কোনও পূর্ব নোটিস ছাড়াই এক ধাক্কায় গড়ে প্রায় ৫ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে সংস্থাগুলি।
মারণ করোনা ভাইরাসের জেরে অতিমারি ও লকডাউনের জেরে বিশ্ব জু়ড়ে বহু সংস্থা থেকেই কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ভারতের একাধিক স্টার্ট-আপ সংস্থা হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। আবার কোনও সংস্থা কর্মীদের বেতন এক লাফে প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। এ বার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটল আনঅ্যাকাডেমি (Unacademy), কারস২৪ (cars24), ভেদান্তু (Vedanta), মিশো (Meeso), ট্রেল, ফারলেঙ্কোর মতো ভারতের বেশ কিছু জনপ্রিয় স্টার্ট-আপ সংস্থা। এক ধাক্কায় গড়ে প্রায় ৫ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে সংস্থাগুলি। ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের দাবি, কোনও পূর্ব নোটিস ছাড়াই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের অর্থ তহবিল ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে বেতন দিয়ে সব কর্মীকে কাজে বহাল রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলেই এই গণ বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
মিশো মূলত একটি ই-কমার্স মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক সংস্থা। কয়েক মাসের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই সংস্থাটি। সম্প্রতি এই সংস্থার মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ছুঁয়েছে। অল্প দিনেই বিপুল সাফল্যের মুখ দেখার পরেও ওই সংস্থাও কর্মী ছাঁটাইয়ের পথেই হাঁটল।
আষাঢ়ে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা; তাদের মতে, যে হারে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে দেশজুড়ে তাতে দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তা ছা়ড়া এই ভাবে ক্রমাগত কর্মী ছাঁটাই করতে থাকলে স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলিও নিজেদের অস্তিত্ব কত দিন টিকিয়ে রাখতে পারবে তা নিয়ে একটা সন্দেহ থেকেই যায়।
- Related topics -
- দেশ
- কর্মসংস্থান
- সাফাইকর্মী
- কর্মী নিয়োগ
- বেসরকারি সংস্থা
- লাইফস্টাইল