এবার যুদ্ধে নামতে চলেছে চিন! কি বলছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
এক রামে রাখে নেই, সুগ্রীব দোসর। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্ব যথেষ্ট চিন্তিত। এরইমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ইঙ্গিতপূর্ণ কথার মাধ্যমে জানিয়েছেন, চিন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাইওয়ানের উপর হামলা করতে পারে।
রাশিয়ার পর এবার যে কোনও সময় আগ্রাসণের নীতি নিতে পারে চিন? যে কোনও মুহূর্তে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা?
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন এক মন্তব্য করেছেন যার ফলে রাষ্ট্রসংঘ যথেষ্ঠ চিন্তিত। তিনি বুধবার দাবি করেছেন, “প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাইওয়ানে পরবর্তী হামলা ঘটতে চলেছে। অপেক্ষা করুন, আর দেখুন। আসলে ওরা দেখছে আমাদের দেশের (আমেরিকা) নেতৃত্ব কতটা অযোগ্য। চিন অবশ্যই তাইওয়ানে হামলা করবে। এটাই ওঁদের সময়।"
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের দাবি যে চিন. রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অত্যন্ত সামনে থেকে লক্ষ্য করছে।
আফগানিস্তানে কী ঘটেছে সেদিকে তীক্ষ্ম নজর রেখেছিলেন জিনপিং। তিনি দেখেছেন আমরা কীভাবে আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়েছি। আফগানিস্তানে আটকে পড়া আমেরিকার নাগরিকরা এখনও সেখান থেকে বেরোনোর পথ খুঁজছে। এই সুযোগেই নিজের মর্জি মোতাবেক কাজ করবে চিন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের 'এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন' (ADIZ)-এ চিনের সেনার একটি বিমান প্রবেশ করেছিল। এরপরেই লালফৌজকে সতর্ক করতে রেডিয়োতে বার্তা দিয়ে তাইওয়ান। এছাড়াও 'এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম' ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক হামলা আদায়-কাচকলায়। কিন্তু, তাইওয়ানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে বাইডেনের দেশের। রাশিয়া-ইউক্রেন এবং তালিবানের আফগানিস্তান দখলের সময় যেভাবে আমেরিকা নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল, এক্ষেত্রেও কী সেই একই ভূমিকা থাকবে? ভবিষ্যতে কি হতে চলেছে সেইদিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।
- Related topics -
- আন্তর্জাতিক
- ডোনাল্ড ট্রাম্প
- জো বাইডেন
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
- আমেরিকা
- চীন