![highlight](/img/target.png)
সহপাঠী এক তরুণকে খুনের অভিযোগে একসঙ্গে ২০ জন তরুণকে ফাঁসির আদেশ দিল ঢাকার একটি আদালত।
বাংলাদেশের সব চেয়ে নামী ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান জাতীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন ছাত্রকে ফাঁসির আদেশ দিল ঢাকার একটি আদালত। এই ২০ জন তরুণের মধ্যে রয়েছে শাসক দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্র লীগের নেতা-কর্মী।
বছর দুয়েক আগের মর্মান্তিক ঘটনার নিস্পত্তি
অবশেষে মীমাংসা হল সহপাঠী এক তরুণকে খুনের মামলার। মূল অপরাধটি ঘটেছিল বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশে।
![সহপাঠীকে খুনের অভিযোগ উঠলো ২০ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে](https://media.bengalbyte.in/photo/1639146777759-img_20211210_200156.webp)
আবরার ফাহাদ ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র ছিল। ছাত্র রাজনীতির সাতে পাঁচে থাকত না তবে বিভিন্ন বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সে নিজের মতামত প্রকাশ করত।তেমনই কয়েকটি পোস্টে আওয়ামি লিগ সরকারের নীতির সমালোচনা করেন আবরার। ২০১৯-এর ৬ অক্টোবর রাতে তার সেই ফেসবুক পোস্টের জবাবদিহি করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে ছাত্র লীগের এক নেতার ঘরে আবরারকে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে বেশ কিছু ছাত্র লাঠি, ব্যাট ও উইকেট নিয়ে বেদম মারতে থাকে আবরারকে। মারের চোটে আবরার প্রথমে জ্ঞান হারায় এবং অবশেষে মারা যায়।
কঠোরতম শাস্তির ঘোষণা করলো আদালত
এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ছাত্র লীগের ২৫ জন নেতা-কর্মীকে চিহ্নিত করে পুলিশ। ছাত্র লীগ তখন তাদের বহিষ্কার করে দায় ঝেড়ে ফেলতে চেষ্টা করে। অন্যদিকে এই প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে সরকার। পুলিশ ২২ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করতে পারলেও এখনও ফেরার বাকি তিনজন।
![ ফাঁসির আদেশ দিল আদালত](https://media.bengalbyte.in/photo/1639147090075-deth-2110040921-1.webp)
২২ জনকে অপরাধীকেই আদালতে পেশ করে পুলিশ। বিচারক ২০ জন ছাত্রকে ফাঁসির রায় দিয়েছে। বাকি পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।