Packaged Food | রোজ খাচ্ছেন চিপস, কেক,প্যাকেজড জুস? এখনই লাগাম না টানলে হতে পারে বিপদ! প্যাকেটজাত খাদ্য ও পানীয় নিয়ে ভয়াবহ রিপোর্ট দিলো ICMR!
![highlight](/img/target.png)
আইসিএমআর-র নির্দেশিকাগুলিতে বলা হয়েছে-উচ্চ চর্বি, চিনি ও লবণযুক্ত খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, চর্মরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি ও লিভারসহ অনেক রোগ হতে পারে। যদি কোনও খাদ্য উপাদান প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হয় এবং সেই পণ্যে আলাদাভাবে চিনি যোগ করা হয়, তাহলে তা অতিরিক্ত চিনি যোগ করার সমান।
বর্তমানে ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড খাবার প্রবণতা দেখা যায় আট থেকে আশি সকলের মধ্যেই। এই চাহিদার কারণে ক্রমে বাজারে বাড়ছে ফুড প্যাকেজিং (food packaging) বা প্যাকেটজাত খাদ্যের ব্যবসাও। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে ভেজাল। সম্প্রতি এই বিষয়েই ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করলো ICMR। এসব প্যাকেটজাত খাদ্য ও পানীয়র মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। আইসিএমআর পরীক্ষার রিপোর্ট (icmr test report) বলছে, এই ধরণের খাবারের কারণে এক ধাক্কায় ওজনের মাপকাঠি অনেকটাই উপরে উঠে যায়। সঙ্গে নানান রোগব্যাধি হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে।
![](https://media.bengalbyte.in/photo/1717059619120-ismr warns about packaged food.webp)
কতটা ক্ষতিকর প্যাকেটজাতীয় খাবার?
বিগত বেশ সময় ধরেই আমরা শুনে আসছি প্যাকেটজাত খাদ্য পানীয় এমনকি প্যাকেটজাত পানীয় জল (packaged drinking water) ও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তবে সে কথা গুরুত্ব না দিয়েই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এই ধরণের খাদ্য খাওয়ার প্রবণতা। তবে প্যাকেট জাতীয় খাবার আসলে কতটা বিপদজনক তা জানিয়েছে আইসিএমআর। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (Indian Council of Medical Research) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন (National Institute of Nutrition) এর বিশেষজ্ঞ কমিটি প্যাকেটজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে চিনির পরিমাণ নির্ধারণ করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ, সুস্থ্য থাকতে হলে অতিরিক্ত চিনি, চর্বি ও লবণ যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আল্ট্রা-প্রসেসড ফুডে (UPF) সাধারণত উচ্চ পরিমাণে চিনি এবং লবণ থাকে।
আইসিএমআর পরীক্ষার রিপোর্ট (icmr test report) অনুযায়ী, অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের মতো গুরুতর রোগ হতে পারে। অনেকেই ক্যালোরি সমৃদ্ধ আল্ট্রা প্রসেসড খাবার খেতে পছন্দ করেন। এই ধরনের খাবারে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে এবং প্রয়োজনের তুলনায় চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। বেশি ভাজা পণ্যও এড়িয়ে চলতে হবে। ফলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন এবং আইসিএমআর প্যাকেটজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে চিনির পরিমাণের সীমা নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে।
![](https://media.bengalbyte.in/photo/1717059673539-packaged food.webp)
ICMR-র নির্দেশিকা কী বলছে?
আইসিএমআর-র নির্দেশিকাগুলিতে বলা হয়েছে-উচ্চ চর্বি, চিনি ও লবণযুক্ত খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, চর্মরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি ও লিভারসহ অনেক রোগ হতে পারে। যদি কোনও খাদ্য উপাদান প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হয় এবং সেই পণ্যে আলাদাভাবে চিনি যোগ করা হয়, তাহলে তা অতিরিক্ত চিনি যোগ করার সমান। অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার হজম করতে অসুবিধা হয়। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণও বেড়ে যায়। স্থূলতার সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রক্রিয়াজাত খাবারও সীমিত পরিমাণে খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে রয়েছে ময়দা এবং রুটির মতো পণ্য, যখন অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে রয়েছে বার্গার এবং অতিরিক্ত ভাজা খাবার। আল্ট্রা-প্রসেসড পণ্য বেশি খেলে চিনি, রক্তচাপের মতো রোগকে আমন্ত্রণ জানানোর সমান। পরবর্তীতে এটি হৃদরোগের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুস্থ্য প্যাকেটজাত খাবারে যোগ করা চিনি এবং মোট চিনির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার সম্ভাব্য বিপদ মোকাবিলায় ঠান্ডা পানীয়, প্যাকেটজাত জুস, কুকিজ, কেক, স্বাস্থ্য পানীয়তে চিনির পরিমাণের সীমা নির্ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি জ্যাম, ফ্রুট জুজ, কার্বনেটেড বেভারেজ, হেলথ ড্রিংকস সহ এই জাতীয় খাবার সীমিত ব্যবহার করার কথাও বলা হয়েছে। উচ্চ চর্বি, চিনি এবং লবণযুক্ত খাবার ঘরেও খাওয়া উচিত নয় বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যতটা সম্ভব তাজা খাবার খাওয়া উচিত। প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে। খাদ্যতালিকায় বাজরা, ডাল, তাজা ফল এবং তাজা শাকসবজির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
![](https://media.bengalbyte.in/photo/1717059778851-packaged food and health2.webp)
প্রসঙ্গত, এর আগে আইসিএমআর এবং এনআইএন-এর জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে অসাবধানতা অনেক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার, রক্তচাপের মতো রোগ স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অবলম্বন করলে একাধিক রোগ এড়ানো যায়। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া খুবই ক্ষতিকর স্বাস্থ্যের পক্ষে। এমনকি সুস্থ্য থাকতে সুষম ডায়েট কী হওয়া উচিত সেই সম্পর্কেও পরামর্শ দিয়েছিলো আইসিএমআর।