খেলাধুলা

Franz Beckenbauer | বিশ্বফুটবলে জার্মানিকে তুলে ধরেছিলেন তিনি! গড়েছেন একাধিক ইতিহাসও! জানুন প্রয়াত বিশ্বকাপজয়ী ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের জীবনী!

Franz Beckenbauer | বিশ্বফুটবলে জার্মানিকে তুলে ধরেছিলেন তিনি! গড়েছেন একাধিক ইতিহাসও! জানুন প্রয়াত বিশ্বকাপজয়ী ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের জীবনী!
Key Highlights

প্রয়াত ফুটবল কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। 'ডার কাইজরে'র প্রয়ানে শোকস্তব্ধ গোটা ফুটবল জগৎ। জানুন ফুটবল কিংবদন্তির জীবনী সম্পর্কে।

বিশ্ব ফুটবল জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রয়াত জার্মান ফুটবল কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার (Franz Beckenbauer)।  তাঁর প্রয়ানের সঙ্গে যেন অবসান হলো ফুটবলের এক সোনালী অধ্যায়ের। ফুটবল কিংবদন্তি (Football Legends) এর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। ৮ই জানুয়ারি,২০২৪, সোমবার তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয় পরিবারের তরফে। বিরল রোগ ‘পার্কিনসন্স ডিজ়‌িজ’- আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ দিন ভুগেছিলেন তিনি। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছিল। মূলত ২০১৫ সালে ছেলে স্টিফেন মারা যাওয়ার পর থেকেই  বেকেনবাওয়ারের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে পারে। ক্রমশ সব কিছু ভুলে যেতে থাকেন। হৃদযন্ত্রের চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। ২০২৪ সালের শুরুতেই সকল ব্যথা-কষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তি পান ‘ডার কাইজ়ার’।

জার্মানির জাতীয় ফুটবল থেকে অনুপ্রেরণা :

ফুটবল কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের জন্ম হয় যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে জরাজীর্ন অবস্থা জার্মানির। তৎকালীন সময়ে জার্মানি জুড়ে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, চাকরির খুবই অভাব। সেই সময়ে কোনোমতে ডাকপিয়নের কাজ করে কোনোভাবে পেট চালাচ্ছেন মিউনিখ শহরের অদূরে অবস্থিত গিয়েসলিং শহরের অধিবাসী ফ্রাঞ্জ ও তার স্ত্রী অ্যান্টোনিয়া অর্থাৎ ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের পিতা-মাতা। কোনোমতে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকেন ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। স্বপ্ন দেখাও যেন সীমাবদ্ধ। তবে সব পাল্টে যায় ৯ বছর বয়সে। তখন জার্মানির জাতীয় ফুটবল দল নিজেদের প্রথম জুলেরিমে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছে। একটি সাধারণ দল নিয়ে হাঙ্গেরির মতো অপ্রতিরোধ্য দলকে হারিয়ে জুলেরিমে ট্রফি জয় এই ব্যাপার ভেতর থেকে নাড়িয়ে দেয় বেকেনবাওয়ারকে। ফুটবলের প্র্রতি জন্মালো অন্যরকম ভালোবাসা। ১৯৫৪ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রিৎজ ওয়াল্টারকে আইডল ভেবে শুরু করলেন পথচলা, ভর্তি হলেন “স্পোর্টস ক্লাব ১৯০৬ ম্যুনশেন”-এ। তবে প্রথমেই বাধা পেলেন পরিবার থেকে। তার বাবা ভেবেছিলেন বড় ছেলের মতই কাজ শুরু করবে তার ছোট ছেলে। তবে সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে ফুটবলেই মনোযোগ দিল সে। এভাবেই গড়ে উঠতে থাকল ফুটবল ইতিহাসের সেরা সুইপার ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার।

‘ডার কাইজ়ার’ : 

৬ই জুন, ১৯৬৪ সালে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে প্রথমবার মাঠে নামেন কাইজার। প্রতিপক্ষ স্টুটগার্ট কিকার্স। সেই মৌসুমেই বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ৩৭ ম্যাচ খেলে ১৭ টি গোল করেন তিনি। বায়ার্ন মিউনিখ প্রোমোশন পায় জাতীয় লিগ বুন্দেসলিগায়। পরের মৌসুমগুলোতেও মাঠে নিজের পারফরম্যান্সের ধারা অব্যাহত রাখেন তিনি। এরপর ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে প্রথমবার ডিএফবি পোকাল জয়। এই অভূতপূর্ব পারফর্ম্যান্সই তাঁকে জায়গা করে দেয় ১৯৬৬ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে। সেই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই গোল করে নিজেকে লাইমলাইটে নিয়ে আসেন কাইজার। কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ে এবং সেমিফাইনালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে ২ গোল করে কোনো ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে বিশ্বকাপের ৩য় সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার রেকর্ড গড়ে তিনি জায়গা পান ১৯৬৬ বিশ্বকাপ টিম অফ দ্য টুর্নামেন্টে। এছাড়া ইয়াং প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট অ্যাওয়ার্ডও পান বেকেনবাওয়ার। একইবছর প্রথমবার জার্মান ফুটবলার অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পান তিনি।

এখানেই থেমে ছিলেন না ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। এই জয়ের ফলে বায়ার্ন মিউনিখ জার্মান ফুটবলে ক্রমেই পরাশক্তি হিসেবে গড়ে ওঠে। যার ফলে ১৯৬৮ সালের গ্রীষ্মে বাভারিয়ান অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি এবং সেই মৌসুমেই বায়ার্ন মিউনিখকে এনে দেন প্রথম লীগ শিরোপা এবং তৃতীয় ডিএফবি পোকাল। এরপর ‘গেম অফ দ্য সেঞ্চুরি’ খ্যাত ১৯৭০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে জিয়ানলুইজি সেরার ফাউলের ফলে হাত ভেঙে যায় তার। কিন্তু অদম্য ব্যাকেনবাওয়েরকে কেউই থামাতে পারেনি। ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভাঙা হাত নিয়েই লড়াই চালিয়ে যান কাইসার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে পশ্চিম জার্মানিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ইতালি।

১৯৭১ সালে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন বেকেনবাওয়ার। ১৯৭২ ইউরো কাপের ফাইনালে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেশের হয়ে প্রথম কোনো মেজর ট্রফি জয় করেন তিনি। একই বছর প্রথম ব্যালন ডি অর অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। ১৯৭৪ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডেই পূর্ব জার্মানির কাছে হেরে যায় পশ্চিম জার্মানি। সতর্ক হয়ে যান ব্যাকেনবাওয়ের। তবে সেই বিশ্বকাপে ট্যাকটিক্স কাজে লাগিয়ে সাফল্য পান কোচ হেলমুট স্কোন। টোটাল ফুটবলের ট্যাকটিক্স ব্যবহারকারী নেদারল্যান্ডস পুরো টুর্নামেন্টে সকল দলকেই ধরাশায়ী করতে পারলেও ব্যাকেনবাওয়ের ও জার্মান দলের অন্যান্য ডিফেন্ডারদের সামনে পড়ে নিজেরাই ধরাশায়ী হয়ে পড়ে। ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ২য় বিশ্বকাপ জয় করে পশ্চিম জার্মানি। এর ফলে ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে একইসাথে ইউরো কাপ ও বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে পশ্চিম জার্মানি। একইসাথে ইউরোপ ও বিশ্বে ক্লাব ও দেশ উভয়ের চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন ফ্রাঞ্জ ব্যাকেনবাওয়ের। ঠিক এ সময়েই ‘কাইজ়ার’ উপাধিতে ভূষিত হন তিনি। ১৯৭৪ বিশ্বকাপের সিলভার বল অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন তিনি। একই বছর ৩য় বার জার্মান ফুটবলার অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পান তিনি।

ফুটবল কোচ হিসেবে ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার :

১৯৭৬ সালে ২য় ও শেষবার ব্যালন ডি অর অ্যাওয়ার্ড এবং ৪র্থ ও শেষবার জার্মান ফুটবলার অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। একইবছর পশ্চিম জার্মানির সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘ক্রস অব দ্য অর্ডার অফ মেরিট অব ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানি’ পান তিনি। ১৯৭৭ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন এই কিংবদন্তী। এরপর ১৯৮৪ সালে ফিফা অর্ডার অফ মেরিট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন ব্যাকেনবাওয়ের। ১৯৮৪ ইউরো কাপে জার্মানি খারাপ করার ফলে ইয়ুপ ডেরওয়ালের বদলে তাঁকে জার্মানির জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত করা হয়। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে তার অধীনে পশ্চিম জার্মানি ফাইনালে উঠলেও ডিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যায়। ১৯৮৮ অলিম্পিকে পশ্চিম জার্মানিকে ফুটবলে প্রথম কোনো পদক এনে দেন জার্মান ফুটবল কোচ  (German football coach) বেকেনবাওয়ার। ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে আবারো মুখোমুখি হয় তার অধীনস্থ পশ্চিম জার্মানি এবং আর্জেন্টিনা। তবে এবার আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৩য় বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় পশ্চিম জার্মানি। এর ফলে ফুটবল ইতিহাসে একমাত্র ও প্রথমবার কোনো দলের অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব অর্জন করেন ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার (Franz Beckenbauer)। বিশ্বকাপ জয়ের পর জার্মান ফুটবল কোচ  (German football coach) হিসেবে দায়িত্ব থেকে সরে আসেন তিনি।

অলিম্পিক ডি মার্শেই-এর ম্যানেজার হিসেবে বেকেনবাওয়ার :

 ফ্রেঞ্চ ক্লাব অলিম্পিক ডি মার্শেই-এর ম্যানেজার পদে যোগ দেন বেকেনবাওয়ার।  ৪ মাসের সেই মধ্যেই চাকরি ছেড়ে দিলেও এরই মধ্যে মার্শেইয়ের ম্যানেজার হয়ে লীগ শিরোপা জয় করেন তিনি। ২ বছর পর ১৯৯৩ সালের ২৮শে ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৪ সালের ৩০শে জুন বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং জেতেন বুন্দেসলিগা শিরোপা। মাঝখানে ২ বছর ক্লাবের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করার পর আবারো মাত্র ২ মাসের জন্য বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হন তিনি এবং বায়ার্ন মিউনিখের ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র উয়েফা কাপ জেতেন। এর সাথে সাথে ম্যানেজিং ক্যারিয়ারও সমাপ্তি ঘোষণা করেন তিনি। বায়ার্ন মিউনিখের ইতিহাসে এমন কোনো শিরোপা নেই যাতে কাইসারের অবদান নেই।

১৯৯৮ সালে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশানের ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান তিনি। নব্বই দশকের শেষ দিকে ২০০৬ বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে জার্মানিকে নির্বাচন করতে সফল হন তিনি। ২০০৬ বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন তিনি। ২০১২ সালে ফিফা প্রেসিডেনশিয়াল অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৩ সালে উয়েফা প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন ব্যাকেনবাওয়ের।

ফুটবল কিংবদন্তি (Football Legends) এর পাশাপাশি ফুটবল ইতিহাসের সেরা সেন্টারব্যাক ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার । ১৯৯৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপ অল-টাইম টিম, ১৯৯৮ সালে ওয়ার্ল্ড-টিম অফ টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি, ২০০২ সালে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ড্রিম টিমসহ তিনি পেয়েছেন একাধিক সম্মাননা। তিনি যে কয়টি বিশ্বকাপ খেলেছেন তার সবকয়টির টিম অফ দ্য টুর্নামেন্টে জায়গা পেয়েছেন। এছাড়া ২০০৪ সালে ঘোষণা করা সেরা ১০০ জন জীবিত খেলোয়াড়ের মধ্যেও রয়েছেন তিনি। ফুটবলের বাইরেও তিনি অনেক সম্মান পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ১৯৮২ সালে বাভারিয়ান অর্ডার অফ মেরিট, ১৯৮৬ সালে ক্রস অফ দ্য মেরিট অফ ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানি, ২০০৪ সালে অনারারি ডক্টর অফ ন্যাশনাল স্পোর্টস অ্যাকাডেমি এবং ২০০৬ সালে কমান্ডার’স ক্রস অফ মেরিট।

৮ই জানুয়ারি, ২০২৪, সোমবার ফুটবল, ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা, ইতিহাস তৈরী করা-সব কিছু ফেলে না ফেরার দেশে চলে গেলেন জার্মান ফুটবল কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। তাঁর প্রয়াণে ফ্রান্স দলের কোচ দিদিয়ের দেঁশ (Didier Dench) বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সময় মারিও জাগালোর মৃত্যুর মাত্র কয়েকদিন পরেই তাঁর মৃত্যুর খবর বেদনাজনক। ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারকে প্রথম এবং সর্বাগ্রে একজন বিশ্ব-মানের খেলোয়াড়, একজন প্রতিভাবান এবং কর্তৃত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার বলেও প্রশংসা করেন তিনি।

ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার প্রথম এবং সর্বাগ্রে একজন বিশ্ব-মানের খেলোয়াড়, একজন প্রতিভাবান এবং কর্তৃত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার। তাঁর মধ্যে এমন একটি ক্লাস ছিল যা অনেকেই অনুকরণ করতে চেয়েছিলেন।

ফ্রান্স দলের কোচ দিদিয়ের দেঁশ

জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হ্যান্স-জোয়াকিম ওয়াটজকে (Hans-Joachim Watzke) বলেছেন, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারকে জানা এবং অভিজ্ঞ হওয়া তাঁর  জীবনের একটি বড় সুযোগ।

জাতীয় দলের সঙ্গে রোমে ১৯৯০ বিশ্বকাপের শিরোপা মুকুট দিয়েছিল, এমন একটি শিরোপা যা তাঁর অসামান্য কোচিং পারফরম্যান্স ছাড়া কখনই সম্ভব হত না। জার্মান ফুটবল তার সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছে।

জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হ্যান্স-জোয়াকিম ওয়াটজকে

২০১৪ সালের জার্মান বিশ্বকাপজয়ী টমাস মুলার (Thomas Müller) ফুটবল কিংবদন্তির আত্মার শান্তি কামনা করে বলেন, এফসি বায়ার্নের ক্লাব ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার দুর্ভাগ্যবশত ছেড়ে চলে গেছেন। শান্তিতে বিশ্রাম নিন, কায়সার ফ্রাঞ্জ। ইউয়েফা (UEFA) বিবৃতিতে বলেছে, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, ইউরোপীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা সন্তান। তিনি একজন অসাধারণ খেলোয়াড়, সফল কোচ এবং জনপ্রিয় ফুটবল পন্ডিত ছিলেন যিনি জার্মান ফুটবলকে অন্য রূপ দিয়েছেন। স্কটল্যান্ডের প্রাক্তন খেলোয়াড় কেনি ডালগ্লিশ (Kenny Dalglish) বলেছেন, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, খেলার একজন সত্যিকারের আইকন।