Honey trapped ‘espionage’ | পাকিস্তানে গোপন তথ্য দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চালক
MEA's Driver 'Honey Trapped' by ISI: বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রকের দফতরে এক কর্মীকে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল শুক্রবার।
বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্মীকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিশ সূত্রে খবর অনুযায়ী, ধৃত ব্যক্তি বিদেশ মন্ত্রকে ড্রাইভার পদে ছিলেন। শুক্রবার তাঁকে দিল্লির জওহরলাল নেহরু ভবন থেকে পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-কে তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ।
তদন্তকারীদের দাবি, হানি ট্র্যাপের ফাঁদে পা দেওয়ায় ধৃতের থেকে তথ্য আদায় শুরু করেন পাক গুপ্তচররা। মহিলার ছদ্মবেশে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে পাক গুপ্তচর। পুনম শর্মা বা পুজা বলে নিজের পরিচয় দিয়েছিল ওই পাক গুপ্তচর। এর পরই প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের ওই ব্যক্তির থেকে তথ্য জোগাড় করে নিয়েছিল সে। তবে এই চক্রের নেপথ্যে আর কেউ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুলিশ। এই প্রথম বিদেশ মন্ত্রকের কাউকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাক গুপ্তচরদের হানিট্র্যাপে ফাঁদে পা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে একাধিক সেনা জওয়ান। গত মাসেই পাক গুপ্তচরদের তথ্য পাচারের অভিযোগে রবিপ্রকাশ মীনা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রাজস্থান পুলিশ। চতুর্থ শ্রেণির ওই ব্যক্তি দিল্লির সেনা ভবনের কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
ধৃত রবিপ্রকাশ জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছিলেন, ফেসবুকে অঞ্জলি তিওয়ারি নামে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। অঞ্জলি নিজেকে ভারতীয় সেনার অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, বাংলায় কর্মরত রয়েছে বলে জানিয়ে রবিপ্রকাশের বিশ্বাস অর্জন করেছিল ওই পাক গুপ্তচর।
রেকর্ড অনুযায়ী, পাক গুপ্তচরদের সেনার তথ্য পাচারের অভিযোগ ২০১৭ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন নিরাপত্তা রক্ষী এবং বাকি ২৫ জন সাধারণ নাগরিক। ২০১৭ ও ২০১৯-এ ছ’জন করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পাঁচজন গ্রেফতার হন ২০২০-তে। ২০২১-এ ধরা হয় আটজনকে। আর চলতি বছরে এই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ১০ জন; যা ২০১৭ থেকে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক।