটি শিশুদের পণ্য নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে। বিচারক এমনও জানিয়েছিলেন, এই অপরাধের শাস্তি কেবল অর্থের জরিমানাতেই শেষ হতে পারে না।

পরিস্থিতি ক্রমেই প্রতিকূল হওয়ার কারণেই বাধ্য হয়েই ২০২০ সালে আমেরিকা ও কানাডায় ওই পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেয় সংস্থা। কিন্তু তারপরও বিতর্ককে সঙ্গী করেই বিশ্বের অন্যান্য দেশে দিব্যি বিক্রি করা হচ্ছিল পণ্যটি। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিশ্বের বাজার থেকেই পণ্যটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে সংস্থা।